টলটলি গ্রামের বাসিন্দারা 

Bangladesh Update: মুক্তি‌যুদ্ধের পর দেশ ছাড়েন, আবারও অশান্ত বাংলাদেশ! চিন্তিত মুর্শিদাবাদের গ্রাম

মুর্শিদাবাদ: বাংলাদেশের অশান্তি পরিবেশ তৈরি হতেই চিন্তায় ঘুম উড়েছে মুর্শিদাবাদ জেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম জলঙ্গীর টলটলি এলাকাতে। ইতি মধ্যেই বিএসএফের পক্ষ থেকে সীমান্তবর্তী গ্রামে চলছে কড়া নজরদারি।

অন্যদিকে, মুক্তি যুদ্ধের পর ওপার বাংলা থেকে চলে এসেছিলেন বেশ কিছু নাগরিক। সীমান্তের পাশেই টলটলি গ্রামে তাদের এখন বসবাস। ফিরে এসেছিলেন প্রেমানন্দ সাহা থেকে অনেকেই। ১৯৬৫ সালের সেই সময় কথা মনে পড়ছে সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। যদিও একবার গিয়েছিলেন ও পারে। কিন্তু আর যাওয়া হয়নি। তবে বর্তমানে বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হতেই জলপথে নজরদারি শুরু করেছে বিএসএফ।

আরও পড়ুন: তারকেশ্বর গেলে সোনায় সোহাগা! বাড়ছে ৮ জোড়া ট্রেন, দাঁড়াতে হবে না টিকিটের লাইনেও

জলঙ্গী নদীর নাম অনেকে শুনে থাকলেও জলঙ্গী জনপদের কথা হয়ত অনেকের কাছেই অজানা। নব্বইয়ের দশকে সর্বগ্রাসী পদ্মার ভাঙনের কবলে পড়ে এই জনপদের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের সলিল সমাধি ঘটে। পদ্মা বহু উর্বর জমি-সহ সমগ্র জলঙ্গী বাজারকে গ্রাস করতে করতে এগিয়ে আসে রাজ্য সড়কের পাশে। বহু পাকা বাড়ি, দোকানপাট পদ্মার কবলে পড়ে। জলঙ্গী জনপদের বহু মানুষ ঘর-বাড়ি, জমি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়। সর্বগ্রাসী পদ্মা বহু প্রাণও কেড়েছে বিভিন্ন সময়।

আরও পড়ুন: তারকেশ্বর গেলে সোনায় সোহাগা! বাড়ছে ৮ জোড়া ট্রেন, দাঁড়াতে হবে না টিকিটের লাইনেও

টলটলি গ্রামের বাসিন্দা প্রেমানন্দ সাহার কথায়, বর্তমানে যে অশান্তি বাংলাদেশে তৈরী হয়েছে তাতে সেই মুক্তি যুদ্ধের কথা মনে পড়ছে তাদের কাছে। ফলে আরও চিন্তিত গ্রামের বাসিন্দারা। তবে সুস্থ ও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসুক বাংলাদেশ চাইছেন তারাও। জলঙ্গী সীমান্তের খুব কাছে বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর, বাঘা, ভেড়ামারা, চরপাড়ায় এক সময়ে পাক সেনা হানা দেয়, সেই দিনের স্মৃতি আজও মনে পড়ে তাঁদের। সেখানকার বহু মানুষ প্রাণের ভয়ে পদ্মা পেরিয়ে এপারে জলঙ্গীর শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন, সেই থেকেই টলটলি গ্রামে তাদের বসবাস। এই সমস্ত অসহায় মানুষদের প্রতি অত্যাচারের বহু কাহিনি আজও জলঙ্গীর প্রবীণ মানুষদের মুখে ফেরে।