সুন্দরবনের বাঘে আক্রান্ত নূর হোসেন গাজী

Tiger Attack Sundarban: সুন্দরবনের জঙ্গলে বাঘের সঙ্গে ভয়াবহ লড়াই বাসিন্দার! অভিজ্ঞতা শুনলে হাড়হিম হয়ে যাবে

সুন্দরবন: সুন্দরবনের জঙ্গলে বাঘের সঙ্গে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা জানলে শিহরিত হবেন। জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ! আর এভাবেই কাটে সুন্দরবনের মানুষের জনজীবন। সুন্দরবনের চিত্র যে বড়ই বৈচিত্রময়, তা বলাই বাহুল্য। শুধুমাত্র বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগে সুন্দরবনের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সেই সুন্দরবন এলাকার জঙ্গলজীবী মানুষের প্রধান জীবিকা জঙ্গলের মাছ, কাঁকড়া ধরা। আর এমনভাবে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে মাছ কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বন্যপ্রাণীর, বিশেষ করে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখে পড়তে হয়।

আরও পড়ুন: কেবল নিজের ঘরে এসি, উন্নয়নের নামে টাকা নিয়েও অপরিষ্কার স্কুল, প্রধান শিক্ষকের বদলির দাবিতে পড়ুয়ারা

এমনই এক ভয়ংকর বিচিত্র কাহিনীর কথা শোনালেন মহম্মদনূর হোসেন গাজী। সুন্দরবনে মাছ, কাঁকড়া ধরতে জলাজঙ্গলের খাড়িতে গিয়ে বাঘের মুখে পড়েন উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বসিরহাটের সুন্দরবন অঞ্চলের সামসেরনগরের বাসিন্দা। প্রায় ৩০ বছর আগে বাবা ও দাদার সঙ্গে সংসারে রুজিরুটির টানে গভীর জঙ্গলে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন নূর হোসেন গাজী।

জঙ্গলের খাড়িতে মাছ ধরার সময় হঠাৎ বাঘ জঙ্গল থেকে লাফিয়ে নূর হোসেনের ঘাড়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। যদিও দারিদ্র্যতার সঙ্গে জলবেষ্টিত দ্বীপে লড়াই করে বাঁচা নুর হোসেন ভয় পাননি। বরং হাতের লাঠি নিয়েই বাঘের সামনে বুক চিতিয়ে পাল্টা রুখে দাঁড়ান। তারপর তাঁর চিৎকারে এগিয়ে যাওয়া তাঁর বাবা আর দাদা দৌড়ে বাঘের মুখের উপর থাবা মারে ও লাঠি দিয়ে মারলে অবশেষে বাঘ পালিয়ে যায়। বাঘের আক্রমণের পিঠের মেরুদণ্ডের উপর সেই থাবার ক্ষত যেন আজও দগদগে। দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর কেটে গেলেও তাঁর চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। মাঝে মাঝে ঘুমের মধ্যে সেই ছবি আগে ভেসে ওঠে বলে জানান নূর হোসেন গাজী।

জুলফিকার মোল্যা