Tag Archives: Berhampore

Lok Sabha Election Sweets: মিষ্টিতে মিলায় ভোট! দেওয়ালে নয়, রাজনৈতিক পার্টির চিহ্ন এবার সন্দেশে, নির্বাচন উপলক্ষে উদ্যোগ

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জন্য তাদের দলীয় প্রতীক চিহ্নে সন্দেশ তৈরি করলেন বহরমপুরের এক মিষ্টান্ন বিক্রেতা। দেখুন ভিডিও

Yusuf pathan : বহরমপুরে কি নতুন ইনিংস শুরু করতে পারবেন ইউসুফ পাঠান? মনোনয়ন জমা দিলেন ক্রিকেটার

মুর্শিদাবাদ: আগেই রাজনৈতিক দলে নাম তুলেছেন। ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন খেলোয়াড় ইউসুফ পাঠানকে এবার লোকসভা নির্বাচনের জন্য অধীরের বিরুদ্ধে প্রার্থী করে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচনী প্রচারে আগেই ঝড় তুলেছিলেন বিভিন্ন জায়গায়। এবার জেলা সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান।

সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিনে চড়া রোদকে উপেক্ষা করেই বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় প্রতীক চিহ্নের জন্য বহরমপুরে জেলা শাসক কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। উপস্থিত ছিলেন বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব সরকার, জেলার অন্যান্য বিধায়ক ও পৌর চেয়ারম্যানরা।

আরও পড়ুন-    শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

বহরমপুরের দলীয় কার্যালয় থেকে শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়েই জেলা শাসক কার্যালয় পর্যন্ত গিয়ে এই মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া হয়। মহিলাদের হাতে যেমন ছিল লক্ষ্মীর ভান্ডারের মাটির ভাঁড় ঠিক তেমনই রাজ্যে সরকারের সামাজিক উন্নয়নতুলে ধরে শোভাযাত্রাতে অংশ নেন মহিলারা।

মুর্শিদাবাদ জেলা শাসক রাজশ্রী মিত্রের হাতে মনোনয়ন পত্র তুলে দেওয়ার পর জয়ের ব্যাপারেও যেমন আত্মবিশ্বাসী ইউসুফ, ঠিক তেমনই বহরমপুরে চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে মানুষের মন জয় করবেন বলেও আশাবাদী তিনি।

কৌশিক অধিকারী

Adhir Ranjan Chowdhury: মেজাজ হারিয়ে যুবককে ধাক্কা, বহরমপুরেই বেকায়দায় অধীর! মারাত্মক অভিযোগ তৃণমূলের

বহরমপুর: প্রকাশ্যেই তৃণমূল কর্মীকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ উঠল বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীররঞ্জন চৌধুরীর বিরুদ্ধে৷ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজকে অস্ত্র করেই অধীরের বিরুদ্ধে জোরদার প্রচারে নেমেছে তৃণমূল৷

ভোটের আগে এই ঘটনায় স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি৷ যদিও তাঁর দাবি, গোটা ঘটনাই তৃণমূল নেতাদের নির্দেশে হয়েছে৷
শনিবার সকালে নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বহরমপুরের নতুনবাজারে ভোটের নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন অধীর চৌধুরী। নতুনবাজার এলাকায় অধীর চৌধুরী যেতেই একটি মন্দিরের সামনে তাকে দেখতে পেয়ে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয় । এবং রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান বিক্ষোভকারীরা। পরে বহরমপুর থানার পুলিশ কে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন কে আটক করে নিয়ে যায়। ঘটনার জেরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় বহরমপুর শহরে।

আরও পড়ুন: পাখির চোখ সোকসভা! উত্তরের তিন জেলায় প্রচারে তৃণমূলের ইস্যু কেন্দ্রীয় বঞ্চনা 

তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, নিজের হিংস্র মনোভাব ত্যাগ করতে পারেননি বহরমপুরের সাংসদ৷ এই ঘটনাতেই তা ফের প্রমাণিত হয়ে গেল৷ গুন্ডাবাহিনী নিয়ে কয়েকজন তৃণমূলকর্মীকে আক্রমণ করে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতে চান তিনি৷ শুধু হিংস্র আচরণই নয়, অধীররঞ্জন চৌধুরী এই ঘটনা নিয়ে মিথ্যাচার করে উল্টে তৃণমূলকর্মীদের ঘাড়েই দোষ চাপানোর চেষ্টা করেন৷

