হুগলি: টেলিভিশনের পর্দার ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ টু দিদিমণি। হুগলির সাংসদ রচনা বন্দোপাধ্যায় অন্য ভূমিকায় নজর কাড়লেন বৃহস্পতিবার। ক্লাসে গিয়ে পড়া ধরলেন বাচ্চাদের। এদিন পান্ডুয়ার খন্যান প্রথমিক স্কুল পরিদর্শন করেন সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ক্লাস ফাইভের ঘরে ঢুকে দেখেন বাংলা পড়াচ্ছেন মাস্টারমশাই। নিজের হাতে বই তুলে নেন দিদি নম্বর ওয়ান। দিদিমণির মতোই বানান জিজ্ঞাসা করতে থাকেন। পড়ুয়ারা ঠিক মতো উত্তর দেওয়ায় বলেন, ওরা ভাল ছেলে।
আরও পড়ুন: কোনও ব্যথাকে অবহেলা নয়, ৪০-এর পর হাড়ে ‘ঘুণ’ ধরে! ক্ষয় থেকে বাঁচার ৫ পথ জানুন
এদিন সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুই ভিন্ন রূপে দেখা যায় হুগলির পান্ডুয়ায়। একদিকে রণংদেহি মুডে পান্ডুয়া হাসপাতালে, অন্যদিকে একেবারে শিক্ষিকার ভূমিকায়। এরপর তিনি কর্মীদের নিয়ে স্কুল পরিদর্শন করেন। স্কুলের কী কী সমস্যা রয়েছে সেই নিয়ে কথা বলেন। কীভাবে তা আরও ভাল করা যাবে তার জন্য পরামর্শও দেন।
আরও পড়ুন: দর্জি থেকে রাতারাতি সুপারস্টার, এক গানে বিশ্বরেকর্ড! ‘তুম তো ঠহরে পরদেশি’ গায়ক আলতাফ রাজা এখন কোথায়?
রচনা বলেন, ‘কয়েকটা ঘরের ছাদের চাঙর ভাঙছে, সেগুলো সারাতে হবে। ঘরেরও প্রয়োজন আছে। মিড ডে মিল যে ঘরে হয়, সেটা অন্য জায়গায় ব্যবস্থা হলে ভাল।’ তাঁর দাবি, সরকারি স্কুলেও ভাল পড়াশোনা হয়, ইংরেজি শিক্ষা হয়। সেটা যাতে ভাল ভাবে হয় সেটা দেখা উচিত। ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত সেটা ভাল ভাবে করতে পারলে স্কুলছুট হবে না। পড়াশোনা ছেড়ে অন্য কাজে যুক্ত হবে না ছোটরা। বরং বড় স্কুলে গিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হবে, ভবিষ্যতে এগিয়ে যাবে।
রাহী হালদার