পশ্চিম বর্ধমান: সবুজ রক্ষা করতে আরও কড়া বার্তা বন দফতরের। যখন তখন গাছ কেটে ফেললে সাবধান হয়ে যান। কারণ এমন ভুল করলে পড়তে পারেন বন দফতরের শাস্তির মুখে। শুধুমাত্র বনাঞ্চল রক্ষা নয়, অন্যান্য গাছ রক্ষা করতেও নজরদারি চালাবে বন দফতর। একই সঙ্গে বন দফতরের নজরে থাকবে কাঠগোলাগুলিও। যাতে করে কেউ অবৈধভাবে গাছ কেটে, সেগুলি কাঠগোলায় নিয়ে গিয়ে সবুজ ধ্বংস করতে না পারে, তার জন্য বন দফতর নজর রাখবে।
কারণ বনাঞ্চলের পাশাপাশি অনেক সময় রাস্তার পাশে থাকা বা অন্যান্য ফাঁকা জায়গায় থাকা গাছ কেটে ফেলা হয়। বন দফতরের অনুমতি ছাড়া কেটে ফেলা হয় সেই সমস্ত গাছ। কোনওরকম বৈধ অনুমোদন ছাড়া সেগুলিকে কাঠগোলায় নিয়ে যাওয়া হয়। সবুজ রক্ষা করতে এবার এই বিষয়ে আরও কড়া নজরদারি শুরু করেছে বন দফতর। এই বিষয়ে ডিএফও (ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার) অনুপম খান ফোনযোগে জানিয়েছেন, সবুজ রক্ষা করতে বা বনাঞ্চল রক্ষা করতে নিয়মিতভাবে বন দফতর নজরদারি চালাচ্ছে। বন দফতরের কর্মীরা নিয়মিতভাবে পেট্রোলিং করছেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় সড়কে অন্যরকম দুর্ঘটনা, চরম বিপদে পড়ল লরির চালক
একই সঙ্গে অন্যান্য কোথাও গাছ বেআইনিভাবে কেটে ফেলা হচ্ছে কিনা, সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে। তাছাড়া অনেকেই বেআইনিভাবে গাছ কাঠগোলায় নিয়ে যান। ফলে বন দফতরের নজর থাকবে কাঠগোলাগুলির দিকেও। অবৈধভাবে সবুজ ধ্বংস হলে পদক্ষেপ করবে বন দফতর। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি গৌরান্ডি বিটে অবৈধভাবে গাছ কেটে সেগুলিকে কাঠগোলায় নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালান বিট অফিসার। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কাঠগোলায় একটি মেশিনের অনুমোদন থাকলেও সেখানে রয়েছে কাঠ কাটার দুটি মেশিন।
যখন বন দফতরের কর্মীরা অভিযান চালান, তখন কোনও বৈধ নথিও দেখাতে পারেননি কাঠগোলার মালিক। যদিও পরে তিনি দাবি করেন, তার কাছে সমস্ত নথি রয়েছে। তবে এই ঘটনার পর আরও সতর্ক হয়েছে বন দফতর। বনাঞ্চল রক্ষার পাশাপাশি অন্যান্য জায়গার গাছ রক্ষা করতেও বাড়ানো হচ্ছে নজরদারি।
নয়ন ঘোষ