দিল্লি বন্যায় মৃত নবীন ডালবিন

UPSC Aspirant Death: দিল্লির কোচিং সেন্টারে ডুবে IAS পড়ুয়া ছেলের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি মা!

নয়াদিল্লি: “কারুর যেন এইভাবে প্রাণ হারাতে না হয়”- নিজের ভাইপোকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে এই কথাই বলছেন কেরলের এক পড়ুয়ার কাকা।দিল্লি বন্যা দুর্ঘটনায় তিনজন প্রাণ হারানোর পর গোটা দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। শনিবার দিল্লিজুড়ে প্রবল বর্ষণের জেরে গোটা রাজধানী প্লাবিত হয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন: দিল্লির ঘটনায় সলিল সমাধি ইউপিএসসি পড়ুয়া তানিয়ার, হাহাকার পিতার

ঠিক সেই সময়েই দিল্লির পুরাতন রাজেন্দ্র নগর এলাকার একটি লাইব্রেরির বেসমেন্টে আটকে পড়ে তিনজন ইউপিএসসি পরীক্ষার্থী মারা যান।
মৃতদের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের শ্রেয়া যাদব, তেলেঙ্গনার তানিয়া সোনি এবং কেরলের নবীন ডালবিন- মোট এই তিনজনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে।
এই নিহতদের মধ্যে ছিলেন কেরলের নবীনও। ২৮ বছরের যুবক কেরলের এরনাকুলাম থেকে আট মাস আগে রাজধানীতে আসেন।

আইএএসের পরীক্ষার প্রস্তুতির পাশাপাশি তিনি দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডিও করছিলেন। শনিবার সকাল দশটা নাগাদ তিনি ওই অভিশপ্ত লাইব্রেরিতে ঢোকেন। তখনও তিনি জানেন না কী ঘটতে চলেছে আর কিছুক্ষণ পর। সংবাদসংস্থা সিএনএন নিউজ১৮ মৃত নবীনের কাকা লিনু রাজের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তিনি আপাতত তাঁর ভাইপোর দেহ সংগ্রহ করতে দিল্লি এসেছেন। সংবাদসংস্থাকে শোকাতুর আত্মীয় জানান, “গতকাল দিল্লি এসেছি। পুরাতন রাজেন্দ্র নগর পুলিশ স্টেশনে এসে ভাইপোর দেহ শনাক্ত করেছি। আগামিকাল সকাল ১০টায় ময়নাতদন্ত শুরু হবে। এরপর সন্ধ্যায় দেহ নিয়ে ফিরব।”

ছটফটে, প্রাণচঞ্চল তরুণের মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই শোকে ভেঙে পড়েছেন নবীনের কাকা। তিনি জানান, তাঁর বাবা-মা দিল্লি আসতে পারেন নি। সংবাদসংস্থাকে তিনি বলেন, “ছেলের দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকেই তাঁর মা হাসপাতালে ভর্তি।” দুর্ঘটনার পর যেভাবে একে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা চলছে সেটা নিয়েও বিরক্ত লিনু। তিনি বলেন, “এই ঘটনার জন্য আমি কাউকেই দায়ি করছি না। কিন্তু আমি আশা করব এই ধরনের ঘটনা যেন ভবিষ্যতে না ঘটে। আমরা প্রত্যেকেই মানুষ, ভুল গুলো আমাদের প্রত্যেকেরই শুধরে নেওয়াটাই কাম্য। পরিবারের তরফ থেকে লিনু একটাই দাবি জানান ভুল শুধরে নিয়ে কর্তৃপক্ষ যেন আরও সজাগ হয়।

আরও পড়ুন: IAS পরীক্ষার্থীর জলে ডুবে অকালমৃত্যুর জের! কড়া অবস্থান নিল দিল্লি পুরসভা

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কোনও প্রাণ এইভাবে ঝরে যেতে পারে না। প্রশাসনের উচিত আরও সজাগ ভাবে সবদিকে নজর দেওয়া।” দিল্লির এই বন্যা দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট তিনজন ইউপিএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবার একাধিক গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। ইতিমধ্যেই প্রশাসন একজন জুনিয়র ইঞ্জিনয়র এবং অ্যাসিট্যান্ট ইঞ্জিনয়রকে সাসপেন্ড করেছে প্রশাসন।