নয়াদিল্লি: উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে এমনই এক প্রস্তাবনা দিয়ে এসেছেন বলে জানালেন রাজ্যের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার৷ যা নিয়ে ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে৷ বিজেপি নেতার এ হেন প্রস্তাবকে বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাব বলে তোপ দেগেছেন বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়৷
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমি দেখা করেছি৷ দেখা করে আমি তাঁর হাতে একটি প্রস্তাব তুলে দিয়ে এসেছি আপাতত৷ একটি প্রেজেন্টেশন তুলে দিয়ে এসেছি, যাতে নর্থ ইস্টের সাথে উত্তরবঙ্গের সিমিলারিটি কী কী আছে? এবং তার ফলে উত্তরবঙ্গকে কী ভাবে নর্থ ইস্টের অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে, এই ধরনের প্রোপোজাল আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দিয়েছি৷ এবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি বিচার করবেন এবং আগামিদিনে যদি নর্থ ইস্টের সঙ্গে উত্তরবঙ্গ যুক্ত হয়, উত্তরবঙ্গ পশ্চিমবঙ্গের অংশ হিসাবে যদি নর্থ ইস্টের সঙ্গে যায়, এর ফলে উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা অনেক বেশি পরিমাণে পাওয়া যাবে, এবং তার সাথে সাথে এলাকার উন্নয়ন হবে৷ আমার মনে হয় রাজ্য সরকারও এতে বাধা দেবে না এবং রাজ্য সরকারের সহযোগিতা আমরা পাব৷’’
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি সুকান্ত মজুমদার উত্তর-পূর্ব ভারত উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীও৷
যদিও সুকান্ত মজুমদারের এই ভিডিও সামনে আসার পর থেকেই এমন প্রস্তাবনার তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল৷ এমন প্রস্তাবকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ মনস্কতা বলে উল্লেখ করেছেন প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়৷
তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘এই মন্তব্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিচ্ছিন্নতাবাদী মন্তব্য৷ যে সংবিধানকে সাক্ষী করে উনি শপথ নিয়েছেন, সেই সংবিধানেরই উনি উল্লঙ্ঘন করেছেন৷ এমনকি, প্রধানমন্ত্রীরও এমন অসাংবিধানিক এবং বেআইনি দাবি গ্রহণ করার ক্ষমতা নেই৷ ২০১১ সাল থেকে এই রাজ্যে একের পর এক নির্বাচনে হার হয়েছে বিজেপির৷ সেই কারণেই পশ্চিমবঙ্গকে ভাঙতে চাওয়ার নোংরা ষড়যন্ত্র করছে ওরা৷’’