সাজিয়ে তোলা হচ্ছে দাদুবুড়োর পুতুল।

West Bardhaman News : কথা বলা, নাচ করা আধুনিক পুতুলের মাঝে আজও উজ্জ্বল রথের মেলার দাদুবুড়ো 

দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান : রথের মেলায় ঘোরাফেরা করা এবং কেনাকাটি করা বাঙালির বহু পুরানো অভ্যাস। মেলা ছাড়া রথ যেন অসম্পূর্ণ। একটা সময় রথের মেলায় মাটির পুতুল, কাঠের পুতুল ছিল বিশেষ আকর্ষণ। কিন্তু সময় বদলেছে। মেলা হয়েছে আধুনিক। পুতুলও আধুনিক হয়েছে। এখন আর সেই ভাবে মাটির পুতুল বিক্রেতা অথবা কাঠের পুতুল বিক্রেতাদের দেখা পাওয়া যায় না। আর দেখা পাওয়া গেলেও সেখানে বেচাকেনা হয় অনেক কম।

তবে এসবের মাঝেও রথের মেলায় এখনো উজ্জ্বল দাদুবুড়ো। বয়স অনেক হলেও আজও সেজেগুজে রথের মেলায় হাজির হতে দেখা যায় দাদুবুড়োকে। এখনও রথের মেলায় বসে বসে ঘাড় দোলাতে দেখা যায় তাকে। হাতে থাকে হুকো। রথের মেলায় আজও আকর্ষণ মাটির পুতুল দাদুবুড়ো। বছরের পর বছর ধরে এই বিশেষ মাটির পুতুল বিক্রি হয় রথের মেলায়। নানান আধুনিক পুতুলের মাঝেও দাদুবুড়োর চাহিদা রয়ে গিয়েছে আগের মতই।

আরও পড়ুন : ভিডিও দেখলে ভয়ে বুক কাঁপবে! তাড়াহুড়ো করে ট্রেনে ওঠার সময় পা গেল পিছলে, তারপর….

দাদুবুড়োর মূর্তি তৈরির জন্য শিল্পীরা প্রায় মাস দেড়েক আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু করে দেন। শিল্পী অরূপ পাল বলছেন, দেড় মাস আগে থেকে পুতুল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। প্রথমে পুতুলগুলি তৈরি করা হয়েছে। সেগুলি শুকনো হওয়ার পর দেওয়া হয়েছে রংয়ের প্রথম প্রলেপ। তারপর ফাইনাল রঙ দেওয়া হবে। দেওয়া হবে বৃদ্ধের সাজ। এই পুতুলগুলির ঘাড়ের জায়গায় থাকে একটি করে স্প্রিং। যে কারণে ঘাড় দোলাতে দেখা যায় মাটির পুতুলগুলিকে।

আরও পড়ুন : বাইক হবে বন্ধুর মতো! কখনও সমস্যায় ফেলবে না, সঙ্গে রাখুন ‘এই’ জিনিস

প্রসঙ্গত, মাটির পুতুল বা কাঠের পুতুলের চাহিদা এখন অনেকটাই কমেছে। কারণ শিল্পীরা বলেন, মাটির পুতুল বা কাঠের পুতুল তৈরি করতে যতটা পরিশ্রম করতে হয়, সেই তুলনায় দাম পাওয়া যায় না। লাভ হয় না বেশি। তাছাড়া নিত্য নতুন ধরনের পুতুল দেখে মাটির পুতুল বা কাঠের পুতুল অনেকেই কিনতে চান না। কিন্তু রথের মেলায় মাটির পুতুল একটা ঐতিহ্য।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

আর সেই ঐতিহ্য এখনও বাঁচিয়ে রেখেছেন বেশ কিছু শিল্পী। দাদুবুড়োর মত পুতুলের মাধ্যমে বেঁচে রয়েছে সেই ঐতিহ্য।

নয়ন ঘোষ