সুরজিৎ দে, জলপাইগুড়ি: পর্যটকদের নয়া আকর্ষণ! তিস্তার বুকেই থাকছে নৌকাবিহারের সুযোগ! উত্তরবঙ্গ মানেই প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের বাহার। স্রোতস্বিনী তিস্তা বর্ষায় ভয়াল রূপ নিলেও সারাবছর থাকে মায়াবী। আর বর্ষার দাপট কেটে গেলে জুলাই থেকেই জলপাইগুড়ির তিস্তাপার হয় অন্যতম ভ্রমণস্থান। বর্ষায় তিস্তাপারের খানিক জায়গায় জমা পলিতে জন্মাচ্ছে কাশফুল। জানান দিচ্ছে শরৎ আসছে। একদিকে কাশফুলের আগমন, তুলোর মতো মেঘের ছোঁয়া পেতে আর তিস্তার বুকে হিমেল বাতাসে প্রিয়জনদের সঙ্গে নৌকাবিহারে মজতে জলপাইগুড়ি জেলাবাসী থেকে শুরু করে পর্যটকদের ভিড় বাড়ে বিকেল হলেই।
তাঁদের হাতছানি দেয় তিস্তার বুকে ঘুরে বেড়ানো ময়ূরপঙ্খী, পক্ষীরাজ, লক্ষ্মী, সুন্দরীরা। এগুলো সবই নৌকাগুলির নাম। মাঝের একমাস বর্ষায় এই তিস্তাই স্থানীয় বাসিন্দাদের কপালে ভাজ ফেলেছিল। এখন সেই তিস্তাই অনেকের রুজি রুটির উপায়। আসলে তিস্তা কেড়ে নিলেও দু হাত ভরে ফিরিয়ে দিতেও কুন্ঠা করে না। নৌকায় উঠলেই জনপ্রতি গুনতে হবে মাত্র ৫০ টাকা। এরপর যতদূর ভ্রমণ, সেরকম ভাড়া।
মাঝি ভাইদের কথায়, বর্ষার পর পুজোর আগমনী সময় থেকে নৌকা চালিয়েই সংসার চলে তাঁদের। বছরের অন্যান্য সময় কৃষিকাজই ভরসা। তবে তা নিয়েও খানিক আক্ষেপের সুর তাঁদের গলায়। কারণ, এই কম মূল্যেও অনেকেই দর কষাকষি করেন। তাই কখনও বাধ্য হয়েই কম মূল্যে ঘোরাতে হয়। অন্যদিকে, তিস্তাপার সংলগ্ন দোমহনি তিস্তা পারে “আই লাভ দোমহনি” ফলকের সামনে যুবক-যুবতীদের সেল্ফি কিংবা রিলস বানাতে ভিড় দেখা যায়। সেই রিলস তৈরির পর্ব চলে তিস্তার বুকে নৌকায় চড়ার আনন্দ উপভোগ করতে করতেও।