Tag Archives: Delhi Police

Delhi Police Arrests: ৬০ কিমি রাস্তা, সামনে অভিযুক্তের গাড়ি, পিছনের পুলিশের,ঠিক যেন সিনেমার দৃশ্য…

দিল্লি: ৬০ কিমি রাস্তা জুড়ে ছুটে চলেছে দুটো গাড়ি৷ সামনে অভিযুক্তের গাড়ি, তাকে ধাওয়া করছে পুলিশের গাড়ি৷ ঠিক যেন সিনেমার মতো৷

যদিও এই দৃশ্য সিনেমার একেবারেই নয়৷ একেবারেই বাস্তব ঘটনা৷ রবিবার, ৬০ কিলোমিটার পথ ধাওয়া করে এক বেসরকারি সংস্থার সিইও সঞ্জীব জৈনকে আটক করে দিল্লি পুলিশ৷

আরও পড়ুন:কেরলের পাশে কর্ণাটকের সরকার, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০০টি ঘর নির্মাণের ঘোষণা কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সঞ্জীব জৈনের বিরুদ্ধে চারটে অ-জামিনযোগ্য ও জামিনযোগ্য ধারা ছিল৷ গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায় সঞ্জীব জৈন ভারত ছাড়ার পরিকল্পনা করছে৷

আরও পড়ুন: ‘‘জলপ্রপাতের কাছে ধস নামবে৷ সব ধ্বংস হয়ে যাবে৷’’ ম্যাগাজিনের গল্পই বাস্তব হয়ে ফিরল বিপর্যস্ত কেরলে

এর পর থেকেই ওয়ারেন্ট নিয়ে দিল্লি পুলিশের এক বিশেষ টাস্ক ফোর্স সঞ্জিব জৈনকে ধরার চেষ্টা করছিল৷

তাঁরা জানতে পেরেছিলেন, সঞ্জীব হরিয়ানার গুরুগ্রামে ডিএলএফ ফেজ-২র একটা অ্যাপার্টামেন্টে ছিলেন৷ সেখান থেকেই ৬০ কিলোমিটার ধরে ধাওয়া করে পুলিশে শেষ অবধি তাঁকে দরে ফেলতে সক্ষম হয়৷

শাহাদারার ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ সুরেন্দ্র চৌধুরী জানান, এক বেসরকারি সংস্থার সিইও ছিলেন তিনি৷

সেই সংস্থা্র বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে কনজিউমার কমিশনে এক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল৷ সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই তদন্ত শুরু করে দিল্লির পুলিশ৷ আর তার পরই ফিল্মি কায়দায় এই গ্রেফতারি৷

UPSC Aspirant Death: দিল্লির কোচিং সেন্টারে ডুবে IAS পড়ুয়া ছেলের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি মা!

নয়াদিল্লি: “কারুর যেন এইভাবে প্রাণ হারাতে না হয়”- নিজের ভাইপোকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে এই কথাই বলছেন কেরলের এক পড়ুয়ার কাকা।দিল্লি বন্যা দুর্ঘটনায় তিনজন প্রাণ হারানোর পর গোটা দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। শনিবার দিল্লিজুড়ে প্রবল বর্ষণের জেরে গোটা রাজধানী প্লাবিত হয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন: দিল্লির ঘটনায় সলিল সমাধি ইউপিএসসি পড়ুয়া তানিয়ার, হাহাকার পিতার

ঠিক সেই সময়েই দিল্লির পুরাতন রাজেন্দ্র নগর এলাকার একটি লাইব্রেরির বেসমেন্টে আটকে পড়ে তিনজন ইউপিএসসি পরীক্ষার্থী মারা যান।
মৃতদের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের শ্রেয়া যাদব, তেলেঙ্গনার তানিয়া সোনি এবং কেরলের নবীন ডালবিন- মোট এই তিনজনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে।
এই নিহতদের মধ্যে ছিলেন কেরলের নবীনও। ২৮ বছরের যুবক কেরলের এরনাকুলাম থেকে আট মাস আগে রাজধানীতে আসেন।

আইএএসের পরীক্ষার প্রস্তুতির পাশাপাশি তিনি দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডিও করছিলেন। শনিবার সকাল দশটা নাগাদ তিনি ওই অভিশপ্ত লাইব্রেরিতে ঢোকেন। তখনও তিনি জানেন না কী ঘটতে চলেছে আর কিছুক্ষণ পর। সংবাদসংস্থা সিএনএন নিউজ১৮ মৃত নবীনের কাকা লিনু রাজের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তিনি আপাতত তাঁর ভাইপোর দেহ সংগ্রহ করতে দিল্লি এসেছেন। সংবাদসংস্থাকে শোকাতুর আত্মীয় জানান, “গতকাল দিল্লি এসেছি। পুরাতন রাজেন্দ্র নগর পুলিশ স্টেশনে এসে ভাইপোর দেহ শনাক্ত করেছি। আগামিকাল সকাল ১০টায় ময়নাতদন্ত শুরু হবে। এরপর সন্ধ্যায় দেহ নিয়ে ফিরব।”

