পড়াশোনা চলছে আশ্রমে

Shantikunj Ashram: ওদের সব দিয়েছেন ‘দাদু’! এক ছাতার তলায় থেকে মিলছে পড়াশোনার সুযোগ

মালদহ: ওদের কারোর নেই বাবা, আবার কারোর মা। অনেকের আবার বাবা-মা কেউ নেই। কিন্তু তাতে কোন‌ও দুঃখ নেই তাদের মনে। বরং পড়াশোনা থেকে শুরু করে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনযাত্রার যাবতীয় প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাচ্ছে এই খুদেরা। আর সবটাই হচ্ছে ‘দাদু’র দৌলতে।

মালদহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনাথ শিশুদের খুঁজে বার করে এক ছাতার তলায় আশ্রয় দিয়েছেন দাদু। নিজের গ্যাঁটের টাকা খরচ করে মালদহের প্রত্যন্ত গ্রামে তৈরি করেছেন শান্তিকুঞ্জ আশ্রম। এই আশ্রমে এখন ৪০ জন খুদে থাকছে, যাদের কেউ নেই। এই আশ্রমে খুদেদের রেখে স্কুলে পড়াশোনা করাচ্ছেন দাদু। এই দাদু হলেন শান্তিকুঞ্জ আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা দেবাশিস চক্রবর্তী।

আরও পড়ুন: অগ্নিমূল্যের বাজারে কচুর জয়জয়কার! স্বস্তির সন্ধানে মধ্যবিত্ত

এমন পদক্ষেপ প্রসঙ্গে দেবাশিসবাবু বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এমন একটা ইচ্ছে ছিল মনে। অনেক দুঃখে কষ্টে থাকে এই শিশুগুলি। ওদের জন্য কিছু করতে পেরে আমি খুব খুশি। আগামীতে এই ধরনের আশ্রম আরও তৈরি করার ইচ্ছে রয়েছে বলে জানান।

মালদহ শহরের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী দেবাশিস চক্রবর্তী।গত প্রায় দেড় বছর আগে এই শান্তিকুঞ্জ আশ্রম তৈরি করেছেন।‌ হবিবপুর ব্লকের বানপুর গ্রামে রয়েছে এই আশ্রম। নিজের প্রচেষ্টায় তিনি তৈরি করেছিলেন এই আশ্রম। এখনও অবশ্য অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। অনেকেই এখন এই আশ্রমে বিভিন্ন সামগ্রী দান করছেন। এখন সার্বিক প্রচেষ্টায় চলছে আশ্রমটি। এখানকার শিশুদের পড়াশোনা শেখানোর পাশাপাশি নাচ, গান সহ বিভিন্ন সংস্কৃতি জিনিসও শেখানো হয়। জোর দেওয়া হয় শরীরচর্চায়। আশ্রমের শিক্ষিকা দেবী দাস বলেন, শিশুগুলি অবাধ্য নয়। প্রতিটি শিশুই খুব ভাল। তাই তাদের সঙ্গে সময় কাটাতে আমার খুব ভাল লাগে। নিয়মিত আমি আশ্রমে থেকে তাদের পড়াশোনা থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু দেখভাল করি।

হরষিত সিংহ