অধীর চৌধুরী অবশ্য পাল্টা বলেন, প্রতিদিনের মতো আজকে আমি ভোটের প্রচারে বেরিয়েছিলাম৷ গান্ধি কলোনি থেকে বি টি কলেজ পর্যন্ত পদযাত্রা যখন শেষ হয়, বাড়ি ফিরে আসছিলাম। তখনই হঠাৎ করে গঙ্গার ধার দিয়ে চিৎকার করে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়। বিরক্ত হয়ে আমি গাডি় থেকে নেমে বিক্ষোভকারীদের সামনে গেলে তারা বলে আমি নাকি পাঁচ বছরে কিছু করিনি৷ যদিও ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি অধীর৷ বরং তাঁর দাবি তৃণমূলনেতাদের নির্দেশেই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন কয়েকজন৷

অধীরের পাল্টা অভিযোগ, পুরভোটের আগেও বহরমপুরে এই কৌশলই নিয়েছিল তৃণমূল৷ কংগ্রেস প্রার্থী অবশ্য পাল্টা হুঁশিয়ারি, তৃণমূল এখানে আতঙ্কে ভুগছে৷ তারা জানে এখানে মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে নেই৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা জানেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদেশে নির্দেশে এই গুন্ডাগিরি চলছে। এই গুন্ডাগিরি মানব না। দুর্বৃত্তদের কাছে মাথা নিচু করে চলার লোক অধীর চৌধুরী নয়৷

সহ প্রতিবেদন- প্রণব কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

Physical Assault: নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি প্রকাশ্য রাস্তায়! অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা বহরমপুরে

এক নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল বহরমপুরে। বহরমপুরের ইন্দ্রপ্রস্থে বাবার দোকানে যাওয়ার সময় প্রতিবেশী এক যুবক শ্লীলতাহানি করেছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত কাল্টু ঘোষকে গ্রেফতার করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ।

শুক্রবার সন্ধ্যায় এই ঘটনার পরেই অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় মানুষজন। স্থানীয়দের অভিযোগ এই এলাকায় মাঝেমধ্যেই জুয়ার আসর ও মদের ঠেক বসে। স্থানীয়রা বাধা দিলে তাদের হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। অভিযুক্ত কাল্টু ঘোষের শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন: সোমবার আবহাওয়ার খেলা বদল! ২৪ ঘণ্টায় দমকা ঝড় ও বৃষ্টিতে তোলপাড়, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা-ঘূর্ণাবর্তের চোখরাঙানি কোথায় কোথায়!

স্থানীয় বাসিন্দা রাখি ঘোষ বলেন, ”অনেক দিন ধরে আমাদের এই এলাকায় মাঝেমধ্যেই মদের আসর বসে। জুয়া খেলা হয়। আমরা কাউন্সিলরকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু এই ঘটনা আমরা মানব না। আমরা কাল্টু ঘোষের কঠোর শাস্তি চাই।”

শনিবার কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ওই এলাকায় গিয়ে সমস্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়। মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ”বহরমপুর শহরের নিরাপত্তা হারিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন নির্বিকার, আমরা চাই অভিযুক্ত যুবককে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক।” বহরমপুর পুরসভার পুরপিতা নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, ”এই ঘটনাকে কোনও রাজনৈতিক রং না দিয়ে অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।”

Yusuf Pathan in Berhampore: মান-অভিমানের পালা শেষ, ক্রিকেট তারকা ইউসুফ পাঠানের হয়ে বহরমপুরে ভোটের প্রচারে হুমায়ুন কবীর

বহরমপুর: আজই এই লোকসভা কেন্দ্রে আসছেন ইউসুফ পাঠান, তার আগে বহরমপুরের দেওয়াল ভরল তৃণমূলের গ্রাফিতিতে৷ প্রচারে নামবেন বলে কথা দিলেন হুমায়ুন কবীর। মঙ্গল সন্ধ্যায় অভিষেক বন্দোপাধ্যায় কথা বলেন ভরতপুরের বিধায়কের সঙ্গে। তারপরেই অভিমান ভুলে দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নামবেন বলে জানিয়ে দিলেন হুমায়ুন কবীর।