ছটফটে, প্রাণচঞ্চল তরুণের মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই শোকে ভেঙে পড়েছেন নবীনের কাকা। তিনি জানান, তাঁর বাবা-মা দিল্লি আসতে পারেন নি। সংবাদসংস্থাকে তিনি বলেন, “ছেলের দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকেই তাঁর মা হাসপাতালে ভর্তি।” দুর্ঘটনার পর যেভাবে একে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা চলছে সেটা নিয়েও বিরক্ত লিনু। তিনি বলেন, “এই ঘটনার জন্য আমি কাউকেই দায়ি করছি না। কিন্তু আমি আশা করব এই ধরনের ঘটনা যেন ভবিষ্যতে না ঘটে। আমরা প্রত্যেকেই মানুষ, ভুল গুলো আমাদের প্রত্যেকেরই শুধরে নেওয়াটাই কাম্য। পরিবারের তরফ থেকে লিনু একটাই দাবি জানান ভুল শুধরে নিয়ে কর্তৃপক্ষ যেন আরও সজাগ হয়।

আরও পড়ুন: IAS পরীক্ষার্থীর জলে ডুবে অকালমৃত্যুর জের! কড়া অবস্থান নিল দিল্লি পুরসভা

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কোনও প্রাণ এইভাবে ঝরে যেতে পারে না। প্রশাসনের উচিত আরও সজাগ ভাবে সবদিকে নজর দেওয়া।” দিল্লির এই বন্যা দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট তিনজন ইউপিএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবার একাধিক গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। ইতিমধ্যেই প্রশাসন একজন জুনিয়র ইঞ্জিনয়র এবং অ্যাসিট্যান্ট ইঞ্জিনয়রকে সাসপেন্ড করেছে প্রশাসন।

“মাইক্রোসফট থেকে বলছি”- ৩.৩ কোটি টাকা হাতিয়ে যুবক এখন ইডির জালে

নয়াদিল্লি: টাকা হাতানোর নিত্য নতুন উপায় বের করছে জালিয়াতবাজেরা। এবারে পুলিশের জালে ধরা পড়ল দিল্লি নিবাসী এক তরুণ।
ঘটনাটি হল গত বছর জুলাইয়ের। আমেরিকা নিবাসী এক মহিলার থেকে ৩.৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় ওই তরুণ। নিজেকে মাইক্রোসফটের প্রতিনিধি বলে এই জালিয়াতি করেন ওই তরুণ।
অভিযোগকারিণী লিসা রথ এরপরেই আন্তর্জাতিক এবং ভারতে অভিযোগ জানান। অভিযোগ পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে ইডি।
প্রায় একবছর ধরে অনুসন্ধান চালানোর পর লক্ষ্য ভিজ নামে ওই তরুণকে পাকড়াও করেছে কেন্দ্রীয় এই সংস্থা। ইডি সুত্রে খবর লক্ষ্য মূলত একজন বুকি এবং ক্রিপটোকারেন্সি হ্যান্ডেলার।

আরও পড়ুন: গাড়ির ছাদে স্পাইডারম্যান, ধরা পড়ল পুলিশের হাতে!

দিল্লির দিলসাদ গার্ডেন নিবাসী এই তরুণকে দিল্লিরই ক্রস রিভার মল থেকে গুজরাত পুলিশ গ্রেফতার করে।
কিভাবে ঘটল এই জালিয়াতি?
অভিযোগকারিণীর থেকে টাকা পাওয়ার পর তা প্রথমে এসে পৌঁছায় প্রফুল গুপ্তর এবং তাঁর মা সরিতা গুপ্তার কাছে। এরপর তদন্ত করে দেখা যায় এরপর তা টাকা এসে পৌঁছায় করণ চুগের কাছে। এরপর তা আরও বিভিন্ন ওয়ালেটে ছড়িয়ে পড়ে।
কিভাবে লক্ষ্য মাস্টারমাইন্ড হয়ে উঠলেন এই জালিয়াতির?
লক্ষ্য এই অপারেশনের মাস্টারমাইন্ড হয়ে ওঠে। তদন্ত করে দেখা যায় বিভিন্ন ওয়ালেট থেকে সেই অর্থ শেষে এসে পৌঁছায় লক্ষ্য ভিজের একাউন্টে। তদন্তকারী সংস্থা মূলত অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করেছে লক্ষ্য ভিজকেই। কারণ সমস্ত অর্থই ক্রিপটোকারেন্সির মাধ্যমে তা ওই যুবকের কাছেই এসে পৌঁছেছে। তাই জালিয়াতি করেও রেহাই পেলেন না লক্ষ্য। আপাতত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে এই জালিয়াত।

গাড়ির ছাদে স্পাইডারম্যান, ধরা পড়ল পুলিশের হাতে!

