Tag Archives: Kamarpukur

Bengali Sweet: রামকৃষ্ণের বড়ই পছন্দের ছিল এই মিষ্টি! আজও দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন অনেকে! বলুন তো, কোন মিষ্টি?

হুগলি:  হুগলি জেলার কামারপুকুরে সাদা বোঁদে ঐতিহ্যবাহী। কথিত আছে স্বয়ং রামকৃষ্ণদেবের প্রিয় ছিল সাদা বোঁদে। এই মিষ্টির চাহিদা এতটাই বেশি যে মানুষ বহু দূর-দূরান্ত থেকে এসে খালি হাতে ফিরবেন না বোঁদে নিয়েই যাবে। এমনকি কামারপুকুর এর উৎসব, অনুষ্ঠান, বিয়েবাড়ি সবকিছুতেই এই বোঁদের চাহিদা কিন্তু খুব বেশি। বোঁদে অনেক রকমের হয় তবে এমন হালকা মিষ্টি এবং শুকনো যা কামারপুকুর ব্যতীত অন্যত্র পাওয়া যায় না। ঠাকুর বেশি ভালবাসতেন সাদা বোঁদে।

এ বিষয়ে এক মিষ্টি বিক্রেতা জানান, ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের রাসমঞ্চ অভিনয় থেকে পাঠশালা পলায়ন লাহা বাড়ির সঙ্গে তার একটা অদ্ভুত যোগাযোগ ছিল। শ্রীরামকৃষ্ণদেব এই সাদা বোঁদে ভীষণ খেতে পছন্দ করতেন। তিনি এই মিষ্টি খান তার বন্ধু দুর্গাদাস মোদকের বাড়িতে। তিনি আরও বলেন, সাদা বোঁদে কামারপুকুর গ্রামের ঐতিহ্য বলা উচিত এটি আর কোন জায়গায় পাওয়া যায় না।

আরও পড়ুন-     মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

রামকৃষ্ণদেবের সাদা বোঁদের প্রতি অগাধ প্রেম ছিল। কথিত আছে শুকনো সাদা বোঁদে তাকে খেতে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, এই বিষয়ে মিষ্টি তৈরির কারিগর জানান, আতপ চাল এবং রম্ভা কলায় গুঁড়ো করা হয়। আগে ঘি দিয়ে তৈরি হতো, এখন সেটি সাদা তেল দিয়ে তৈরি হয়। এক কিলো বেসনে তিন কিলো সবেদা। আর দেড় কেজি বেসনে সাড়ে ৬ কেজি গুড়ি। পুরো জিনিসটি হবে ৩৫ কেজি। এটিকে ৪৫ মিনিটের মতো মিষ্টি রসের ভিজিয়ে রাখা হয়। গরমে পাঁচ থেকে সাত দিন বাইরে রাখলে এই মিষ্টি নষ্ট হয় না।

আরও পড়ুন-    ভয়ঙ্কর তোলপাড় পরিবর্তন! সূর্য-মঙ্গল-বুধ-শুক্রের বিরাট চালে ভাগ্যের খেলা শুরু…! কারা ভাগ্যবান, কাদের লোকসান? আপনার কপালে কী?

স্থানীয় এক বাসিন্দা সাদা বোঁদে কিনতে এসে বলেন, কামারপুকুরের বোঁদে মানে তো বিখ্যাত। মাঝে মাঝেই যখন কামারপুকুর দিয়ে আসি তখন তো বাড়িতে কিনে নিয়ে যেতেই হয়। যদি একবার খাও তাহলে বারবার খেতে ইচ্ছা করবে।

রাহী হালদার

Hooghly News: শ্রী রামকৃষ্ণদেবের পিতা শুরু করেছিলেন! সেই প্রথা আজও চলে আসছে কামারপুকুরে

হুগলি: প্রথা মেনে রথযাত্রার দিন গোঘাট কামারপুকুরের শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ সংলগ্ন মাঠে, ধানের বীজ রোপন করলেন রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ ও সাধু সন্ন্যাসীরা। চিরাচরিত প্রথা মেনেই রামকৃষ্ণ দেবের পিতার জমি যার নাম লক্ষ্মী-জলা তাতেই এই দিন সকালে ধানের বীজ রোপন করেন সন্ন্যাসীরা।

তবে কেন রথের দিন ধানের বীজ বনা হয় ইতিহাস জানিয়েছেন কামারপুকুর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী লোকোত্তরনন্দ জি মহারাজ। তার কথায়, ” শ্রীরামকৃষ্ণের পিতা ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় যখন তাঁর দেশের বাড়ি ছেড়ে কামারপুকুরে এসেছিলেন, তখন তার বন্ধু স্থানীয় সুখলাল গোস্বামী লক্ষ্মীজলায় প্রায় দু’বিঘা জমি তাঁকে দান করেছিলেন। ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় প্রতি বছর তার আরাধ্যা দেবতা রঘুবীরকে স্মরণ করে নিজে হাতে লক্ষ্মীজলায় ধান রোপণ শুরু করতেন। তারপর কৃষকরা বাকি ধান রোপন করতেন।

আরও পড়ুন: বাঙালি অভিনেত্রীর কন‍্যা! বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে প্রেম করে পালিয়ে যান, মায়ের কারণেই কেরিয়ার শেষ…চিনতে পারছেন ‘পরদেশী’ নায়িকাকে?

