পশ্চিম বর্ধমান: একদিকে যখন বর্ষায় চারিদিকে বাড়ছে আগাছা, বাড়ছে মশার উপদ্রব, ডেঙ্গির আতঙ্ক, তখন দুর্গাপুর শহর জুড়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সাফাই পরিষেবা। বেশ কয়েক দফা দাবিতে কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন পুরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মীরা। শুরু করেছিলেন অনশন। অন্যদিকে সাফাই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বর্ষাকালে কার্যত হার্টবিট বেড়ে যাওয়ার জোগাড় হয় শহরবাসীর।
অবশেষে কাটল জট। পুর কর্তৃপক্ষ আলোচনার মাধ্যমে সাফাই কর্মীদের সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছে। পুরসভার আশ্বাস পেয়ে ফের কাজে ফিরেছেন দুর্গাপুরের অস্থায়ী সাফাই কর্মীরা। উল্লেখ্য, গত তিনদিন ধরে পুরসভার অন্তর্গত শহরের ৪৩ টি ওয়ার্ডে বন্ধ ছিল সাফাই পরিষেবা। অবশেষে সাফাই কর্মীরা কাজে ফেরায় আবার পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার আশা করছেন সকলে। বিশেষ করে বর্ষার সময় সাফাই কর্মীদের এমন সিদ্ধান্ত সবাইকে চাপে ফেলেছিল।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ক্যারাটেতে বড় সাফল্য পূর্ব বর্ধমানের
দুর্গাপুর পুরসভায় প্রায় ১২০০ জন অস্থায়ী সাফাই কর্মী রয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, তাঁদের অনেক কম দৈনিক মজুরি দেওয়া হয়। আসানসোল পুরসভা যেখানে অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের দৈনিক মজুরি হিসেবে ৩৪৭ টাকা দেয়, সেখানে দুর্গাপুর পুরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মীরা মাত্র ২০২ টাকা রোজে কাজ করেন। তাছাড়াও পিএফের টাকা বকেয়া থাকার অভিযোগ ছিল। অভিযোগ ছিল, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ইএসআই পরিষেবা না পাওয়ার। এই সকল দাবি নিয়েই আন্দোলনের পথে পা বাড়িয়েছিলেন দুর্গাপুরের অস্থায়ী সাফাই কর্মীরা। তবে সাময়িকভাবে সমস্যা মেটায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে শহরের মানুষ।
নয়ন ঘোষ