মুর্শিদাবাদ: বাজারের ব্যাগ ভরাতে গিয়ে রীতিমত নাভিশ্বাস অবস্থা মধ্যবিত্তের। ঊর্ধ্বমুখী প্রায় প্রতিটি সব্জির দাম। আগে বাজারে যে সমস্ত সবজি অল্প দামে পাওয়া যেত, সেই সকল সব্জির দাম এখন বেড়েছে অনেকটাই। বিশেষজ্ঞদের দাবি, দেরিতে বর্ষা ঢোকার কারণে এবং বৃষ্টিপাতের ঘাটতির কারণের জন্য সব্জির উৎপাদনকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে। সেই কারণেই আকাশচুম্বি আনাজের দাম।
আরও পড়ুন: চাকরিজীবীদের জন্য বিপুল সুবিধা! বাড়ল স্ট্যানডার্ড ডিডাকশনের পরিমাণ, ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর
বর্তমানে নিত্যদিন বাড়ছে সবজির দাম। যার কারণে মাথায় হাত সাধারণ মানুষের। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালানো হচ্ছে টাস্ক ফোর্সের তরফ থেকে। আর সেই অভিযান চালাতে গিয়েই দেখা গেল অন্য চিত্র। সব্জির দামে পাইকারি থেকে খুচরা বাজারে দেখা গেল বিস্তর ফারাক। যা নজরে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের। মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত সব্জির বাজার। এই বাজারের ওপর নির্ভর করে থাকে বিভিন্ন ব্লকের মানুষজন। কান্দি বাসস্ট্যান্ডের বাজারে পাইকারি এবং খুচরো দু’টি বাজারই অবস্থিত।
আরও পড়ুন: সস্তা হচ্ছে সোনা, রুপো! গয়না কিনলে বিশেষ সুবিধা পাবেন, বড় ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর
যদিও বিক্রেতাদের দাবি, অকাল খরা, আকাশে বৃষ্টি নেই, ফলে সবজির দাম আকাশ ছোঁয়া হয়েছে। পাইকারি বাজারে অনেক কিছু বাদ থাকে। একনজরে দামের তালিকাঃ বেগুন ৪০টাকা, শসা ২০টাকা, ডাঁটা ১৪০-১৬০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এমনকী আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি প্রতি হিসাবে। পাইকারি বাজারে আলু বর্তমানে ৫০কেজি বস্তা ১২৫০ টাকাতে বিক্রি হচ্ছে ফলে এক কেজি আলুর দাম হওয়া উচিৎ ২৫টাকা। কিন্তু খুচরো বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি প্রতি হিসেবে। অন্য দিকে, পিঁয়াজ ৩০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পটল ৬০, ঝিঙে ৮০, উচ্ছে ৮০, সজনে ডাঁটা ২৬০, ক্যাপসিক্যাম ১২০, বিন ২০০, কাঁচা লঙ্কা ১৫০, ঢ্যাঁড়শ ৭০। কচু ৮০, জ্যোতি আলু ৩৫, চন্দ্রমুখী আলু ৪০, পেঁয়াজ ৫০, আদা ২৫০, রসুন ৩০০ টাকাতে বিক্রি হচ্ছে।