লক্ষ্মীজলায় ধান চাষ করেই সারা বছর সংসার চালাতেন ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণের পিতা ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায়। তার তিরোধানের পর থেকে কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠের মহারাজরা সেই প্রথা চালিয়ে আসছে। রবিবার রথের দিন সেই স্মৃতিতেই এই নিয়ম পালন করেন সন্ন্যাসীরা। এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তাঁরা প্রতিবছর রথের দিন সকালে আসেন এখানে নতুন ধানের বীজ বপন উৎসব দেখতে।

আরও পড়ুন: শেষই হতে চায় না…এত লম্বা! ২৫৬ টি কোচ, ৬ টি ইঞ্জিন, দেশের দীর্ঘতম ট্রেনের নাম জানেন কি? রাজধানী বা শতাব্দী নয় কিন্তু

শ্রীরামকৃষ্ণদেবের বাবা যা শুরু করেছিলেন তা এখনওপর্যন্ত চলে আসছে কামারপুকুর মাঠে। বিকেলে হবে রথযাত্রা উৎসব। সেখানে রথের দড়িতে টান দেবেন সাধু সন্ন্যাসীদের পাশাপাশি এলাকার সকল মানুষেও। প্রতিবছর এই দিনটি বিশেষ দিন কামারপুকুর গোঘাট এলাকার মানুষের জন্য। শুধু এলাকার নয় জেলার বাইরে থেকেও বহু মানুষ আসেন এই দিন কামারপুকুরে।
রাহী হালদার

Hooghly News কামারপুকুরের এখানেই খেলে বেড়াতেন বালক “গদাধর”! শ্রীরামকৃষ্ণের স্মৃতিধন্য আম্রকানন

কামারপুকুর: ঐতিহাসিক স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম গোঘাটের কামারপুকুর সাতবেড়িয়া মানিক রাজার রাজপ্রাসাদ সংলগ্ন আম্রকানন। এই মানিক রাজার আমবাগানে ছোটবেলায় খেলা করতেন শ্রীরামকৃষ্ণ। জানা গিয়েছে, ছোট গদাই কামারপুকুরে রাখাল বালকের সঙ্গে খেলাধূলা করতেন ওই আম্রকাননে। বর্তমানে সেই সব প্রাচীন আম গাছের দেখা না মিললেও আমবাগানটি নতুন করে গড়ে উঠছে কামারপুকুর মঠ ও মিশন। ইতিহাসের পাতা থেকে জানা যায় কামারপুকুর সাতবেড়িয়া এলাকার মানিক রাজার কামারপুকুর একটি আম্রকানন তৈরি করেন। আম্রকানন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ছোটবেলায় অনেক সময় খেলাধূলার মাধ্যমে কেটেছে। গ্রামের রাখাল বালকদের সঙ্গে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ নাকি হরিনাম সংকীর্তন করতেন। আম্র বৃক্ষের তলায় বসে হরিনাম করার পাশাপাশি ধ্যানে মগ্ন থাকত।

আরও পড়ুন: দোলের আগের দিন হয় ন্যাড়া পোড়া, যা আসলে হোলিকা দহন, কে ছিলেন এই হোলিকা জানেন কি

এই বিষয়ে এই আম বাগানে দেখাশুনার দায়িত্বে থাকা গৃহবধূ নমনীতা চক্রবর্তী জানান, এই আমবাগানটি কামারপুকুরের সাতবেড়িয়া মানিক রাজা তৈরি করেছিলেন। এখানে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণদেব ছোটবেলায় খেলাধুলা করতেন।সবচেয়ে প্রাচীন দুটি আমগাছ পড়ে গেলেও তবে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের পদধূলি ধন্য এই পবিত্র ভূমিকে নতুন করে সাজিয়ে তোলে কামারপুকুর মঠ ও মিশনঅন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ছোটবেলা থেকে এই আমবাগানটি বহু পুরনো আম গাছ দেখেছি। এই আম বাগানে ছোট্ট গদাই গ্রামে ছেলেদের সঙ্গে হরিনাম করতেন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
সব মিলিয়ে কামারপুকুর এই মানিক রাজার আম্রকানন নতুন সাজনোয় খুশি এলাকার মানুষ।

Suvojit Ghosh