হুগলি: প্রথা মেনে রথযাত্রার দিন গোঘাট কামারপুকুরের শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ সংলগ্ন মাঠে, ধানের বীজ রোপন করলেন রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ ও সাধু সন্ন্যাসীরা। চিরাচরিত প্রথা মেনেই রামকৃষ্ণ দেবের পিতার জমি যার নাম লক্ষ্মী-জলা তাতেই এই দিন সকালে ধানের বীজ রোপন করেন সন্ন্যাসীরা।
তবে কেন রথের দিন ধানের বীজ বনা হয় ইতিহাস জানিয়েছেন কামারপুকুর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী লোকোত্তরনন্দ জি মহারাজ। তার কথায়, ” শ্রীরামকৃষ্ণের পিতা ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় যখন তাঁর দেশের বাড়ি ছেড়ে কামারপুকুরে এসেছিলেন, তখন তার বন্ধু স্থানীয় সুখলাল গোস্বামী লক্ষ্মীজলায় প্রায় দু’বিঘা জমি তাঁকে দান করেছিলেন। ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় প্রতি বছর তার আরাধ্যা দেবতা রঘুবীরকে স্মরণ করে নিজে হাতে লক্ষ্মীজলায় ধান রোপণ শুরু করতেন। তারপর কৃষকরা বাকি ধান রোপন করতেন।
লক্ষ্মীজলায় ধান চাষ করেই সারা বছর সংসার চালাতেন ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণের পিতা ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায়। তার তিরোধানের পর থেকে কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠের মহারাজরা সেই প্রথা চালিয়ে আসছে। রবিবার রথের দিন সেই স্মৃতিতেই এই নিয়ম পালন করেন সন্ন্যাসীরা। এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তাঁরা প্রতিবছর রথের দিন সকালে আসেন এখানে নতুন ধানের বীজ বপন উৎসব দেখতে।
শ্রীরামকৃষ্ণদেবের বাবা যা শুরু করেছিলেন তা এখনওপর্যন্ত চলে আসছে কামারপুকুর মাঠে। বিকেলে হবে রথযাত্রা উৎসব। সেখানে রথের দড়িতে টান দেবেন সাধু সন্ন্যাসীদের পাশাপাশি এলাকার সকল মানুষেও। প্রতিবছর এই দিনটি বিশেষ দিন কামারপুকুর গোঘাট এলাকার মানুষের জন্য। শুধু এলাকার নয় জেলার বাইরে থেকেও বহু মানুষ আসেন এই দিন কামারপুকুরে।
রাহী হালদার