স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়

MLA oath taking: বিধানসভার স্পিকার বিমানই শপথবাক্য পাঠ করালেন নতুন দুই বিধায়ককে, কোন নিয়মে সম্ভব হল?

কলকাতা: সায়ন্তিকা এবং রেয়াতের শপথ-জট অবশেষে কাটল। রাজ্যপাল বা ডেপুটি স্পিকার নয়, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যেপাধ্যায়ই শপথবাক্য পাঠ করালেন নব নির্বাচিত দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হুসেন সরকারকে।

লোকসভা নির্বাচনের সময়ই বরানগর এবং ভগবানগোলা বিধানসভায় উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই উপনির্বাচনের দুই আসনে জিতে বিধায়ক হন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হুসেন সরকার। কিন্তু উপনির্বাচন জিতলেও শপথ নিয়ে টালবাহানা চলছিলই। অবশেষে শুক্রবার শপথ হল নবনির্বাচিত দুই বিধায়কের, শপথবাক্য পাঠ করালেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কোন নিয়মে এটা সম্ভব হল?

আরও পড়ুন: জুনে স্থগিত হয়ে যাওয়া নিট-পিজির নয়া দিনক্ষণ ঘোষণা, কবে হবে পরীক্ষা?

সূত্রের খবর, বিধানসভা রুলস এন্ড বিজনেসের দুই নম্বর চ্যাপ্টারের পাঁচ নম্বর ধারা অনুসারে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ বাক্য পাঠ করালেন দুই বিধায়ককে।

জল্পনা চলছিল যে সায়ন্তিকা এবং রেয়াতকে শপথবাক্য পাঠ করাতে পারেন ডেপুটি স্পিকার। তবে স্পিকার যেখানে উপস্থিত সেখানে ডেপুটি স্পিকারকে কোনও দায়িত্ব পালন করতে অতীতে কখনও দেখা যায়নি। সাধারণত যখন স্পিকার বিধানসভায় উপস্থিত থাকেন তখন কোনও দায়িত্ব পালন করেন না ডেপুটি স্পিকার। যদি ডেপুটি স্পিকার শপথবাক্য পাঠ করাতেন সেটাও স্পিকারের জন্য অসম্মানের হত, একই সঙ্গে সেটা নজিরবিহীনও হত। সেই দিক থেকে ৫ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে যাবতীয় বিতর্ক এড়ালেন স্পিকার। বিধানসভার রুল বুকের পাঁচ নম্বর ধারার গুরুত্ব সর্বোচ্চ। এক্ষেত্রে বিধানসভা চলাকালীন অধ্যক্ষ পাঠ করাতে পারেন। এই ক্ষমতা রুল বুকে তাকে দেয়া হয়েছে। আর সেই জায়গা থেকে এই শপথ গ্রহণ নিয়ে যতই বিতর্ক হোক না কেন একে সংবিধান বিরোধী বলা যাবে না বলছে ওয়াকিবহাল মহল।