নশিপুর রাজবাড়ি

Janmashtami 2024 Destination: ২৫ চূড়ার পদ্মফুলের আকৃতির মন্দিরে পালিত শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথি, জন্মাষ্টমীতে আসুন এই রাজবাড়িতে

কৌশিক অধিকারী, মুর্শিদাবাদ: জন্মাষ্টমীর ছুটিতে ভাবছেন কোথায় যাবেন। ঘুরে আসুন বাংলার প্রাচীন এক রাজবাড়িতে, যেখানে আছে বিভিন্ন দেবতার মন্দিরে। আছে এই বঙ্গেই সেই মন্দির। জন্মাষ্টমীর ছুটিতে কাটিয়ে আসতে পারেন এই মন্দিরে। মুর্শিদাবাদ শহরের পাশেই অবস্থিত নশিপুর রাজবাড়ি। নশিপুর রাজবাড়ির অন্দরেই আছে এক মন্দির। এই মন্দিরে ২৫টি চূড়া আছে। যা পদ্মফুলের আকৃতি। পদ্মফুলের মতো দেখতে বলেই এই মন্দির পরিচিত।

কথিত, রাজা দেবী সিং এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পানিপথ থেকে এই বিগ্রহ নিয়ে আসা হয়েছিল নশিপুরে। সোনা রূপা-সহ অষ্টধাতু কষ্টিপাথরের মূর্তি আছে বর্তমানে। ৩৩কোটি বা ৩৩ প্রকারের সমস্ত দেব দেবীর রূপ আছে এই মন্দিরে। নশিপুর প্রাসাদ ছিল দেবী সিংহের দরবার, যিনি নবাবি আমলে ব্রিটিশদের ব্যয় আদায়কারী ছিলেন এবং কঠোর কর কর্তৃপক্ষ হিসাবে খ্যাত ছিলেন।

আরও পড়ুন : জন্মাষ্টমীতে শ্রীকৃষ্ণকে নিবেদন করা হয় ‘ছাপ্পান্ন ভোগ’! কী কী থাকে ভোগে? জানুন বিশদে

নশিপুর রাজবাড়ির ব্যক্তিগত জিনিসপত্র, ফরমান, সেই সময়ের কর আদায়সম্পর্কিত আইনি দলিল এবং অন্যান্য বিষয়াদি প্রদর্শন করে এটিকে নশিপুর রাজবাড়ি যাদুঘরে রূপান্তর করা হয়েছে। রাজপ্রাসাদে রামচন্দ্রের একটি মন্দিরও রয়েছে, যা মুর্শিদাবাদ জুড়ে অন্যতম বৃহত্তম মন্দির।বর্তমানে শ্রাবণ মাসের ঝুলনযাত্রার পাশাপাশি বিখ্যাত  রথযাত্রা উৎসবও। যা দেখতে ভিড় জমান বহু সাধারণ মানুষ। এছাড়াও ঝুলন পূর্ণিমা থেকে শুরু করে বিশেষ পুজো চলে মন্দিরে। যা চলে জন্মাষ্টমী তিথি পর্যন্ত। তবে বছরের অন্যান্য সময় এই মন্দির দর্শন করতে আসেন পর্যটকরা।