ট্রেন্ডিং থিমের প্রতিমা

Durga Puja 2024: গতানুগতিক বা সাবেকি নয়, এবারের পুজোয় ট্রেন্ডিং থিমের প্রতিমা! অস্বস্তিতে মৃৎশিল্পীরা 

হাওড়া: ঢাকে কাঠি পড়তে আর মাত্র ক’দিন। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে, কলকাতার সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে জেলাগুলোও, মণ্ডপের পাশাপাশি প্রতিমায় থিমের ছোঁয়া। প্রতিবছরই বাড়ছে থিমের প্রতিমার চাহিদা।

ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর কাউন্টডাউন। অন্যদিকে শিল্পীদের হাতে প্রতিমা তৈরিতে চরম ব্যস্ততা। পুজোর কয়েক মাস আগে থেকেই প্রতিমার কাজ শুরু হয়। যদিও থিমের বরাত দেরিতে মেলায় সমস্যাও দেখা দিয়েছে শিল্পীদের মধ‍্যে।

আরও পড়ুন: বাঁধে বিরাট ফাটল! হু হু করে ঢুকছে জল, চিন্তা বাড়াচ্ছে এক নাগাড়ে বৃষ্টি, ভেসে যেতে পারে এই এলাকা

ক্যালেন্ডারের হিসেব বলছে, বাঙালির সেরা উত্‍সব দুর্গাপুজো আসতে হাতে আর মাত্র ২ মাস বাকি বললেই চলে। তারপরই বেজে উঠবে বোধনের শঙ্খ। এবার পুজোয় ট্রেডিং প্রতিমা । পুজো মানেই আকর্ষণীয় মণ্ডপ। আর মণ্ডপের পরেই আসে আকর্ষণীয় প্রতিমা |

এবারে জেলা জুড়ে থিমের প্রতিমার দারুন চাহিদা রয়েছে | মৃৎশিল্পালয় গুলিতে কোথাও সাবিকিয়ানা প্রতিমা একই সঙ্গে থিমের প্রতিমা। এবার পুজো উদ্যোক্তারা প্রতিমায় চাইছেন আরও নতুনতত্বের ছোঁয়া।

আরও পড়ুন: সারাবিশ্বে JCB মেশিনের রং সবসময় হলুদ হয় কেন? JCB-র নামেও আছে বড় রহস‍্য, ৯৯% লোকজনই আসল কারণ জানেন না

বিভিন্ন পুজো প্যান্ডেলে বিভিন্ন ধরনের মূর্তি দেখা যায় পুজোর সময় | কোথাও সাবেকিয়ানার মূর্তি কোথাও বা আর্টের প্রতিমা পুজো করা হয় | কেউ মূর্তি বানান খড়, মাটি, রং ইত্যাদি দিয়ে । কোনও শিল্পী বানান ফেলে দেওয়া বস্তু কিংবা ভেষজ উপাদান দিয়ে।

প্রতি বছরই মণ্ডপ ও প্রতিমায় কলকাতার অন্যান্য পুজো মণ্ডপগুলির সঙ্গে রীতিমতো টেক্কা দেয় শহর ও শহরতলির পুজোগুলো । নিত্য-নতুন থিমের মাধ্যমে নজরকাড়া মণ্ডপ ও প্রতিমা দর্শকদের মন জয় করে নেয় | সেইমতো প্রতিমা তৈরীতে এখন জোরকদমে লেগে পড়েছে জেলার প্রতিমা শিল্পীরা পিছিয়ে নেই হাওড়াও।

আরও পড়ুন: মিইয়ে যাচ্ছে মুড়ি? ২ মিনিটেই হবে কুড়কুড়ে, এই টিপস মনে রাখলে মাসের পর মাস থাকবে মুচমুচে

তবে সাধারণত একই ছাঁচে প্রতিমা গড়ে রং কাপড় আর অলংকারেই আলদা করে তোলা হয় পোটোপাড়ায়। কিন্তু এবছর বরাত দিতে আসা ক্লাবের চাহিদা আলাদা আলাদা থিমের ঠাকুর। আর তাতেই অস্বস্তিতে মৃৎশিল্পীরা। তারা জানান, প্রতি দেবীমুর্তির আলাদা রূপ দিতে খুবই ভাল লাগে কিন্তু তা সময় সাপেক্ষ।

রাকেশ মাইতি