শাবক সহ বাঘিনী

Royal Bengal Tiger: সুন্দরবনে থাকবে শুধুই দক্ষিণরায়, ব্যাঘ্র দিবসে প্রতিজ্ঞা বন দফতরের

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ব্যাঘ্র দিবসে প্রতিজ্ঞা নিল বন দফতর। বাঘের ডেরা সুন্দরবন থাকবে শুধুই বাঘেদের জন্য। একসময় চোরাশিকারীদের উৎপাতে সুন্দরবনের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের অস্তিত্ব সঙ্কটের মুখে পড়েছিল। তবে গত কয়েক বছর ধরেই টানা বাঘের সংখ্যা বাড়ছে। এর ফলে সুন্দরবনে পর্যটকদের ভিড়‌ও বাড়ছ।

বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধিটা যদি সুখবর হয় তবে চিন্তার খবরও আছে। সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সম্পদ আরোহণকারীদের সমস্যাও ক্রমশ বাড়ছে। দু’বছর আগে সুন্দরবনে ১০১ টি বাঘের থাকার কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। সেই সংখ্যা আরও কিছুটা বেড়েছে বলে এবারে দাবি করল সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকরা। গত নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের তরফে ফের বাঘ গুনতে ক্যামেরা বসানো হয় সুন্দরবনের জঙ্গলে। সেই ছবি বিশ্লেষণ করেই বন দফতরের দাবি, এক ধাক্কায় অনেকটাই বংশবৃদ্ধি ঘটেছে বাঘের। এক বছরের কম বয়সের শাবকদের গণনায় ধরা হয় না। এ বারের ছবিতে এই বয়সি বেশ কিছু শাবক দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি, ১ থেকে ৩ বছর বয়সি বাঘের বাচ্চারও দেখা মিলেছে। সেই বৃদ্ধির হার প্রায় ২০ শতাংশের কাছাকাছি। তবে সুন্দরবনের জঙ্গলে বর্তমানে বাঘের সঠিক সংখ্যা কত তা বলেননি বনকর্তারা।

আর‌ও পড়ুন: নিজের বাড়ি ফেরত চেয়ে জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে পবনের সংসার!

বাদাবনে সুস্থ প্রজনন করতে সক্ষম হওয়াটাই রয়্যাল বেঙ্গলের সংখ্যা বৃদ্ধির মূল কারণ। চার বছর অন্তর দেশে বাঘ গণনার কাজ হয়। সুন্দরবনের জঙ্গলে স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা বসিয়ে বাঘেদের গতিবিধির ছবি তোলা হয়। সেই ছবি বিচার-বিশ্লেষণ করে বাঘের সংখ্যা নির্ধারণ করে বন দফতর। দেশের সব ব্যাঘ্র প্রকল্পের তরফে এই কাজ করা হয়। কাজের শেষে বাঘের ছবি বিশ্লেষণ করে পাওয়া তথ্য প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় সরকার। গত কয়েকটি বাঘসুমারিতেই সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বাড়তে দেখা গিয়েছিল। ২০১৮ সালে বাঘের সংখ্যা ছিল ৮৮ টি। ২০২২ সালে তা আরও বেড়ে ১০১ টি হয়।

প্রতি বছর নিজেদের মত করে জঙ্গলে ক্যামেরা বসিয়ে এলাকায় বাঘেদের পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা হয়। সুন্দরবনে ব্যাঘ্র প্রকল্প সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে এই কাজ শুরু হয়েছিল। জঙ্গলের মোট ৭৩২ টি জায়গা চিহ্নিত করে প্রতি জায়গায় দু’টি করে মোট ১৪৬৪ টি স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা বসানো হয়।গত কয়েক মাস ধরে সেই ক্যামেরা থেকে পাওয়া ছবির তথ্য বিশ্লেষণ করে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির এই সুখবর পাওয়া গিয়েছে। আর তাতেই খুশি সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের কর্তারা। খুশি পরিবেশ প্রেমীরাও। তাদের মতে, সঠিক বাস্তুতন্ত্র রক্ষা করতে গেলে জীব বৈচিত্রের ভারসাম্য রক্ষার খুব দরকার আছে।

সুমন সাহা