ছাত্র ছাত্রীর অভাবে ধুঁকছে জেলার অধিকাংশ কলেজ

Students Admission: অনলাইন পোর্টাল হয়েও হাল ফিরল না, পড়ুয়ার অভাবে ধুঁকছে জেলার কলেজগুলো

দক্ষিণ দিনাজপুর: কলেজগুলিতে ভর্তির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে রাজ্যের পক্ষ থেকে চলতি বছর থেকে কেন্দ্রীয় অনলাইন পোর্টাল চালু হয়েছে। এর মাধ্যমে স্নাতকস্তরের পাঠ্যক্রমে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু হলেও হাল ফিরল না দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অধিকাংশ কলেজগুলির। ছাত্রছাত্রীর অভাবে ধুঁকছে অধিকাংশ কলেজ। এমনকি বাদ পড়ছে না সরকারি কলেজগুলিও।

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এই মুহূর্তে মোট ১১ টি কলেজ রয়েছে। হাতেগোনা দু-একটি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজ বাদ দিলে বাকি কলেজগুলিতে ভর্তির হার আশাব্যঞ্জক নয়। প্রতিবছরই স্কুল জীবন শেষ করে ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের কেরিয়ার তৈরি করবার জন্য পছন্দমত কোর্সগুলোতে ভর্তি হয়ে থাকে। এমনকি ছাত্রছাত্রীরা তাদের পছন্দের কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। যে কারণে শহরের কিছু কলেজে প্রচুর সংখ্যক ছাত্রছাত্রী ভর্তি হলেও বাকিগুলি প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ আসনই ফাঁকা থেকে যাচ্ছে।

আর‌ও পড়ুন: তারকেশ্বরে যাওয়ার আগেই উল্টে গেল পুণ্যার্থী বোঝাই পিকআপ ভ্যান! তারপর যা হল…

দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিকাংশ অধ্যক্ষেরই মত, উচ্চশিক্ষায় ভর্তির ক্ষেত্রে প্রতিবছরই ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা কমছে। এর কারণ ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে এখন পড়াশোনা করার আরও বিভিন্ন বিষয় সামনে চলে এসেছে। আর্থিকভাবে সচ্ছল পরিবারের ছাত্র-ছাত্রীরা কলকাতা বা কখনও কখনও রাজ্যের বাইরে গিয়ে পড়াশোনা করছে। এছাড়াও প্রায় প্রতিটা ব্লকে ব্লকে কলেজ তৈরি হয়ে যাওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ভাগ হয়ে যাচ্ছে।

তবে এই বিষয়ে জেলার ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্য হল, শিক্ষার মানে কি শুধুই ডিগ্রি লাভ? ডিগ্রি লাভের মাধ্যমে চাকরি পেলে তবেই সবকিছু সার্থক হয়। কিন্তু বর্তমানে পড়াশোনা করলেও সহজে চাকরি পাওয়া যাচ্ছে না। সেই কারণে অনেকেই উচ্চ শিক্ষা বিমুখ হয়ে পড়ছেন। প্রথাগত পড়াশোনার পরিবর্তে এমন জিনিস শেখা বা জানার প্রতি ঝোঁক বাড়ছে যার সাহায্যে দ্রুত চাকরি পাওয়া যায়।

সুস্মিতা গোস্বামী