Tag Archives: Shrimp

Shrimp Farming: জলে বর্জ্য, মড়ক লাগছে চিংড়িতে! ভেনামি চাষে ক্ষতির মুখে চাষিরা

পাথরপ্রতিমা: দীর্ঘ সাফল্যের পর ভেনামি চিংড়ি চাষে ক্ষতির মুখ দেখছেন চাষিরা। সুন্দরবনের উপকূলীয় এলাকায় বেশ কয়েক বছর ধরে এই চিংড়ি চাষ করে মৎস্যজীবীরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছিলেন।- কিন্তু এবছর কিছু চাষি হঠাৎ ক্ষতির সম্মুখীন হন। খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, প্রাচীন পদ্ধতিতে দেশীয় বাগদা চিংড়ি চাষ‌ করলে হেক্টরপ্রতি ৪০০ থেকে ৫০০ কেজির মতো বাগদা চিংড়ি উৎপাদন সম্ভব। তবে এই চিংড়ি নিবিড় পদ্ধতিতে চাষ করলে হেক্টর প্রতি দেড় টন থেকে দুই টন চিংড়ি পাওয়া সম্ভব। অন্যদিকে, নিবিড় পদ্ধতিতে ভেনামি চিংড়ি চাষ করা হলে হেক্টর প্রতি ৮ থেকে ১০ টন পর্যন্ত চিংড়ি পাওয়া সম্ভব। এতে লাভ হয় প্রচুর।

আরও পড়ুন: বাজারে OnePlus-এর নতুন ফোন! অথচ এত সস্তায়? চোখ ধাঁধানো সব ফিচার, দাম দেখে নিন

কিন্তু সঠিক উপায়ে ভেনামি চিংড়ি চাষ না করা গেলে এই চিংড়ি চাষে ক্ষতি হতে পারে। জল ও বর্জ্য পদার্থ শোধন, বায়ু সঞ্চালন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, রোগের তথ্য সংরক্ষণ, খাদ্য প্রয়োগসহ অন্যান্য তথ্য না রাখলে এই চিংড়ি চাষে ক্ষতি হতে পারে। এই চিংড়ি চাষে ৯০ দিনের কালচারের সময় লাগে।

সেই কালচারের সময় কম হলে অথবা মড়ক দেখা দিলে এই চিংড়ি চাষে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে মৎস্যজীবীরা। বর্তমানে এই চিংড়ির দাম থাকছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে। ফলে কৃষকরা খুবই নিরাশ হচ্ছেন। এই অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন হোক এটাই এখন চাইছেন কৃষকরা। এই মুহূর্তে সরকারি হস্তক্ষেপ অথবা বড় আড়তদের দ্বারা এই চিংড়ির দাম বাড়ানো হলে তবেই মৎস্যজীবীরা লাভবান হবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা‌।

নবাব মল্লিক

Shrimp Farming: চিংড়ি চাষ করলেই মোটা লাভ! সাহায্য করতে এগিয়ে এল মৎস্য দফতর

নন্দীগ্রাম: পূর্ব মেদিনীপুরে জলবায়ুগত কারণে প্রচুর পরিমাণ মাছের চাষ হয়। বিভিন্ন মাছের পাশাপাশি জেলার উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে প্রচুর পরিমাণে চিংড়ি চাষ হয়। এবার উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে চিংড়ি উৎপাদন বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নিল মৎস দফতর।

প্রায় সারা বছরই চিংড়ি মাছ চাষ করা যায়। চিংড়ি চাষের জন্য খুব বেশি জায়গারও প্রয়োজন হয় না। ছোট জায়গায় সফলভাবে চিংড়ি মাছ চাষ অত্যন্ত লাভজনক একটি পেশা। কারণ চিংড়ি মাছে পুষ্টিগুণ থাকায় ভারতের বিভিন্ন বাজারের পাশাপাশি বিদেশের বাজারেও চিংড়ি মাছের চাহিদা যথেষ্ট রয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে জলে ডুবে রাস্তা, বাড়ি থেকে বেরোলেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া ও এগরা মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় চিংড়ি চাষ হয়। উপকূলবর্তী এলাকার অল্প নোনা জল চিংড়ি চাষের জন্য আদর্শ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নদী তীরবর্তী এলাকা নন্দকুমার, নন্দীগ্রাম, কাঁথি, চন্ডিপুর, রামনগর খেজুরি সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় বিভিন্ন ধরনের চিংড়ি চাষ হয়। শুধু নন্দীগ্রাম ব্লকে চিংড়ি চাষের জন্য শেষ কয়েক বছরে প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর মাছের ভেড়ি হয়েছে। এর মধ্যে বেশিটাই চিংড়ি চাষের ভেড়ি বলে জানিয়েছে ‘নন্দীগ্রাম ভ্যানামেই অ্যান্ড বাগদা অ্যাকোয়া কালচার সমিতি।’

নন্দীগ্রামের দু’টি ব্লক মিলিয়ে চিংড়ি চাষের জায়গার পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার একর। বর্তমানে নন্দীগ্রামে মাছ চাষ করেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। আবার এর সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত আরও কয়েক হাজার মানুষ। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মৎস্য উৎপাদক গোষ্ঠী সমূহকে চিংড়ি চাষে উৎসাহ দিতে বাগদা, ভেনামি সহ বিভিন্ন প্রজাতি মাছের মীন তুলে দেওয়া হয়। নন্দীগ্রাম ব্লকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৭ টি মৎস্য উৎপাদক গোষ্ঠী গঠিত হয়েছে। মৎস্য উৎপাদক গোষ্ঠীগুলি ভেনামি সহ বাগদা চিংড়ি চাষ করে।

মৎস্য উৎপাদক গোষ্ঠীগুলিকে ব্লক পর্যায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। গোষ্ঠীগুলির সদস্যরা সেখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে আরো দক্ষ হয়ে উঠেছেন। এদিকে জেলায় চিংড়ি চাষ বৃদ্ধি করতে প্রশাসনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে সকলে।

সৈকত শী