কৃষ্ণনগরের মহিষমর্দিনী মাতা

Durga Puja: শ্রাবণেই দুর্গার আবাহন! জলদস্যুর থেকে রক্ষা পেতেই কৃষ্ণনগরে শুরু এই মহিষমর্দিনী বন্দনা

কৃষ্ণনগর: জগদ্ধাএী পুজোর পাশাপাশি আর একটি পুজোও বিখ‍্যাত নদিয়ার কৃষ্ণনগর সদর শহরে মা মহিষমর্দিনী পুজো, আর এই মহিষমর্দিনী পুজো নদিয়ার কৃষ্ণনগর সদর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত কৃষ্ণনগর কদমতলা ঘাট সংলগ্ন গোলাপট্টি বারোয়ারীতে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবছর। আর এর এক ইতিহাস রয়েছে কৃষ্ণনগরের ইতিহাসের পাতায়।

একসময় নদিয়ার কৃষ্ণনগর সদর শহরে ছিল না কোনও সড়ক যোগাযোগ ব‍্যবস্থা, একমাত্র যোগাযোগ ব‍্যবস্থা ছিল নদীপথে, আর এই নদীপথ নিয়ে ইতিহাস শুরু। যেখানে নদীপথে নৌকার মাধ‍্যমেই ব‍্যবসা-বাণিজ্য চালাত কৃষ্ণনগর শহরের মানুষজন আর সেখানে প্রায়ই জলদস‍্যুদের আক্রমণের হাতে পড়তে হত বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও বণিকদের।

আরও পড়ুনঃ ১৫ অগাস্টের লম্বা ছুটিতে বোলপুর শান্তিনিকেতন আসছেন? তাহলে একটি খুশির খবর আপনার জন্য, জানুন

একসময় নদীপথে জলদস‍্যুর দ্বারা আক্রান্ত হলে ব্যবসায়ীরা মায়ের স্বপ্নাদেশ পান, যেখানে মা বলেছিলেন আমাকে ঝুলন পূর্ণিমার আগে অষ্টমী তিথিতে আমার পুজো কর তবে তোরা রক্ষা পাবি। তারপর থেকে বণিকদের হাত ধরেই রীতিমত কৃষ্ণনগর গোলাপট্টি বারোয়ারীতে শুরু হয় মা মহিষমর্দিনী পুজো, আর এই পুজোই প্রায় ৩৫০ বছরের পুরোনো, এই পুজোই এখনও করছে কৃষ্ণনগর কদমতলা ঘাট সংলগ্ন সাধারণ মানুষ।

এখনও জাঁকজমক ভাবে সমস্ত রীতিনীতি মেনে কৃষ্ণনগর গোলাপট্টি বারোয়ারীতে এই পুজো হয় চারদিনের। মা মহিষমর্দ্দিনি পুজোয় মায়ের ভোগে থাকে নানা রকমারী ভাজা এবং তরকারি ও সবশেষে থাকে পায়েস ও মিষ্টি, এবং পুজোর শেষে থাকে অন্নমহোৎসব। স্থানীয় বাসিন্দারা মায়ের ভোগ রন্ধন করে সেবা করে থাকেন এখানে। পরিশেষে বলা যায় জগদ্ধাত্রী পুজো এবং দুর্গাপুজোর আগে কৃষ্ণনগরবাসীর এক বাড়তি পাওনা এই মহিষমর্দিনী পুজো।

Mainak Debnath