বুদ্ধ-স্মরণে অশোক ভট্টাচার্য

Buddhadeb Bhattacharjee Demise Ashok Bhattacharya: ‘শিলিগুড়িতে এলে ব্যাগে একটা পাঞ্জাবি আনতেন’, ‘বুদ্ধদাকে’ হারিয়ে স্মৃতিমেদুর অশোক ভট্টাচার্য

শিলিগুড়ি : ‘বুদ্ধবাবুর উপস্থিতিটাই আমাদের কাছে প্রেরণা ছিল, সেই প্রেরণা থেকে এখন আমরা বঞ্চিত হব। আমার রাজনৈতিক জীবনে অনেক কিছু শেখা বুদ্ধদার কাছ থেকে।’ বৃহস্পতিবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণের পর স্মৃতির পাতা উলটে এই কথাই জানালেন শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য।

এ দিন সকালেই প্রয়াত হন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএমের প্রাক্তন পলিটব্যুরো সদস্য বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। দলে দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধার প্রয়াণের খবর পেয়ে শোকাহত হয়ে পড়েন অশোক ভট্টাচার্য। শোনালেন বুদ্ধবাবু সম্পর্কে নানা কথা।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনও খুব ছিমছাম জীবনযাপন করতেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।

আরও পড়ুন: WB06 0006-আর উঠবেন না বুদ্ধদেব, অন্তিম যাত্রাতেও শববাহী শকটের পিছনে চলল সেই সাদা অ্যাম্বাসাডর

শিলিগুড়ি এলেই উঠতেন তৎকালীন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যর বাড়িতে। খেতেন খুব সাধারণ খাবার। অশোকবাবুর প্রয়াত স্ত্রী শুক্লা ভট্টাচার্যকে নিজের বোনের মতো দেখতেন ৷ অশোকবাবুর বাড়িতে উঠলে বোন শুক্লার হাতে রান্না করা খাবারই খেতেন। সেই সব স্মৃতি এতটুকুও ম্লান হয়নি অশোক ভট্টাচার্যের মন থেকে । শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র বলেন, “আমাদের বাড়িতে একটা ব্যাগ নিয়ে আসতেন। একটা পাঞ্জাবি সঙ্গে নিয়ে আসতেন। আজকের পশ্চিমবঙ্গ তাঁকে ছাড়া ভাবাই যায় না। এটা শুধু দলের ক্ষতি না, সারা রাজ্য, সারা দেশের ক্ষতি ।”

আরও পড়ুন: অসাধারণ এক পোর্টফোলিও হয়েও সারাজীবন সাধারণ থাকলেন বুদ্ধ-জায়া মীরা…

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘বিশ্বাসই করতে পারছি না। ওঁর উপস্থিতি আমাদের সবার জন্য অনুপ্রেরণা ছিল সেই জায়গা থেকে, এখন বঞ্চিত হব। শুধু রাজ্য নয়, গোটা দেশে এরকম সৎ রাজনৈতিক নেতা আর নেই। বুদ্ধদার কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখেছি। ওঁর সঙ্গে পারিবারিক একটা সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল। উনি দার্জিলিং জেলার পার্টি দেখতেন। অনেক ঘাত-প্রতিঘাতে ওঁর অবদান দেখেছি। কীভাবে মন্ত্রিত্ব চালাতে হয় তা ওঁর কাছ থেকে শিখেছি। যাঁরা স্বচ্ছ রাজনীতিটা করেন, তাঁরা জানেন তাঁদের কত বড় ক্ষতি হয়ে গেল।

অনির্বাণ রায়