নয়াদিল্লি: কথায় বলে আইনের হাত নাকি মস্ত বড়। তা থেকে রেহাই পান না স্বয়ং স্পাইডারম্যানও। নাহ, তবে কমিকসের চরিত্র নয় দিল্লির বাসিন্দা ২০ বছর বয়সী “স্পাইডারম্যান”রূপী এক তরুনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। দিল্লির দ্বারকায় তাঁকে গাড়ির ছাদে বিপদজনকভাবে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে।
ওই তরুণের সঙ্গে গাড়ি চালক হিসাবে ১৯ বছর বয়সী গৌরব সিং-কেও আটক করা হয়েছে। মোট ২৬ হাজার টাকার জরিমানা ধার্য করেছে দিল্লি পুলিশ।

আরও পড়ুন: অসহায় বাংলাদেশিদের আশ্রয় দেওয়ার ঘোষণা, মমতার মন্তব্যে কী প্রতিক্রিয়া ঢাকার?

পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে এক্স হ্যান্ডেল (সাবেক টুইটার) থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছিল একটি স্করপিও গাড়ি দ্বারকা অঞ্চলে দেখা গেছে যেখানে স্পাইডারম্যানের জামা পরিহিত এক যুবককে বনেটের উপর বসে থাকতে দেখা যায়। অভিযোগ পাওয়ার পরেই আধিকারিকরা যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে।

 

গাড়িটির খোঁজ এরপরে দ্বারকার রামফল চকের কাছ থেকে পাওয়া যায়। স্পাইডারম্যান কস্টিউম পরিহিত ওই যুবকের নাম আদিত্য, বয়স ২০ বছর। তিনি নজফগড়ের বাসিন্দা এবং গৌরব মহাবীর এনক্লেভের বাসিন্দা।
গাড়ি চালককে বিপদজনকভাবে গাড়ি চালানো, দূষণের কাগজ না থাকা, সিট বেল্ট না পরা-সহ একাধিক মামলায় ২৬ হাজার টাকার জরিমানা ধার্য করেছে দিল্লি পুলিশ।

এর আগেও এই ধরনের কীর্তি করেছেন এই আদিত্য। দিল্লি পুলিশের ভাষায় এই “স্পাইডারম্যান দম্পতি” দেখা গেছিল আগেও।
আদিত্য এবং তাঁর বান্ধবী অঞ্জলিকে হেলমেটহীন ভাবে দেখা গেছিল ইন্সটাগ্রামের এক রিলে। সেখানে লেখা ছিল “স্পাইডারম্যান নজফগড় পার্ট ৫”। প্রথমে তাঁরা দুজনে হাত মেলান এরপরেই অঞ্জলি স্পাইডারম্যানের কস্টিউম পরেই বিপদজনক ভাবে বাইকের উপরে দাঁড়িয়ে স্টান্ট দেখাতে থাকেন।
দিল্লি পুলিশ তক্কে তক্কে থেকে এবারে হাতেনাতে পাকড়াও করে নজফগড়ের স্পাইডারম্যানকে।

Mahua Moitra: ‘পাজামা’ মন্তব্যের জের…! মহুয়ার বিরুদ্ধে FIR দিল্লি পুলিশের, ‘গ্রেফতার করতে নদিয়ায় আসুন’ পাল্টা চ্যালেঞ্জ তৃণমূল সাংসদের

নয়াদিল্লি: কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে ন্যায় সংহিতার সেকশন ৭৯ অনুসারে এফআইআর দায়ের করল দিল্লি পুলিশ। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান রেখা শর্মার বিরুদ্ধে তাঁর ‘পাজামা’ মন্তব্যের জেরে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ফৌজদারি নয়া দণ্ডবিধি ন্যায় সংহিতা চালু হওয়ায় মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই এই আইনের কোপে পড়লেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।

হাথরসে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরেই ঘটনার শুরু। প্রসঙ্গত সেখানকার পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতেই হাথরস পৌঁছেছিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান রেখা শর্মা। তারই একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে যেখানে দেখা যায় একজন লোক রেখা শর্মার পিছনে ছাতা ধরে হাঁটছেন। যা নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় সরব হন নেটিজেনরা। সেখানেই মহুয়া মন্তব্য করেন, ‘তিনি তাঁর বসের পাজামা ধরতে ব্যস্ত।’ মহুয়ার এই মন্তব্য ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক।

অভিযোগ ওঠে একজন মহিলা ও জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধানকে নিয়ে ‘অপমানজনক’ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেছেন তৃণমূল সাংসদ। এই ঘটনায় লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি দিল্লি পুলিশেও অভিযোগ জানায় জাতীয় মহিলা কমিশন। কৃষ্ণনগরের সাংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়ে তিন দিনের মধ্যে কমিশনকে রিপোর্ট দেওয়ার কথাও বলা হয়।

আরও পড়ুন: লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ভাগ্য পরীক্ষা আজ! নিট ইউজি-মামলায় শুনানি সুপ্রিম কোর্টে, কাউন্সেলিং শুরু কবে?

