Woman Trainee Doctor Death: ‘ও কিছুতেই এমন করতে পারে না’, প্রকৃত সত্য সামনে আসুক চাইছেন মৃত ছাত্রীর প্রতিবেশীরা

উত্তর ২৪ পরগনা: প্রতিবেশীদের যেকোনও বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়াত মেয়েটি। সোদপুরের বাড়ি থেকেই প্রতিদিন যাতায়াত করত আরজি কর মেডিকেল কলেজে। কিছুদিন আগে একটি গাড়ি কিনেছিল তারপর থেকে এসেই গাড়িতে করেই হাসপাতালে যেত। সেই মেয়ের এমন করুণ পরিণতি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না প্রতিবেশীরা। এই মেয়ে কিছুতেই আত্মঘাতী হতে পারে না বলে তাঁদের দাবি।

শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তাল কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ। কর্মরত অবস্থায় সেখানকার এক ট্রেনি ডাক্তারি ছাত্রীর প্রায় অর্ধনগ্ন ক্ষতবিক্ষত দেহ শুক্রবার সকালে হাসপাতালে চারতলার সেমিনার কক্ষ থেকে উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে কেউ কেউ ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বললেও মৃতার সহকর্মী ও পরিবার-পরিজনরা বিষয়টিকে খুন বলে দাবি করেছেন। তাঁরা অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ঘটনাস্থলে ছুটে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। আসে ফরেন্সিক দল। এদিকে মৃত ডাক্তারি পড়ুয়ার বাড়ি যেখানে, সেই সোদপুরের প্রতিবেশীরাও এটাকে হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছেন। তাঁরাও দ্রুত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন।

আর‌ও পড়ুন: পরীক্ষা দিয়ে পুকুরে স্নান করতে নেমেছিল, ডুবে মৃত্যু সপ্তম শ্রেণির দুই পড়ুয়ার

মৃত ডাক্তারি ছাত্রীর সহপাঠীদের থেকে জানা গিয়েছে, হাসপাতালে টানা ৩৬ ঘণ্টা ডিউটি চলে। তাই বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত ওয়ার্ডে ডিউটি করে সেমিনার কক্ষে গিয়ে ওই ছাত্রী বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। বাকিরাও টানা ডিউটির সময় অনেক সময় সেমিনার কক্ষে বিশ্রাম নেন। কিন্তু শুক্রবার সকালে তাঁকে ওয়ার্ডে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। সেই সময় সেমিনার কক্ষে ঢুকে ওই ছাত্রীর অর্ধনগ্ন ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। সেখানে ওই ছাত্রীর ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন‌ও পাওয়া গিয়েছে। মৃত ছাত্রীর সহকর্মীদের দাবি, এটি খুনের ঘটনা। যদিও প্রাথমিক তদন্ত শেষ হওয়ার আগে পুলিশ কোন‌ও মন্তব্য করতে রাজি নয়। এদিকে ওই সেমিনার কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো ছিল কিনা বা তার ফুটেজ কোথায় সেটিও সন্ধান করে দেখছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, এদিন সকালে হোস্টেল থেকে ফোন করে প্রথমে মৃত ছাত্রীর বাবাকে বলা হয়েছিল মেয়ে অসুস্থ। উল্লেখ্য, মৃত ছাত্রীর বাবার একটি দোকান আছে সোদপুরে। যেখানে স্কুল পড়ুয়াদের পোশাক বিক্রি হয়। পরে আবার ফোন করে তাঁদেরকে মেয়ের মৃত্যু সংবাদ দেওয়া হয়। এরপরই পরিজনদের সঙ্গে আরজি কর মেডিকেল কলেজে ছুটে আসেন মৃত ছাত্রীর মা-বাবা। তাঁরাও দাবি করেছেন, মেয়ে কিছুতেই আত্মহত্যা করতে পারে না। এদিকে মৃত ছাত্রীর বাবার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ফোনে কথা বলেছেন বলে জানা গিয়েছে।

রুদ্রনারায়ণ রায়