মাইথন জলাধার থেকে ছাড়া হচ্ছে জল।

DVC water discharge: আবার জল ছাড়ল মাইথন, পাঞ্চেত জলাধার! বন্যার আশঙ্কায় মাথায় হাত মানুষের

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান : বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না স্বস্তি। আবার চিন্তা বাড়াল ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। নতুন করে এদিন বুধবার ফের একবার জল ছাড়া হল জলাধারগুলি থেকে। এদিন মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ অনেকটা বেড়েছে। সবমিলিয়ে দামোদরের উচ্চ অববাহিকার দু’টি জলাধার থেকে ছাড়া হয়েছে ৬৫ হাজার কিউসেক জল।

মাইথন এবং পাঞ্চের থেকে জল ছাড়ার পরে ফের দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, মাইথন এবং পাঞ্চেত থেকে যে জল ছাড়া হয়েছে, তা এদিন রাতের দিকে পৌঁছবে দুর্গাপুর ব্যারেজে। দুর্গাপুর ব্যারেজে জলের চাপ সামাল দিতে অতিরিক্ত জল ছাড়া হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ফের একবার নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষজনের আশঙ্কা বাড়ল।

আরও পড়ুন: তারকেশ্বর গেলে সোনায় সোহাগা! বাড়ছে ৮ জোড়া ট্রেন, দাঁড়াতে হবে না টিকিটের লাইনেও

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ভারী বৃষ্টিপাতের পর শুক্র, শনি, রবিবার ব্যাপক মাত্রায় জল ছাড়া হয়েছে দামোদরের এই সমস্ত জলাধারগুলি থেকে। যার ফলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে নদীতীরবর্তী এলাকাগুলিতে। বিশেষ করে দুর্গাপুর ব্যারেজের দুই পাশে অবস্থিত মানাচর, ডিহিরচরের মত জায়গাগুলিতে মানুষজন রীতি মতো ভয় পেয়েছিলেন। কিন্তু সোমবারের পর থেকে ধাপে ধাপে জল ছাড়া কমানো হয়। যা দেখে কিছুটা চিন্তামুক্ত হয়েছিলেন মানুষ। তবে ফের বুধবার সেই চিন্তা বাড়ল।

আরও পড়ুন: আম নিয়ে শিশুদের লড়াই থেকে তিনজনের যাবজ্জীবন… ৪০ বছর পরে কমল শাস্তি

প্রসঙ্গত, দক্ষিণবঙ্গে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। আসানসোল, দুর্গাপুর-সহ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত লেগেই আছে। যার ফলে বাড়তি জল এসে ঢুকছে জলাধারগুলিতে। জলধারণ ক্ষমতার কাছাকাছি লেভেলই জল মজুত রয়েছে সেখানে। যে কারণে বাড়তি যে জল ব্যারেজগুলিতে ঢুকছে, চাপ সামাল দিতে সেই জল ছাড়া হচ্ছে। আর জল ছাড়া দেখলেই বাড়ছে চিন্তা।