হুগলি: হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে কার্যত ক্ষুব্ধ হুগলি সংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। অব্যবস্থা ও হাসপাতালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের ছবি নিজেই তুলে রাখলেন নিজের মোবাইলে। হুঁশিয়ারি দিলেন হাসপাতাল সুপার ও কর্তৃপক্ষকে। “হাসপাতালে কুকুর ছাগল যেন না ঘোরে, ঝাঁ চকচকে যেন হয়ে যায়” জানালেন রচনা।
আরও পড়ুনঃ হয়ে উঠেছিল ভগ্নপ্রায়, নিজেদের অর্থে ডাকঘর গড়লেন বাসিন্দারা… চমকে উঠল গোটা গ্রাম
সোমবার হুগলি জেলা শাসকের সঙ্গে তাঁর সংসদ এলাকার উন্নয়নে কী কী কাজ করণীয় সে বিষয়ে আলোচনা করেন হুগলির তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। তারপরই মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দফতর হয়ে ইমামবাড়া জেলা হাসপাতাল সারপ্রাইজ ভিজিটে চলে যান সংসদ। হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন। প্রসূতি বিভাগে প্রসূতিদের পাশেই ভাঙা মেশিন প্লাস্টিকের প্যাকেট বাক্স পড়ে থাকায় নিজের মোবাইল বের করে ছবি তোলেন। সদ্যজাতদের এসএনসিইউতে রয়েছে আর মায়েরা মেঝেতে বসে আছে অস্বাস্থ্যকর জায়গায়। এই দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে হাসপাতাল সুপারকে হুঁশিয়ারিও দেন সংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রচনা বলেন, ‘হাসপাতাল সুপার অমিতাভ মন্ডলকে বলেন, মায়েরা মেঝেতে শুয়ে আছে তাদেঁরকে ডেট দেওয়া যায় না? এটা আমি আশা করিনি। এতদিন কে ছিল আমার জানার দরকার নেই। এখন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে এসেছে। হাসপাতালের চিত্র যেন পাল্টে যায়।হাসপাতালে যেন কুকুর ছাগল না ঘোরে। ঝাঁ চকচকে হয়ে যায়। আমি ছবি তুলে রাখলাম। হাসপাতালে চেহারা যেন পাল্টে যায়। তারপর আপনাদের কী প্রয়োজন সেটা বলবেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনাদের পাশে থাকবে।’
রাহী হালদার