তিনি পাঠানের হয়ে প্রচারে নামবেন। বিদ্রোহে ইতি। দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে আজ প্রচারে নামছেন তিনি। ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক অবশ্য অভিমান গোপন রাখেননি। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘দল কাকে কোথায় প্রার্থী করবে সেটা সম্পূর্ণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিষয়। সেখানে আমার কথা বলার এক্তিয়ার নেই। কিন্তু ব্রিগেডের আগে যদি আমাদের ডেকে নেতৃত্ব বলে দিতেন যে অমুককে প্রার্থী করছি, তা হলে খারাপ লাগাটা তৈরি হত না।’’

আরও পড়ুন: ২১ মার্চ, আজ ভাগ্য প্রসন্ন আপনার! কাদের হাতে টাকা আসবে, কারা হবেন কাঙাল? রাশি মিলিয়ে জানুন

আজ, বৃহস্পতিবার দুপুরে বহরমপুরে আসছেন এই লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তথা প্রখ্যাত ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। তাঁর এই সফর ঘিরে উচ্ছ্বসিত বহরমপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের দেখা গেল দেওয়ালজোড়া গ্রাফিতি আঁকতে। আগামী ১৩ মে এই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে আমজনতা, সকলেরই একটাই বক্তব্য, প্রিয় ক্রিকেটারের অপেক্ষায় তাঁরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।

প্রসঙ্গত, ইউসুফ পাঠান ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের পাশাপাশি আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সেরও সদস্য ছিলেন। ইউসুফের আসন্ন সফর নিয়ে উত্তেজনায় ফুটছে তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় কার্যালয়ও। আজ সকালেও উত্তেজনার সেই ছবিটা ছিল স্পষ্ট। সকলেরই বিশ্বাস, আগামী দিনে ইউসুফ পাঠানের মাধ্যমেই বহরমপুরের মানুষের কণ্ঠ সংসদে পৌঁছে যাবে। আজ দুপুরে টেক্সটাইল কলেজ মোড়ে আসবেন ইউসুফ পাঠান। তারপর তিনি জনসংযোগ সারবেন।

Road Accident: সাতসকালে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা, এক মুহূর্তে সব শেষ! সজোরে ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ২ জনের

মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে ৩৪নং জাতীয় সড়কের ওপরে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দু’জনের। ডাম্পার ও লরির সংঘর্ষে প্রাণ গেল চালক ও খালাসির। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার অন্তর্গত মঙ্গলজনে ৩৪নং জাতীয় সড়ক। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম মিলন সেখ, গাড়ির চালক বাড়ি আলিনগর রামচন্দ্রপুর ও মিঠু সেখ সে খালাসি।

জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে চাল বোঝাই করে একটি লরি বর্ধমান থেকে ফরাক্কা যাচ্ছিল। গাড়ির টায়ারের হাওয়া চেক করা হচ্ছিল। অন্যদিকে একটি ১৬ চাকার বালি বোঝাই ডাম্পার বহরমপুর থেকে ফরাক্কার দিকে যাচ্ছিল। পিছন থেকে গিয়ে ধাক্কা মারে চাল বোঝাই গাড়িতে। যার কারণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ডাম্পারের চালক ও খালাসির। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ডাম্পারের কেবিন সহ সামনের অংশ।

আরও পড়ুন-        মহাশিবরাত্রিতে বিরল কাকতালীয় যোগ! সর্বার্থ সিদ্ধি যোগে প্রসন্ন করুন শিবকে, রাতারাতি ‘ধনী’ হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না…!

আরও পড়ুন-       মাত্র ১৯-এ অকালে সব শেষ, লাস্ট পোস্টে কী লিখেছিলেন আমিরের অনস্ক্রিন কন্যা, ভাইরাল হতেই চোখে জল ভক্তদের

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রবিবার সকালে বৃষ্টির কারণে রাস্তা ভিজে ছিল। চাল বোঝাই লরির চাকাতে চেকিং করা হচ্ছিল। হঠাৎই খুব জোরে আওয়াজ শুনতে পায়। তখনই বালি বোঝাই ডাম্পার এসে সজোরে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই প্রাণ যায় দু’জনের।যদিও স্হানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বালি বোঝাই ডাম্পারের অবাধ গতি এবং যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ না থাকার কারণেই সাত সকালে এই ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা ঘটল।

তবে ডাম্পারের চালকের চোখে ঘুম চলে আসার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটল বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান পুলিশের। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন পুলিশ ।সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন।

