খাঁচাবন্দি লেপার্ড

Leopard Caged: এক সপ্তাহে তিনটি খাঁচা বন্দি, ডুয়ার্সে কি চিতাবাঘের সংখ্যা বেড়েছে?

জলপাইগুড়ি: ছাগল, মুরগি নিয়মিত চুরি হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু সেই চোরকে ধরতে হিমশিম খাচ্ছিলেন গ্রামবাসীরা। শেষ পর্যন্ত সেই ছাগলের টপ ফেলেই ধরতে হল চোরকে। তবে এই চোর আর কেউ নয়, একটি আস্ত চিতাবাঘ!

ডুয়ার্সের নেওড়া নদী চাবাগানে বন দফতরের পেতে রাখা খাঁচায় ধরা পড়েছে চিতাবাঘটি। এই ঘটনায় ঐ এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই এই চা বাগানে চিতা বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। গতকাল এই নেওড়া নদী চা বাগানের ৩ ও ১ নম্বর সেকশনের মাঝখানে ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা পেতেছিল বন দফতর। শুক্রবার সকালে সেই খাঁচাতেই বন্দী হল চিতাবাঘ।

আর‌ও পড়ুন: প্লাস্টিকের বোতলে সেজে উঠছে স্কুল

স্থানীয় সূত্রে খবর, এই চিতাবাঘটি বেশ কিছুদিন ধরেই উৎপাত করে বেড়াচ্ছিল। সন্ধে নামলেই শ্রমিক লাইনে ঢুকে হাঁস, মুরগি, ছাগল তুলে নিয়ে যেত। এমনকি চা বাগানে কাজ করতে আসা শ্রমিকদেরও তাড়া করত। এরপরই ঐ চা বাগানে ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা পেতে রাখেন বনকর্মীরা। এদিন খাঁচা বন্দি চিতা বাঘটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় মাল স্কোয়াডের বনকর্মীরা। খাঁচা পেতে রাখার ১২ ঘন্টার মধ্যেই চিতাবাঘটি ধরা পড়ায় স্বস্তি পেল নেওড়খ নদী চা বাগানের বাসিন্দারা।

তবে এই ঘটনার পর আরও একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে বনকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। গত এক সপ্তাহে তিনটি চিতাবাঘ খাঁচা বন্দি হয়েছে। তাছাড়াও চলতি বছর এর আগেও বেশ অনেকগুলি চিতাবাঘ খাঁচা বন্দি হয়েছে এই এলাকা ও তার আশপাশ থেকে। ফলে জল্পনা শুরু হয়েছে, তবে কি ডুয়ার্সে চিতাবাঘের সংখ্যা বেড়েছে? যদিও এই বিষয়ে বন দফতরের পক্ষ থেকে কোন‌ও মন্তব্য করা হয়নি।

সুরজিৎ দে