মেঘা দণ্ডপাঠ

Success Story: গবেষণাই পাখির চোখ, কোচিং ছাড়া শুধু নিজে পড়াশোনা করে স্নায়ুবিজ্ঞানের প্রবেশিকায় প্রথম বাঁকুড়ার ছাত্রী

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁকুড়া: “সেলফস্টাডি” বা নিজে নিজে পড়াশোনা করেই ভারতে এক নম্বর বাঁকুড়ার তনয়া। এবার সর্বভারতীয় পরীক্ষায় বাঁকুড়ার মেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করলেন গোটা দেশে। গর্বে বুক ফুলেছে সকলের। “নিমহানস” (NIMHANS) পরিচালিত প্রবেশিকা পরীক্ষায় সারা দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে চমক তৈরি করেছেন মেঘা দণ্ডপাঠ। ভারতবর্ষে উচ্চস্তরে স্নায়ুবিজ্ঞান পাঠের জন্য অত্যন্ত মর্যাদাসম্পন্ন একটি প্রতিষ্ঠান হল ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেল্থ অ্যান্ড নিউরো সায়েন্স অর্থাৎ NIMHANS।

ফল বেরোনোর পর থেকেই খুশির হাওয়া মেঘার বাড়িতে। বাঁকুড়া শহরের প্রতাপবাগানের বাসিন্দা মেঘা দণ্ডপাঠ জানান, “আমি কোনও কোচিং করিনি, শুধু মাত্রই সেলফ স্টাডি করেই পরীক্ষা দিয়েছিলাম। দিনে ১০ ঘণ্টা পড়াশোনা করতাম বলেই সফলতা এসেছে। ভবিষ্যতে রিসার্চ করতে চাই।” ক্লাস ওয়ান থেকে এইট পর্যন্ত সোনামুখীতে পড়াশোনা করেন তিনি। তার পর ক্লাস নাইন থেকে বাঁকুড়া গার্লস হাই স্কুল থেকে লেখাপড়া করেন মেঘা।

এরপর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণী বাঁকুড়া বঙ্গ বিদ্যালয় থেকে পড়ার পর বিএসসি নার্সিং করতে কলকাতার SSKM পিজিতে যান তিনি। কিছুদিন চাকরি করার পর, চাকরি ছেড়ে শুরু করেন সর্বভারতীয় এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রস্তুতি। মেঘা বলেন, “সবাই যদি চাকরির খোঁজে থাকে তাহলে রিসার্চ কারা করবে? দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে রিসার্চ করার প্রয়োজন রয়েছে।”মেয়ের এই অভাবনীয় সাফল্য খুশি বাবা রূপম দণ্ডপাঠ ও বাঁকুড়া গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা, মা সুমনা ঘোষ।

আরও পড়ুন : যখন তখন হতে পারে ফুড পয়জনিং! গ্যাস পেটফাঁপা পেটের রোগ থেকে বাঁচতে বর্ষায় ভুলেও এই খাবার খাবেন না

এ প্রসঙ্গে তাঁরা বলেন, মেয়ে আগাগোড়াই পড়াশেনায় ভাল। তবে এ বার অপ্রত্যাশিত সাফল্য হয়েছে। নিজের এই সাফল্যে খুশি মেঘা দণ্ডপাঠও। আগামী দিনের এই প্রবেশিকা পরীক্ষার পরীক্ষার্থীদের জন্য তিনি বলেন, “সেলফ স্টাডির কোনও বিকল্প হয় না। যতই কোচিং নেওয়া হোক, নিজে না পড়লে এই পরীক্ষায় পাশ করা সম্ভব নয়।”