কৌশিক অধিকারী

Murshidabad News: স্কুলের ভিতর এ কী কাণ্ড! প্রধান শিক্ষকের ব্যাগে ‌যা পাওয়া গেল, প্রাণভয়ে আতঙ্ক ছাত্রছাত্রীরা

মুর্শিদাবাদ: ক্লাস রুমে গিয়ে অস্ত্র দেখিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের ভয় দেখানো ও বিভিন্ন ভাবে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল সামশেরগঞ্জের ৪৬ নম্বর শেরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে স্কুল প্রাঙ্গণে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক রঘুপতি সর্দারের বিরুদ্ধে দফায় দফায় স্লোগান ও বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

অভিভাবকদের অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই স্কুলে এসে অস্বাভাবিক আচরণ করছেন সামশেরগঞ্জের ৪৬ নম্বর শেরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রঘুপতি সর্দার। বিষয়টি নিয়ে এর আগেও একবার বিক্ষোভ হয় স্কুল প্রাঙ্গনে। কিন্তু শনিবার স্কুল এসে হঠাৎ করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করেন শিক্ষক।

আরও পড়ুন-মহাশিবরাত্রিতে বিরল কাকতালীয় যোগ! সর্বার্থ সিদ্ধি যোগে প্রসন্ন করুন শিবকে, রাতারাতি ‘ধনী’ হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না…!

আরও পড়ুন-মাত্র ১৯-এ অকালে সব শেষ, লাস্ট পোস্টে কী লিখেছিলেন আমিরের অনস্ক্রিন কন্যা, ভাইরাল হতেই চোখে জল ভক্তদের

বিভিন্ন অস্ত্র দেখিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের ভীতি প্রদর্শন শুরু করতে থাকেন প্রধান শিক্ষক। তাতেই কার্যত আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন ছাত্র-ছাত্রীরা। বিষয়টি জানাজানি হতেই স্কুলে জমায়েত হতে শুরু করেন আশেপাশের স্থানীয় অভিভাবকরা। তারপরেই কার্যত স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। যদিও ভয়ে দরজা বন্ধ করে ঘরের ভিতরে লুকিয়ে পড়েন প্রধান শিক্ষক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি ছুটে আসে সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ।

তারপরেই ঐ শিক্ষককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। অবিলম্বে ঐ শিক্ষককে বরখাস্ত করার দাবিতে এবং বদলি করার দাবিতে সরব হয়েছেন অভিভাবক এবং ছাত্র-ছাত্রীরা। অন্যদিকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি ধারালো অস্ত্র বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। দিনে দুপুরে স্কুলের মধ্যে কেন ধারালো অস্ত্র নিয়ে হাজির হয়ে প্রধান শিক্ষক এমন কাণ্ড ঘটালেন তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় কোনওভাবেই মুখ খুলতে চাননি প্রধান শিক্ষক।

কৌশিক অধিকারী

Murshidabad News: গিয়েছিলেন চিকিৎসা করাতে, তার বদলে একই পরিবারের সকলে রাস্তাতেই হলেন শেষ, করুণ পরিণতি

মুর্শিদাবাদ: বুধবার দুপুরে বহরমপুরের চারাতলা এলাকায় বহরমপুর কান্দি রাজ্যে সড়কের ওপর স্কুটি ও ডাম্পারের সংঘর্ষে মৃত্যু হল একই পরিবারের তিনজনের। চিকিৎসা করানোর জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন পরিবারের ছোট সদস্য সহ তিনজনে। কিন্তু আর ডাক্তার দেখানো হল না। বহরমপুর থানার চারাতলা এলাকায় মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল একই পরিবারের তিনজন সদস্যর। পুলিশ জানিয়েছে মৃতদের নাম, হাসানুর রহমান (২৯), ও তার স্ত্রী স্নেহারনুরন্নেসা ইসলাম এবং তাদের ছেলে রাহাত রহমান (৪)। তাদের বাড়ি বড়ঞা থানার অন্তর্গত গোপীপুর গ্রামে ।জানা যায়, বড়ঞার গোপীপুর এলাকার বাসিন্দা হাসানুর রহমান একটি স্হানীয় লেদের দোকানে কর্মরত। স্ত্রী ও ছেলে শারীরিক অসুস্থতার কারণে বহরমপুরে যাচ্ছিলেন ডাক্তার দেখাতে। হাসানুর রহমান স্কুটি নিয়ে বহরমপুরে দিকে যাওয়ার পথেই একটি ডাম্পার সামনে থেকে ধাক্কা মারে। যে কারণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের। একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকেও মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কান্দি ও বহরমপুর থানার পুলিশ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার জেরে দীর্ঘক্ষণ যানজটের সৃষ্টি হয় বহরমপুর কান্দি রাজ্যে সড়কের ওপরে। তিনজনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন পুলিশ। একই পরিবারের তিনজন সদস্যর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা পরিবার জুড়ে।স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওভারলোডিং গাড়ির কারণে ও ডাম্পারের গতির অনিয়ন্ত্রনের কারণে আজকে ভয়াবহ এই পথ দুর্ঘটনা ঘটে বলেই অভিযোগ করেছেন স্হানীয় বাসিন্দারা। মৃতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, আজকে ডাক্তার দেখাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হল না। বাড়ি ফিরবে নিথর দেহ । এক নিমেষেই দুর্ঘটনায় কেড়ে নিল তিনজনের প্রাণ। ঘাতক গাড়ির চালকের শাস্তির দাবী জানিয়েছেন স্হানীয় বাসিন্দারা।

