দেশ মাতাকে সম্মান জানাতে অবাক কান্ড হাওড়ার যুবকদের

The Flag Man: স্বাধীনতা দিবসের পরদিন‌ই পথে ‘ফ্ল্যাগ ম্যান’! তাঁকে অনুসরণ করে রাজ্য জুড়ে চলছে এই কাজ

হাওড়া: স্বাধীনতা দিবসের পরদিন পথে দেখা গেল ‘ফ্ল্যাগ ম্যান’-কে। স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস বা নেতাজি জয়ন্তীর উদযাপনের পরেরদিন দেশ মাতাকে সম্মান জানাতে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন এই ফ্ল্যাগ ম্যান প্রিয়রঞ্জন সরকার। এভাবেই গত কয়েক বছর ধরে দেশভক্তির পরিচয় দিয়ে আসছেন তিনি।

এমন দেশ ভক্তি বিরল এই বাংলায়। এমনিতে সারা দেশ জুড়ে কোটি কোটি মানুষ স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে মেতে ওঠেন। আবার কোথাও আগের দিন থেকেই জোরদার তোরজোড় শুরু হয় স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের। তবে হাওড়ার প্রিয়রঞ্জন ও তাঁর সঙ্গীরা দেশমাতাকে সম্মান জানাতে বেছে নিয়েছে এই বিশেষ দিন পালনের পরবর্তী দিনকে। বালির প্রিয়রঞ্জন সরকার বর্তমানে ‘ফ্ল্যাগ ম্যান মনু’ নামে গোটা দেশে পরিচিত।

আর‌ও পড়ুন: পাকিস্তানের যুদ্ধ ট্যাঙ্কের উপর উড়বে ১৫০ ফুটের তেরঙ্গা!

২০০৮-০৯ সাল থেকে মায়ের হাত ধরে তাঁর এই যাত্রাপথ শুরু। বিশেষ দিন উদযাপনে এই দেশের সর্বত্র জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি বিভিন্নভাবে সাজিয়ে তোলা হয় পতাকা উত্তোলনের প্রাঙ্গন। যেখানে প্রচুর পরিমাণে জাতীয় পতাকার প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয় ছোট ছোট কাগজের পতাকা। উদযাপনের পর উত্তোলিতো পতাকা সযত্নে নামিয়ে রাখা হলেও প্রতীকী এই কাগজের তেরঙ্গা অবহেলিত হয়ে যত্রতত্র মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। অনেক সময় কাগজের সেই পতাকা পদপিষ্ট’ও হয়। দেশের জাতীয় পতাকার ঠাঁই হয় আবর্জনা স্তুপে। বিশেষ জাতীয় দিনগুলির পর জাতীয় পতাকাকে এই অসম্মানের হাত থেকে বাঁচাতে যথা সর্বস্ব চেষ্টা করেন প্রিয়রঞ্জন’রা।

এবার হাওড়া ও হুগলি জেলার বিভিন্ন পতাকা উত্তোলন প্রাঙ্গণে নেমে তারা মাটিতে পড়ে থাকা জাতীয় পতাকা সংগ্রহ করে নিচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে ফ্লাগম্যান মনু জানান, এই কাজ শুরু মায়ের হাত ধরে। এই ভাবেই দেশের পতাকাকে অসম্মানের হাত থেকে রক্ষা করে চলেছেন।

রাকেশ মাইতি