ব্রজবল্লভপুর, রাক্ষসখালি, জিপ্লট, ঘোড়ামারা, সাগর, মৌসুনী-সহ একাধিক দ্বীপ জলমগ্ন হয়ে যাবে এর ফলে। সেই জল আর নামবে না ভবিষ্যতে ফলে ঘরছাড়া হয়ে পড়বেন লক্ষ লক্ষ মানুষ।
Tag Archives: sundarban news
Sundarban Mangrove Forest: সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ অরণ্য কেটে নির্দ্বিধায় তৈরি হচ্ছে মাছের ভেড়ি, দেখুন ভিডিও
দুর্যোগের মুখে প্রকৃতির ঢাল। একাধিক ঘূর্ণিঝড় থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকাকে বাঁচিয়েছে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ। সেই ম্যানগ্রোভই ধ্বংস করা হচ্ছে। পাথরপ্রতিমায় ম্যানগ্রোভ কেটে তৈরি হচ্ছে মাছের ভেড়ি।
Cyclone Remal Effects: রিমলের তাণ্ডবে ভেঙেছে একাধিক নদীবাঁধ! ভোটপ্রচারে এসে পরিদর্শন করে আশ্বাস দিলেন সেচমন্ত্রী
বসিরহাট: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সুন্দরবনের নদীবাধ পরিদর্শনে সেচমন্ত্রী। ধীরে ধীরে বিদ্যাদরী নদী ভাঙনের ফলে সন্দেশখালির বাউনিয়া বিসীদের হাজার বিঘে জমি নদীগর্ভে চলে গেছে ভরসা বসত বাড়ি মন্ত্রীকে জানালেন এলাকার মানুষ। রিমলের ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবনের একাধিক নদী বাঁধ।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সেই বাঁধ পরিদর্শনে এলেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বললেন। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবন লাগোয়া হিঙ্গলগঞ্জ ও সন্দেশখালি ব্লকের ন্যাজাট এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাউনিয়া সিং পাড়ায় বিদ্যাধরী নদী প্রায় দেড় কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাশাপাশি প্রচুর কাঁচা পাকা বাড়ি নদী গর্ভে গ্রাস করেছে। সেই গ্রাম ও বাঁধ পরিদর্শনে এলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: এক দল গিরগিটির মধ্যে কেবল একটিই জিভ বের করে রয়েছে, ৬০ সেকেন্ডে খুঁজে পাবেন? রইল চ্যালেঞ্জ
একদিকে বিদ্যাধরী, রায়মঙ্গল, ইছামতি, কালিন্দী, ছোট কলাগাছি, বড় কলাগাছি, গৌড়েশ্বর, ডাসা, বেতনি নদী-সহ একাধিক নদী বাঁধ পরিদর্শন করেন এবং গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। সেচমন্ত্রী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমি এখানে এসেছি, আপনাদের সব বক্তব্য অভিযোগ শুনলাম। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব। দ্রুত নদীর বাঁধের কাজ শুরু হবে, অন্যদিকে আপনাদের সমস্যার কথা জানাব।”
গ্রামবাসীদের দাবি, বিদ্যাধরী নদী ভাঙনের ফলে প্রায় দেড় হাজার বিঘা জমি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে, ধীরে ধীরে গিলে খাচ্ছে বসতবাড়ি। এখনই সমাধান না হলে হয়তো পুরোটাই নদীতে চলে যাবে। নদী বাঁধের একটি স্থায়ী সমাধান চাইছেন এলাকার মানুষ। যে সব নদী বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত এবং যেসব গ্রাম প্লাবিত হয়ে চাষের জমিতে নদীর নোনা জল ঢুকে ফসল নষ্ট হয়েছে সেই সব এলাকা সরজমিনে খতিয়ে দেখেন পার্থ ভৌমিক। এরপরে সরকারিভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন পাশাপাশি গ্রামবাসীরা বলেন, “প্রশাসনের প্রতি আমাদের আস্থা ভরসা আছে। দ্রুত আমাদের এই সমস্যা সমাধান হোক।”
জুলফিকার মোল্যা
Cyclone Remal Affects: ঘূর্ণিঝড়ের ঝাপটায় বিদ্যুৎহীন এলাকা, ভেঙে পড়ছে একের পর এক নদীবাঁধ! হিঙ্গলগঞ্জে রাত জেগে বাঁধ সারাই
বসিরহাট: ঘূর্ণিঝড় রিমলের তাণ্ডবে একের পর এক নদীবাঁধে ভাঙন হিঙ্গলগঞ্জে। উপকূলে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘রিমল’ ইতিমধ্যে ল্যান্ডফল শুরু করে দিয়েছে। ল্যান্ডফল হতেই সুন্দরবনের নদী বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় নদী বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে।
ইতিমধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জের ইছামতি, কালিন্দী, গৌড়েশ্বর-সহ বিভিন্ন নদীর বাঁধ ভাঙতে শুরু করেছে, বেশ কয়েকটি জায়গায় ফাটলও দেখা দিয়েছে। হিঙ্গলগঞ্জের বিশপুর, বোলতলা শ্মশানঘাট, মালেকান ঘুমটি-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় নদীর বাঁধ ভেঙে গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছে।
তবে বড়সড় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে তৎপর প্রশাসন। ইতিমধ্যে ব্লক প্রশাসন, সেচ দফতরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। ঝড়ের তাণ্ডবলীলায় বিদ্যুৎহীন গোটা এলাকা। ইতিমধ্যে জেনারেটর, জেসিবি মেশিন দিয়ে রাত জেঙে বাঁধ সারাই-এর কাজে হাত লাগাল প্রশাসন, যোগ দিয়েছেন এলাকার মানুষও।
বারবার প্রকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে সুন্দরবন এলাকা। আর সুন্দরবন এলাকার ক্ষতবিক্ষত হওয়ার পিছনে প্রধান কারণ দুর্বল নদীবাঁধ। বিগত দিনে আমফান, ইয়াস ও আয়লার মতো প্রাকৃতিক রোষে ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবন অঞ্চল। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নদীবাঁধ। বিপন্ন হয়েছে সুন্দরবনের সামাজিক জীবন। ঘূর্ণিঝড় রিমলের তাণ্ডবের প্রাথমিক অবস্থাতেই কার্যত নদীবাঁধ ভেঙে চূর্ণবিচূর্ণ। তবে ফের কি আবার একটি ভয়ানক রাত দেখতে চলেছে সুন্দরবনবাসীরা? কপালে চিন্তার ভাঁজ এলাকার মানুষের।
জুলফিকার মোল্যা
Sundarban: জীবিকার কারণেই স্ত্রীরোগে আক্রান্ত হচ্ছে সুন্দরবনের মেয়েরা
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সুন্দরবনের মেয়েদের জীবিকাই তাঁদের অসুখের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে্ এখানকার মহিলারা নিজেদের জীবিকার কারণে নানান নারী ঘটিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। রাজ্যের প্রান্তিক এলাকা সুন্দরবনের মানুষের বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় এখানকার বাসিন্দারা জঙ্গলে মধু সংগ্রহ করে বা মাছ, মীন করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এর মধ্যে মহিলারাই প্রধানত মাছের মীন ধরার কাজটা করেন। আর তা করতে গিয়েই নারী ঘটিত নানান জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁরা।
সুন্দরবনের জঙ্গলে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে বাঘের হানায় পুরুষদের মৃত্যুর ঘটনা প্রায় জলভাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত সুন্দরবনে বাঘের কামড়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। দু’জন আহত হয়েছেন। এদিকে মহিলারা দীর্ঘক্ষণ নদীর ও খাড়ির জলে দাঁড়িয়ে মাছের মীন ধরার কারণে চর্মরোগের পাশাপাশি নানান নারী রোগ সংক্রান্ত অসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: এখনই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত! আক্রান্তের সংখ্যা শুনলে চমকে যাবেন
এই বিপদ থেকে তাঁদের রক্ষা করতে এগিয়ে এসেছে একটি সংগঠন। কুলতলি ব্লকের মৈপীঠ নগেনাবাদের প্রত্যন্ত এলাকায় সারাদিন ধরে বিনা খরচে স্বাস্থ্য শিবির পরিচালনা করছে সংস্থাটি। কলকাতার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা এসে গ্রামের অসুস্থদের চিকিৎসা করে তাঁদের ওষুধ দেন। এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ইন্দ্রনীল বর্গী, জসমিত সিং অরোরা, বিবেক ভৌমিক প্রমূখ। প্রখর দাবদহকে উপেক্ষা করে এই শিবিরে রোগীদের আগমন ছিলো চোখে পড়ার মতন। সাধারণ ও গাইনো বিভাগ মিলিয়ে ১৩৬ জন রোগীর চিকিৎসা হয়।
সুমন সাহা
Fire Incident: ১০ দিনে ৩টি অগ্নিকাণ্ড! বিপুল ক্ষতি, সুন্দরবন এলাকায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দাবি
বসিরহাট: গত ১০ দিনে ৩টি অগ্নিকাণ্ড, এলাকার ফায়ার ব্রিগেডের দাবি স্থানীয়দের। একের পর এক লাগাতার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই প্রায় দোকান-সহ ১৪-১৫টি বাড়ি। বৈশাখের প্রথম দিনে সন্দেশখালির খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েতের চৌমাথাতে পরপর চার চারটি দোকানঘরে আগুন লাগে।
আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায় দোকানের একাধিক মালপত্র। গতকাল, মঙ্গলবার অগ্নিকাণ্ডের জেরে আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে ছাই হল পুরো বাড়ি। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জের পুকুরিয়া এলাকায়। অগ্নিকাণ্ডের জেরে একসঙ্গে পুড়ল ছ’টি ঘর। আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায় বাড়ির খাদ্যবস্তু, নগদ টাকা, আসবাবপত্র-সহ প্রয়োজনীয় নথি।
বসিরহাট মহকুমার ফায়ার স্টেশন থেকে হিঙ্গলগঞ্জের সুন্দরবন এলাকায় দ্বীপ অঞ্চলের দূরত্ব প্রায়ই ৭০ কিলোমিটার। কালিতলা, যোগেশগঞ্জ, সাহেবখালি, দুলদুলি, গোবিন্দকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকাগুলিতে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। সেখানে পরপর এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দ্রুত ফায়ার সার্ভিস পরিষেবা পৌঁছানোর আগে আগুনে পুড়ে সব শেষ হয়ে যায়। সেজন্য সুন্দরবন এলাকায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এদিন হিঙ্গলগঞ্জের পুকুরিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করলেন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। উল্লেখ্য সন্দেশখালির আন্দোলনের অন্যতম প্রতিবাদী মুখ হিসাবে নজরে আসে রেখা পাত্র। তবে মানুষের সমস্যায় পাশে দাঁড়ানোর কথা ভুলছেন না তিনি। আগুনের লেলিহান শিখায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন রেখা। তাঁদের বাড়ির ভিতরে ঢুকে দেখলেন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। শুনলেন পরিবারের যন্ত্রণার কথা।
জুলফিকার মোল্যা
South 24 Parganas News: বাঘের সঙ্গে ভয়ঙ্কর লড়াই! শেষরক্ষা হল না…সুন্দরবনের জঙ্গলে মর্মান্তিক কাণ্ড
সুন্দরবন: আবারও বাঘের হানায় মৃত্যু হল এক মৎসজীবীর। নিহতের নাম দীপক মন্ডল(৫৩)। ঘটনা ঘটেছে সুন্দরবনের পীরখালির জঙ্গলের কোর এলাকায়। সপ্তাহ খানেক আগে তিন সঙ্গীর সঙ্গে মাছ, কাঁকড়া ধরতে গোসবার ৭ নম্বর কুমিরমারি গ্রাম থেকে রওনা দিয়েছিলেন দীপক। কাঁকড়া ধরার সময় বাঘে তুলে নিয়ে যায় দীপককে।
বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রে খবর, তিন সঙ্গী সুদীপ মন্ডল, দেবু মন্ডল ও সুজয় মণ্ডলের সঙ্গে গত সোমবার মাছ, কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন দীপক। সেখানেই যখন জঙ্গলের পাড়ে নদীর চরে কাঁকড়া ধরছিলেন সকলে তখনই আচমকা জঙ্গল থেকে একটি বাঘ বেরিয়ে এসে দীপকের ঘাড়ে কামড় বসায়।
আরও পড়ুন: মাত্র ২ টাকাতেই! কাপের পর কাপ চা খেলেও চিন্তা নেই আর, লম্বা লাইন দোকানের সামনে
তাঁকে টানতে টানতে জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দীপকের চিৎকারে তাঁর সঙ্গীরা ছুটে এসে বাঘের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বেশ কিছুক্ষণ চলে বাঘে মানুষে লড়াই। একের পর এক আঘাত সহ্য করতে না পেরে শিকার ছেড়ে পালিয়ে যায় বাঘটি।
রক্তাক্ত অবস্থায় দীপককে উদ্ধার করে গ্রামে নিয়ে আসার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। সুদীপ, দেবুরা বলেন, ” অনেকক্ষণ বাঘের সঙ্গে লড়াই করে দীপককে উদ্ধার করে এনেছি। কিন্তু বাঁচাতে পারব না সেটা ভাবিনি। এরকম দুর্ঘটনায় আগে কখনও পড়িনি।’’
এই ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। দীপকের স্ত্রী সুনন্দা বলেন, ” এই করেই আমাদের সংসার চলে। এত বছর ধরে জঙ্গলে যাচ্ছেন কোনদিন বিপদ হয়নি। এভাবে স্বামীকে হারাতে হবে ভাবিনি।” সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর জোন্স জাস্টিন বলেন, ” ঘটনার কথা শুনেছি। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওনাদের মাছ ধরার অনুমতি ছিল ঠিকই তবে যে এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে সেখানে যাওয়ার অনুমতি ছিল না।
সুমন সাহা