Kaushik Adhikary

Mamata Banerjee: অধীরের বহরমপুর নয়, কংগ্রেসকে এই দুই আসন ছাড়তে চেয়েছিল তৃণমূল! জানালেন মমতা

বহরমপুর: লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে মালদহের দুটো আসনই ছাড়তে রাজি ছিল তৃণমূল৷ এ দিন অধীর চৌধুরীর খাসতালুক বহরমপুরে দাঁড়িয়ে নিজেই এ কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তৃণমূলনেত্রীর এই কথা থেকেই পরিষ্কার, অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বহরমপুর আসনটিও কংগ্রেসকে ছাড়তে রাজি ছিল না তৃণমূল৷

কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের সঙ্গে বরাবরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক তুলনামূলক ভাবে ভাল৷ কিন্তু অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের প্রথম থেকেই আপত্তি রয়েছে৷ কারণ বঙ্গ রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূলের কঠোর সমালোচক বলেই পরিচিত অধীর৷ শুধু তাই নয়, তৃণমূলের সঙ্গে এ রাজ্যে কংগ্রেসের জোট নিয়েও এ রাজ্যের একাধিক কংগ্রেস নেতার প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল৷

আরও পড়ুন: ন্যায়যাত্রার মাঝেই ‘বিশৃঙ্খলা’! মালদহে ভাঙল রাহুল গান্ধির গাড়ির কাচ! কী পড়েছে? উত্তরে যা বললেন অধীর

এ দিন মালদহের সভা থেকে কংগ্রেসকে নিশানা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে্ন, ‘আমি বলেছিলাম তোমাদের একটাও এমএলএ নেই, তবু মালদহের দুটো সিট আমি ছেড়ে দিচ্ছি৷ জিতিয়ে দেবো৷ বলল না হবে না৷ আমি সঙ্গে সঙ্গে বললাম ছেড়ে দেও নমস্কার৷ কটা আসন ছাড়ব, বিয়াল্লিশটাই? তার পরে সবকটায় বিজেপি জিতুক৷’

যদিও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট প্রক্রিয়া ভেস্তে যাওয়ার জন্য এ দিনও সরাসরি সিপিএমকেই দায়ী করেছেন তৃণমূলনেত্রী৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সিপিএম বিজেপির সবথেকে বড় দালাল৷ ওরা আমার মাথায় মেরেছে, পায়ে মেরেছে, চোখে মেরেছে৷ কী না অত্যাচার করেছে৷ কোনও দিন ক্ষমা করতে পারব না৷’

এ দিনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমি একাই লড়ব৷ আমার সেই হিম্মত আছে৷ ভারতবর্ষে কেউ যদি বিজেপিকে হারাতে পারে সেটা হল তৃণমূল কংগ্রেস৷’

মালদহ জেলায় দুটি লোকসভা আসন রয়েছে, সেগুলি হল মালদহ উত্তর এবং মালদহ দক্ষিণ৷ এর মধ্যে মালদহ উত্তর আসনটি বিজেপির দখলে রয়েছে৷ মমতার ঘোষণা থেকে স্পষ্ট, কংগ্রেসকে তাদের জেতা একটি আসনই ছাড়তে রাজি ছিল তৃণমূল নেতৃত্ব৷ কারণ এ রাজ্যে মালদহ দক্ষিণ ছাড়া একমাত্র বহরমপুরই কংগ্রেসের দখলে রয়েছে৷ যেখানকার সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী৷

