প্রতীকী চিত্র 

Bangla News: ৮-এর নাবালিকার রহস্যমৃত্যু ঘিরে তোলপাড়, গ্রেফতার বাবা! ভয়ঙ্কর ঘটনা শুনলে শিউরে উঠবেন

হুগলি: একদিকে যখন আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে উত্তাল দেশ, নারী নিরাপত্তার নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন, তখন ফের এক রহস্যমৃত্যু। সেই সময় আবারও মাত্র আট বছরের শিশুকন্যার রহস্যমৃত্যু ঘিরে উঠছে প্রশ্ন।

ঘটনাটি  হুগলির দাদপুর থানার গোস্বামী মালিপাড়ার শিরা গ্রামে। হুগলি গ্রামীন পুলিশ সূত্রে খবর,  শনিবার রাতে দাদপুর থানার ওই এলাকা থেকে খবর আসে আট বছর বয়সি দ্বিতীয় শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। পরিবারের লোকজন কাউকে কিছু না জানিয়ে তড়িঘড়ি মৃতদেহ সৎকার করতে শ্মশানে নিয়ে চলে যায়।

আরও পড়ুন: দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব শেষ! কাঞ্চন মল্লিককে ‘ত্যাগ’ দিলেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী! আক্রমণে ঋত্বিক, কী এমন ঘটল?

গোস্বামী মালিপাড়ার বাসিন্দা সুখরঞ্জন মুখোপাধ্যায় পুলিশকে ফোন করে জানান, শিরা গ্রামে এক ছাত্রীকে পরিবারের লোকজন মেরে ফেলেছে ও প্রমাণ লোপাটের জন্য শ্মশানে নিয়ে গিয়েছে। পুলিশ এই খবর পাওয়া মাত্রই মধুবাগান গ্রামে শ্মশানে গিয়ে হাজির হয়। সেখানে গিয়ে পুলিশ দেখতে পায় সাদা কাপড়ে মোড়া অবস্থায় একটি মৃতদেহ রাখা রয়েছে। শ্মশান যাত্রীদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।

আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডের পর থেকেই কলকাতা পুলিশের ‘মুখ’ ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়, MNC-র চাকরি ছাড়া এই IPS-এর পরিচয় জানেন?

শ্মশান যাত্রীরা জানায়, কিশোরী বাড়িতে গলায় গামছা দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। যদিও তাদের কথা মানতে নারাজ হয় পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে। কিশোরীর বাবা গোপাল মালিক-সহ ছয় জনকে আটক করে পুলিশ। এরপরেই দাদপুর থানায় সুকরঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মৃতার জ্যাঠা গোপাল মালিক বাড়িতে কিশোরীকে মারধর করে মেরে ফেলে এবং গামছা দিয়ে ঝুলিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন।

কিশোরীর মা সে সময় বাপের বাড়ি ছিলেন, বাবা কমল মালিকও বাড়িতে ছিলেন না। মৃতদেহ ম্যাজিস্ট্রেটের পর্যায়ে সুরতহাল করা হয়। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে দেহ চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয় । দাদপুর থানার পুলিশ মৃতার জ্যাঠা-সহ সাত জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার চুঁচুড়া আদালতে পেস করে। আদালত গোপাল মালিককে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করে। বাকিদের জেল হেফাজত হয়।

হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি ডি এন্ড টি প্রিয়ব্রত বক্সি জানান, ঘটনার কথা জানতে পেরে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। কীভাবে কিশোরীর মৃত্যু হল? কেন কাউকে না জানিয়ে দেহ সৎকার করে দেওয়া হচ্ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ যখন কিশোরীর বাড়িতে যায় দেখে একটি গামছা পুরিয়ে ফেলা হয়েছে। যে সিলিং ফ্যানে ঝুলছিল সেই ফ্যান খুলে নেওয়া হয়েছে।

রাহী হালদার