Tag Archives: Durgapur Municipality

West Bardhaman News: আচমকা হলটা কী? বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে পুরসভা, তুলকালাম কাণ্ড!

পশ্চিম বর্ধমান : বেহাল হয়ে পড়ছিল দুর্গাপুর স্টেশন বাজারের মতো ব্যস্ত এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা। ব্যবসায়ীদের অব্যবস্থার কারণেই এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছিল বলে অভিযোগ। কারণ নর্দমার ওপরেই তৈরি হচ্ছিল নির্মাণ। কখনও আবার নর্দমার ওপরে তৈরি হচ্ছিল সিঁড়ি। যার ফলে নর্দমা সাফাই ব্যাহত হচ্ছিল। বেহাল হয়ে পড়ছিল বাজার এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা।

এই বিষয়ে মাস দেড়েক আগে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছিল দুর্গাপুর পুরসভা। বলা হয়েছিল নর্দমার ওপর নির্মাণ ভেঙে সেখানে লোহার খাঁচা তৈরি করতে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই বিষয়ে সদর্থক মনোভাব দেখা যায়নি ব্যবসায়ীদের মধ্যে। অভিযোগ এমনটাই। তার ফলে দুর্গাপুর বাজার এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে দুর্গাপুর পুরসভা ইতিমধ্যে পদক্ষেপ করতে শুরু করছে।

আরও পড়ুন-   বলুন তো, স্ত্রী-রা কি রাখি পড়াতে পারেন স্বামীকে? ৯৯ শতাংশই ‘এই’ ভুলটা করেন, আপনিও কি তাই করছেন? আজই শুধরে নিন…

দেখা গিয়েছে স্টেশন বাজারের নর্দমার ওপর যেখানে যেখানে নির্মাণ করা হয়েছিল, সেগুলিকে ভেঙে ফেলা হচ্ছে। দুর্গাপুর স্টেশন বাজারের পুরো এলাকা জুড়েই এই কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন এক পুরসভার আধিকারিক। তিনি বলেছেন, ব্যবসায়ীদের আগেই বলা হয়েছিল ওই জায়গাগুলিতে নর্দমা সাফাইয়ের কারণে নির্মাণ ভেঙে ফেলতে। কিন্তু পুরসভার কথামতো কাজ না হওয়ায়, ভেঙে ফেলা হচ্ছে নর্দমার উপর নির্মাণগুলি।

আরও পড়ুন-  বিরাট ক্ষতিকর…! ‘তেলাপিয়া’ মাছ-ই ডেকে আনছে ভয়ঙ্কর বিপদ, যা বলছেন গবেষকরা, শুনলে আঁতকে উঠবেন

যদিও পুরসভার এই কাজে কোনও ব্যবসায়ী বাঁধা না দিলেও বেশ কিছু ছোট ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, পুরো বাজার এলাকার যেখানে যেখানে নর্দমার উপর নির্মাণ করা হয়েছে, সব জায়গাতেই যেন সেগুলিতে ভেঙে ফেলা হয়। সেখানে যেন পক্ষপাতিত্ব করা না হয়। এমনটাই তারা দাবি করেছেন পুরসভার আধিকারিকের কাছে। অন্যদিকে দুর্গাপুর পুরসভা বাজার এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ব্যাপক তৎপর হয়েছে।

নয়ন ঘোষ

Temporary Cleaning Workers: বেতন বৈষম্য মেটানোর আশ্বাস, কাজে ফিরলেন দুর্গাপুরের অস্থায়ী সাফাই কর্মীরা

পশ্চিম বর্ধমান: একদিকে যখন বর্ষায় চারিদিকে বাড়ছে আগাছা, বাড়ছে মশার উপদ্রব, ডেঙ্গির আতঙ্ক, তখন দুর্গাপুর শহর জুড়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সাফাই পরিষেবা। বেশ কয়েক দফা দাবিতে কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন পুরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মীরা। শুরু করেছিলেন অনশন। অন্যদিকে সাফাই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বর্ষাকালে কার্যত হার্টবিট বেড়ে যাওয়ার জোগাড় হয় শহরবাসীর।

অবশেষে কাটল জট। পুর কর্তৃপক্ষ আলোচনার মাধ্যমে সাফাই কর্মীদের সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছে। পুরসভার আশ্বাস পেয়ে ফের কাজে ফিরেছেন দুর্গাপুরের অস্থায়ী সাফাই কর্মীরা। উল্লেখ্য, গত তিনদিন ধরে পুরসভার অন্তর্গত শহরের ৪৩ টি ওয়ার্ডে বন্ধ ছিল সাফাই পরিষেবা। অবশেষে সাফাই কর্মীরা কাজে ফেরায় আবার পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার আশা করছেন সকলে। বিশেষ করে বর্ষার সময় সাফাই কর্মীদের এমন সিদ্ধান্ত সবাইকে চাপে ফেলেছিল।

আর‌ও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ক্যারাটেতে বড় সাফল্য পূর্ব বর্ধমানের

দুর্গাপুর পুরসভায় প্রায় ১২০০ জন অস্থায়ী সাফাই কর্মী রয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, তাঁদের অনেক কম দৈনিক মজুরি দেওয়া হয়। আসানসোল পুরসভা যেখানে অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের দৈনিক মজুরি হিসেবে ৩৪৭ টাকা দেয়, সেখানে দুর্গাপুর পুরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মীরা মাত্র ২০২ টাকা রোজে কাজ করেন। তাছাড়াও পিএফের টাকা বকেয়া থাকার অভিযোগ ছিল। অভিযোগ ছিল, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ইএসআই পরিষেবা না পাওয়ার। এই সকল দাবি নিয়েই আন্দোলনের পথে পা বাড়িয়েছিলেন দুর্গাপুরের অস্থায়ী সাফাই কর্মীরা। তবে সাময়িকভাবে সমস্যা মেটায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে শহরের মানুষ।

নয়ন ঘোষ