Murshidabad Tourism: ডাহাপাড়া জগৎবন্ধু আশ্রম! এখানের ভোগের স্বাদ মুখে লেগে থাকবে, আসেন বিদেশিরাও

মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদ জেলাতে যেমন আছে ইতিহাসের নিদর্শন। ঠিক তেমনই আছে বিভিন্ন মন্দির। মুর্শিদাবাদ জেলার প্রাচীন জগৎবন্ধু আশ্রমে পর্যটকরা একদিন ঘুরে আসতে পারেন। পাবেন দুপুরর ভোগ-প্রসাদ। নিত্যদিন চলে সেবা। দেশ তথা বিদেশি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান এই ডাহাপাড়া জগৎবন্ধু ধাম আশ্রম।

জগৎবন্ধু সুন্দর একজন বৈষ্ণব ধর্মগুরু, সমাজ-সংস্কারক ও লেখক। নিম্নবর্ণের হিন্দুদের প্রতি বিশেষ সহানূভূতি প্রকাশের কারণে তিনি “জগৎবন্ধু” উপাধি লাভ করেন এবং এই নামেই বিশেষ পরিচিতি লাভ করেন। এছাড়াও বৈষ্ণব ধর্মীয় সঙ্গীত বা কীর্তন সংগ্রহ, রচনা এবং পরিবেশনের জন্যও তিনি বিশেষভাবে পরিচিত। তাঁর পিতার নাম ছিল দীননাথ চক্রবর্তী এবং মাতার নাম বামাসুন্দরী দেবী।

২০০০ থেকে ২০০৩ সালে নবকলেবরে এই মন্দির নির্মাণ করা হয়েছিল। এই মন্দিরের গায়ে বৈষ্ণব তীর্থ খোল করতালের বিভিন্ন মন্ত্র খোদাই করে ফুটিয়ে তোলা আছে যা এই মন্দিরের সৌন্দর্যকে দ্বিগুণ করে তুলেছে। ১৮৭১ সালের ২৮শে এপ্রিল মুর্শিদাবাদ জেলার ডাহাপাড়াতে দীননাথ চক্রবর্তীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন বৈষ্ণব গুরু তথা লেখক প্রভু জগৎবন্ধু। তবে পৈতৃক নিবাস বাংলাদেশের ফরিদপুর গ্রামে।

আরও পড়ুন – Rich Man: বারবার পড়তেন নতুন প্রেমে! কখনও লুকিয়ে, কখনও হত্যে দিয়ে পড়ে থাকতেন, বিয়ে করেছেন ৬টি

জানা যায়, প্রভু জগৎবন্ধু ধর্ম প্রচার ও ধর্ম প্রচারের সঙ্গে ধর্মীয় কিছু সংগীত ও কাব্যগ্রন্থ লিখে গেছেন যা হল হরি কথা, ত্রিকাল। প্রভুর শেষ জীবন কেটেছে কৈশর লীলা ব্রাহ্মণ কান্দায়। ১৯০৩ সালের জুলাই মাসের ১৯১৯ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আলো বাতাসের মাটির ঘরে তপস্যয় নিয়োজিত থাকার খবর দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। ১৯২১ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বর্তমানে এই মন্দির  ঘিরে তৈরি হয়েছে পর্যটন ক্ষেত্র। মন্দিরের পাশাপাশি দেখা যাবে সুসজ্জিত ফুলের বাগান। দৈনন্দিন দুপুরে কুপন সংগ্রহ করলে অন্ন প্রসাদ পেতে পারেন ভক্তরা।

এখানে যেতে গেলে দু’ভাবে আসা যায়। লালগোলা গামী ট্রেনে মুর্শিদাবাদ ষ্টেশনে এসে সেখান থেকে নৌকা পাড়াপার করে টোটোতে চেপে ভাগীরথীর পশ্চিমপাড়ে অবস্থিত এই মন্দিরে পৌঁছানো যাবে। অন্যদিকে, হাওড়া গামী ট্রেনে ডাহাপাড়া ষ্টেশনে নেমে চার কিমি দুরে অবস্থিত এই মন্দির। এছাড়াও সড়ক পথে আসা যাবে হাজারদুয়ারী থেকে ভাগীরথী নদী পেরিয়ে ডাহাপাড়া জগৎবন্ধু মন্দিরে।

Kaushik Adhikary