যদিও এই ঘটনার প্রেক্ষিতে জাতীয় মহিলা কমিশনের পাশাপাশি দিল্লি পুলিশকে পাল্টা নিশানা করেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। মহিলা কমিশনের বার্তা তুলে ধরেই মহুয়া লেখেন, ‘দিল্লি পুলিশ আসুন অবিলম্বে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। যদি তিনদিনের মধ্যে আমাকে গ্রেফতার করতে চান, তাহলে নদিয়ায় আসুন। এখন আমি নদিয়াতেই রয়েছি।’ একইসঙ্গে কটাক্ষের সুরে তিনি লেখেন, ‘আমি আমার নিজের ছাতা নিজে ধরতে পারি।’

রাতের অন্ধকার নামতেই আচমকা পুলিশি অভিযান; এরপর যা হল… শিউরে উঠছেন এলাকার বাসিন্দারা !

নয়াদিল্লি: খোদ রাজধানীর বুকে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। আউটার দিল্লির পশ্চিম বিহার এলাকায় একটি বাড়ির দরজায় ধাক্কা দেয় পুলিশ। আর দরজা খুলতেই রীতিমতো হতচকিত হয়ে যান তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে ২ মহিলা-সহ প্রায় ৪৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। আর পুলিশের এহেন তৎপরতা দেখে তাজ্জব বনে যান এলাকার বাসিন্দারা। সকলের মনেই ঘুরপাক খেতে থাকে একটা প্রশ্ন। কী এমন ঘটল যে, এত রাতে পুলিশ এত জন মানুষকে গ্রেফতার করল?

আসলে সন্ধ্যা নামতে না নামতেই আলোয় ভরে উঠতে থাকে এই বাড়িটি। আর রাত যত গভীর হয়, এই বাড়িটিতে ততই বাড়তে থাকে মানুষের আনাগোনা। আর মানুষের ভিড় বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্দর থেকে আসতে শুরু করে অদ্ভুত আওয়াজ। এমতাবস্থায় বাড়িটির আশপাশের মানুষই পুলিশের কাছে খবর দেন। আর খবর পেয়েই তড়িঘড়ি গভীর রাতেই ওই বাড়িতে পৌঁছে যায় পুলিশ। আর দরজা খুলতেই তো চক্ষু চড়কগাছ। দেখা যায়, ভিতরে চলছে জুয়া খেলা। এরপর সঙ্গে সঙ্গে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ জন মহিলা-সহ মোট ৪৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- দীর্ঘ ৩০ বছর পরে তৈরি হতে চলেছে বিরল যোগ; নবরাত্রির প্রথম দিনেই ঘরে আনুন এইসব সামগ্রী, উন্নতি কেউ আটকাতে পারবে না !

আউটার দিল্লির ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ জিমি চিরাম বলেন যে, স্থানীয় পুলিশ শুক্রবার রাতে মুলতান নগরের একটি বাড়িতে জুয়া চক্র চালানোর খবর পেয়েছিল। এরপরেই তৎপর হয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চিরাম আরও বলেন, ‘ইনস্পেক্টর পবন কুমার এবং সাব ইনস্পেক্টর চন্দন পাসোয়ানের নেতৃত্বে একটি দল গঠন করা হয়েছিল। তাঁরা ওই বাড়িটিতে অভিযান চালিয়ে দুই মহিলা-সহ ৪৫ জনকে গ্রেফতার করেছে।’

আরও পড়ুন– টুয়েলভথ পাশ গ্রামের মহিলা, ইংল্যান্ডের যুবকের সঙ্গে দাপিয়ে কথা বললেন ইংরেজিতে! ভাইরাল ভিডিও

পুলিশ জানায়, ওই অভিযান চালিয়ে নগদ ৯,৫৩,৪৯৫ টাকা, ১৮ তাসের প্যাকেট, ১৬টি পাশা, শক্ত প্লাস্টিকের ২৫টি আয়তাকার টোকেন এবং ৯৬টি রাউন্ড টোকেন উদ্ধার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি এ-ও জানানো হয়েছে যে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পশ্চিম বিহার থানায় দিল্লি পাবলিক জুয়া আইনের প্রাসঙ্গিক ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৬ ধারার অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।