বিদ্যালয়ের দেওয়াল

West Medinipur News: দেওয়াল থেকে শ্রেণীকক্ষ সাজানো নানান ছবিতে, জানেন কোথায় আছে এমন বিদ্যালয়?

পশ্চিম মেদিনীপুর : বাড়ির পর বিদ্যালয় ছাত্র ছাত্রীদের কাছে দ্বিতীয় ঘর। এখানে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা শেখে নিয়মানুবর্তিতা, ধৈর্য, সহনশীলতা এবং একে অপরের প্রতি ভালবাসা। তবে বিভিন্ন কারণে বাড়ছে স্কুলছুট হওয়ার প্রবণতা। অন্যদিকে বেসরকারি বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের মনের মত হওয়ার কারণে বেসরকারি বিদ্যালয়ে পড়াশোনাএবং ভরতিরপ্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। তবে এবার এক প্রান্তিক গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যালয় আপনার নজর কাড়বে। বিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করলে বিভিন্ন দেওয়াল চিত্র এবং সাজিয়ে গুছিয়ে তোলা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ এক আলাদা আনন্দ দেবে।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জঙ্গলমহল অধ্যুষিত প্রান্তিক ব্লক কেশিয়াড়ি। এই ব্লকের এক প্রান্তে রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু শিক্ষা কেন্দ্র থাকলেও এই বিদ্যালয়কে গড়ে তোলা হয়েছে শিশু বান্ধব রূপে। স্বাভাবিকভাবে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যাও বেশি এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে শিশুসুলভ করে তোলা হয়েছে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। প্রায় ৭৫ বছর পেরোনো কেশিয়াড়ি ব্লকের অরঙ্গাবাদ বিপিনবিহারী মেমোরিয়াল আংশিক বুনিয়াদী বিদ্যালয় সাজিয়ে গুছিয়ে তোলা হয়েছে সবুজ গাছ দেওয়াল চিত্র এমনকি শিশু বান্ধব বিদ্যালয় হিসেবে।

আরও পড়ুন : হারিয়ে যাচ্ছে মুখোশ, বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা এক পট শিল্পীর, জানুন

এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে প্রথমেই নজর যাবে সবুজ ক্ষেত্র বাগানের দিকে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকার সহযোগিতায় বাগান তৈরি করেছে ছাত্র-ছাত্রীরা। এরপর বিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে দেখতে পাবেন বিদ্যালয়ের সমগ্র দেওয়ালে নানান শিক্ষামূলক চিত্র। কোথাও সহজ পাঠের নানান ছড়াকে তুলে ধরা হয়েছে, কোথাও তুলে ধরা হয়েছে বিভিন্ন ঋতুর সিনারি। রয়েছে বাংলা এবং ইংরেজি মাসের নাম, ম্যাপ কোথাওছবি।যামিনী রায়ের আঁকা নানান ছবিভেতরে রয়েছে। বেশ কয়েকবার রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে মিলেছে পুরস্কার।২০১৩ সালে নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কার, ২০১৭ সালের শিশু মিত্র বিদ্যালয় পুরস্কার, ২০১৮,১৯ সালে যামিনী রায় পুরস্কার এবং 2022 সালে মিলেছে স্বচ্ছ বিদ্যালয় পুরস্কার।

আরও পড়ুন : পারকাশন জানেন? ৬৮ বছর বয়সে এসেও এই ব্যক্তির নেশা অবাক করবে

বিদ্যালয়ে শুধু পড়াশোনা নয়, পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাদের শেখান নিয়মানুবর্তিতা, সহনশীলতা এবং সৃজনশীল নানা কাজও। প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৩০০ ছাড়িয়েছে।ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্যের কথামাথায় রেখে পুষ্টিকর খাবার এবং খেলাধুলার স্বল্প পরিসর তৈরি করা হয়েছে। বিদ্যালয়ে রয়েছে কিচেন গার্ডেন থেকে নানান ব্যবস্থা। বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে রয়েছে লাইব্রেরীও।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

জেলার কাছে এই বিদ্যালয় একটি মডেল, যা শিক্ষার পরিসরকে আরও বৃদ্ধি করেছে।

রঞ্জন চন্দ