নন্দীগ্রাম: পূর্ব মেদিনীপুরে জলবায়ুগত কারণে প্রচুর পরিমাণ মাছের চাষ হয়। বিভিন্ন মাছের পাশাপাশি জেলার উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে প্রচুর পরিমাণে চিংড়ি চাষ হয়। এবার উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে চিংড়ি উৎপাদন বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নিল মৎস দফতর।
প্রায় সারা বছরই চিংড়ি মাছ চাষ করা যায়। চিংড়ি চাষের জন্য খুব বেশি জায়গারও প্রয়োজন হয় না। ছোট জায়গায় সফলভাবে চিংড়ি মাছ চাষ অত্যন্ত লাভজনক একটি পেশা। কারণ চিংড়ি মাছে পুষ্টিগুণ থাকায় ভারতের বিভিন্ন বাজারের পাশাপাশি বিদেশের বাজারেও চিংড়ি মাছের চাহিদা যথেষ্ট রয়েছে।
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে জলে ডুবে রাস্তা, বাড়ি থেকে বেরোলেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া ও এগরা মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় চিংড়ি চাষ হয়। উপকূলবর্তী এলাকার অল্প নোনা জল চিংড়ি চাষের জন্য আদর্শ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নদী তীরবর্তী এলাকা নন্দকুমার, নন্দীগ্রাম, কাঁথি, চন্ডিপুর, রামনগর খেজুরি সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় বিভিন্ন ধরনের চিংড়ি চাষ হয়। শুধু নন্দীগ্রাম ব্লকে চিংড়ি চাষের জন্য শেষ কয়েক বছরে প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর মাছের ভেড়ি হয়েছে। এর মধ্যে বেশিটাই চিংড়ি চাষের ভেড়ি বলে জানিয়েছে ‘নন্দীগ্রাম ভ্যানামেই অ্যান্ড বাগদা অ্যাকোয়া কালচার সমিতি।’
নন্দীগ্রামের দু’টি ব্লক মিলিয়ে চিংড়ি চাষের জায়গার পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার একর। বর্তমানে নন্দীগ্রামে মাছ চাষ করেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। আবার এর সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত আরও কয়েক হাজার মানুষ। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মৎস্য উৎপাদক গোষ্ঠী সমূহকে চিংড়ি চাষে উৎসাহ দিতে বাগদা, ভেনামি সহ বিভিন্ন প্রজাতি মাছের মীন তুলে দেওয়া হয়। নন্দীগ্রাম ব্লকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৭ টি মৎস্য উৎপাদক গোষ্ঠী গঠিত হয়েছে। মৎস্য উৎপাদক গোষ্ঠীগুলি ভেনামি সহ বাগদা চিংড়ি চাষ করে।
মৎস্য উৎপাদক গোষ্ঠীগুলিকে ব্লক পর্যায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। গোষ্ঠীগুলির সদস্যরা সেখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে আরো দক্ষ হয়ে উঠেছেন। এদিকে জেলায় চিংড়ি চাষ বৃদ্ধি করতে প্রশাসনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে সকলে।
সৈকত শী