সুরজিৎ দে, জলপাইগুড়ি: প্রয়াত বাংলায় বাম জমানার দ্বিতীয় এবং শেষ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর প্রয়াণে আবেগতাড়িত হতে দেখা গেল জলপাইগুড়িবাসীকেও। সালটা ২০০৮। জলপাইগুড়িতে সভা করতে এসেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর ভক্ত ছিলেন তৎকালীন নবম শ্রেণীর ছাত্র নব্যেন্দু মৌলিক। বুদ্ধবাবু আসার কথা শুনেই তিনি তাঁর আবেগ, ভালবাসাকে হাতের রং তুলির মধ্যে আবদ্ধ করেছিলেন। এঁকেছিলেন বুদ্ধবাবুর একটি সুন্দর অবয়ব। সামনে দেখতে পেয়েই সেদিন উপহার হিসেবে সেটি দিয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। এখনও সেই মুহূর্ত তাজা নব্যেন্দুর মনে। যা ঐতিহাসিক স্মৃতি হিসেবে থেকে যাবে আজীবন।
কথায় আছে, ছবির কোনওদিন মৃত্যু হয় না। তারই প্রমাণ দেখা গেল বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়িতে। ইতিমধ্যেই জেলার বাম কার্যালয়ে বাম নেতানেত্রীদের আনাগোনা চোখে পড়ছে। এছাড়াও প্রচুর মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো। অগণিত মানুষের ভালবাসায় স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। মৃত্যুকালে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
২০০০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ১১ বছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার সকালে বুদ্ধদেবের মৃত্যুর খবর জানান তাঁর সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য। জানা গিয়েছে, ক’দিন ধরেই তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। এছাড়াও নিউমোনিয়া এবং ফুসফুসের সংক্রমণে আক্রান্ত ছিলেন বর্ষীয়ান নেতা। এদিন সকালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য প্রাতরাশ করার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।