উত্তর ২৪ পরগনা: লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে তৃণমূলের সবুজ আবিরের ঝড় চললেও, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত শহর বনগাঁ লোকসভার ভোটে দলের পরাজয় থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার বাগদা বিধানসভা উপনির্বাচনে বুথ ভিত্তিক প্রচারে জোর তৃণমূলের।
বাগদা বিধানসভা উপনির্বাচনে এই কেন্দ্র পুনরুদ্ধারে দলের তরফে ঠাকুরবাড়ির সদস্য মধুপর্ণা ঠাকুরকে প্রার্থী করে প্রচারে নেমেছে তৃণমূল। আর তাই রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকে একাধিক মন্ত্রীকে অঞ্চল ভিত্তিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েত এবং গাড়াপোতা পঞ্চায়েতের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুকে।
আরও পড়ুন: আপনার শিশু কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছে? ম্যাজিকের মতো কাজ করে এই ঘরোয়া টোটকা, জানুন
খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের দায়িত্বে রয়েছে কনিয়াড়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত ও কনিয়াড়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার। দায়িত্ব পাওয়ার পরই এলাকায় এসে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন জেলার গুরুত্বপূর্ণ এই হেভিওয়েট মন্ত্রীরা।
এদিন হেলেঞ্চা হাইস্কুলে, হেলেঞ্চা অঞ্চলের নেতাকর্মীদের নিয়ে কর্মী বৈঠক করেন সুজিত বসু। কর্মী সভায় বুথ কমিটি গঠন করে, বুথে বুথে স্পুটিং-এর কথা বলেন স্থানীয় নেতৃত্বকে। প্রয়োজনে নিজেও বুথ ভিত্তিক মানুষের কাছে জাবেন বলে জানান রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর বিহার! UGC-নেট দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা CBI-এর! আঁতকে উঠল দেশ
এদিন বিজেপি গড় বনগাঁয় প্রায় শতাধিক কর্মী সমর্থক মন্ত্রী সুজিত বসুর হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। অপরদিকে, তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে কর্মীসভায় এসে বুথ সভাপতিদের কাছে লোকসভায় হারের কারণ জানতে চাইলেন খাদ্যমন্ত্রী। কনিয়াড়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রানিহাটি উচ্চ বিদ্যালয় একটি কর্মী সভার বুথ স্তরের নেতৃত্বদের লোকসভা নির্বাচনে দল হারার তথ্য তুলে ধরার জন্য বলা হয়।
যদিও এ প্রসঙ্গে, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রথীন ঘোষ জানান, ঘরে ঘটিবাটি থাকলে একটু ঠোকাঠুকি হয়। ১০ জুলাই বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন, তার আগে বিজেপি গড়ে তৃণমূল নিজেদের ঘর গোছাতে কতটা সামর্থ হয় এখন সেটাই দেখার।
Rudra Narayan Roy