একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক কাজের গতি বাড়ল জেলায় 

Sukanta Majumdar: বালুরঘাট কি নতুন কোনও ট্রেন পাচ্ছে? ভোটের পর এলাকায় ফিরেই কাজ শুরু সুকান্তর

দক্ষিণ দিনাজপুর: ভোটের আবহে জেলা জুড়েই সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজকর্মের গতি কমেছে। বিশেষত ভোটের আগে যেভাবে রেল, সড়ক-সহ একাধিক কাজকর্ম শুরু হয়েছিল সেগুলোর কাজ প্রায় থমকে রয়েছে। থেমে থাকবে না রেলের উন্নয়নের কাজ। গৃহীত সমস্ত প্রকল্প নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শেষ করা হবে।

উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন এবং শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে জেলায় ফিরেই কর্মী সমর্থকদের অভ্যর্থনা ও শুভেচ্ছায় ভাসলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি ও বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। অন্যদিকে, সেই সমস্ত কাজকেই আবার দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বললেন সুকান্ত বাবু।

আরও পড়ুন: আপনার শিশু কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছে? ম্যাজিকের মতো কাজ করে এই ঘরোয়া টোটকা, জানুন

জেলায় ফিরেই সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় তিনি বলেন, “বালুরঘাট-সহ জেলায় গৃহীত রেল প্রকল্পগুলির কাজ দ্রুত শেষ করার হবে এবং নতুন অনেক পরিকল্পনা রয়েছে জেলার পরিকাঠামোকে ঢেলে সাজানোর জন্য।” প্রসঙ্গত, বালুরঘাট লোকসভা আসনে এবার ভোটে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের জয় লাভের অন্যতম কারণ ছিল রেলের উন্নয়ন।

আরও পড়ুন: অঙ্কুরিত মুগ, লোকে চেনে স্প্রাউট নামে! এটি পুষ্টির পাওয়ার হাউজ; রোগমুক্ত হতে রোজ খান

বালুরঘাট স্টেশনকে অমৃত ভারত স্টেশনে রূপান্তরিত করার কথা ঘোষণা, বালুরঘাট থেকে দিল্লি-সহ কলকাতা ও হাওড়া যাওয়ার নতুন ট্রেন, বিদ্যুতায়ন, বালুরঘাট হিলি রেল প্রকল্পের কাজ শুরু করার জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া, এছাড়াও রামপুর স্টেশনে রেক পয়েন্ট, গঙ্গারামপুর ও বুনিয়াদপুর স্টেশনের নতুন প্ল্যাটফর্ম ও অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজকে সামনে রেখেই এবার বৈতরণী পার হয়েছেন সুকান্তবাবু।

মোদির মন্ত্রিসভার সদস্য হয়ে জেলায় ফিরেই সুকান্ত ঘোষণা করেছিলেন তাঁর প্রাথমিক লক্ষ্য হবে ট্রেনের জন্য গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়ন। আর সেই কাজই খতিয়ে দেখতে বালুরঘাট স্টেশনে পরিদর্শনে গেলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিভিন্ন প্রকল্পের সাইট ঘুরে ঘুরে প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং কাজের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা করেন।

এই বিষয়ে জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, “রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখেই জেলা প্রশাসনের টিম কাজ করছে। জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে, আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ৩০ শতাংশ জমিদাতাদের হাতে ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হয়েছে। তিন ধাপে সমগ্র জমি রেলের হাতে তুলে দেওয়া হবে।”

সুকান্ত মজুমদারের দাবি, আরও দু’টি প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়ে গেলে এবং কারশেডের কাজ সম্পূর্ণ হলে কিছু ট্রেন রাখার সুযোগ বাড়বে। আর তখনই বালুরঘাট থেকে দক্ষিণ ভারতে যাওয়ার ট্রেনের কথাও তিনি তুলবেন। তাঁর আশা খুব দ্রুত রেলের এই প্রকল্পগুলি শেষ হবে এবং উন্নত রেল পরিষেবা পাবে জেলাবাসী।

সুস্মিতা গোস্বামী