আলিপুরদুয়ার: দুই ভাড়াটের ঝগড়া চলে গেল খুনের পর্যায়ে। এক যুবকের ভোজালির আঘাতে প্রাণ গেল এক বয়স্ক ব্যক্তির। খুনী ভাড়াটের নাম জানেনই না বাড়ির মালিক। এই শুনে তাজ্জব পুলিশও। সীমান্ত শহর জয়গাঁর বাসিন্দাদের অভিযোগ তাহলে কী নাম, পরিচয় না জেনেই যে কোনও ব্যক্তিকে ভাড়া দিয়ে দেওয়া হচ্ছে? মৃত ব্যক্তির নাম কুমার থাপা।
তিনি শিলিগুড়ির প্রধান নগরের বাসিন্দা।আগে ভুটানে কাজ করতেন। কিন্তু ইদানিং জয়গাঁর ভগৎ সিং নগরের একটি দোকানে কাজ করছিলেন।তিনি থাকতেন জয়গাঁ এলাকার সুরেশ যাদবর বাড়িতে। এদিন বিকেলে কাজ থেকে ফেরার পর কুমার থাপার সঙ্গে বচসা শুরু হয় অপর ভাড়াটের। কি কারণে বচসা কেউ বুঝতে পারেননি।
হঠাৎ ভোজালি নিয়ে কুমার থাপার ওপর চড়াও হয় ওই ভাড়াটে। তার পা, বুক ও মাথায় এলোপাথারি আঘাত করতে থাকে। এলাকাবাসীরা দেখে চিৎকার শুরু করে দেয়। এদিকে সুরেশ যাদবের স্ত্রী ফোন করেন সুরেশ যাদবকে। ততক্ষনে এলাকাবাসীদের তরফে খবর দেওয়া হয় পুলিশে।জয়গাঁ থানার পুলিশ এসে ঘাতক ভাড়াটেকে আটক করে।
গুরুতর আহত কুমার থাপাকে নিয়ে আসা হয় লতাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসক। বাড়ির মালিক সুরেশ যাদবকে পুরো বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, “ঘাতক ভাড়াটের নাম আমার জানা নেই। তার ফোন নম্বর রেখেছি। কী থেকে কী হল, আমি তো কিছুই বুঝছি না।”
Annanya Dey