উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণবঙ্গ Knowledge: দেখতে এত সুন্দর, কিন্তু কচুরিপানা এ দেশের উদ্ভিদই নয় জানেন কি? কোথা থেকে এল, কীভাবে? চমকে যাবেন শুনে Gallery September 4, 2024 Bangla Digital Desk উত্তর ২৪ পরগণা: কচুরিপানা! এর ফুল দেখতে সুদৃশ্য, যা বাংলার গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন পুকুর কিংবা জলাশয়ে দেখতে পাওয়া যায়। এটি একটি ভাসমান বহুবর্ষজীবী জলজ উদ্ভিদ। এটি পুরু, চকচকে এবং ডিম্বাকৃতির পাতাবিশিষ্ট কচুরিপানা যা জলের উপরিপৃষ্ঠের ওপর ১ মিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। (প্রতিবেদন: জুলফিকার মোল্যা) ভারতীয় উপমহাদেশে কচুরিপানা আসার ইতিহাসটি বেশ চমকপ্রদ। এটি মূলত দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন বনাঞ্চলের উদ্ভিদ। এই কচুরিপানার এদেশের খাল, বিল, নদী বা যে কোনও আকারের জলাশয়ে সবুজ পাতার যে কচুরিপানা দেখা যায় সেটা প্রায় দেড়-দু’শো বছর আগেও এ অঞ্চলে কেউ চিনত না – এটি এখানেও জন্মাতও না। কচুরিপানার আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকা বলে মনে করা হয়। মূলত আমাজন জঙ্গলের জলাশয়ে থাকা উদ্ভিদ এটি। কচুরিপানার হালকা বেগুনি রঙের অর্কিড-সদৃশ্য ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে জর্জ মরগান নামে এক স্কটিশ ব্যবসায়ী ব্রাজিল থেকে বাংলায় কচুরিপানা নিয়ে আসেন। কচুরিপানা খুবই সহনশীল এবং দ্রুত বর্ধনশীল এক উদ্ভিদ। উপযুক্ত পরিবেশ পেলে এই একটিমাত্র উদ্ভিদ থেকে এক মাসে কয়েক হাজারের বেশি সংখ্যায় বিস্তৃত এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে যেতে পারে। কচুরিপানার বীজ উৎপাদনের হারও অনেক বেশি। ৩০ বছর পরও অঙ্কুরোদগম ঘটাতে পারে এদের বীজ। এভাবেই কচুরিপানা বাংলার মাঠ থেকে জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়ে। আবার একটি মত অনুযায়ী, জনৈক ব্রাজিলীয় পর্যটক আঠারশো শতাব্দীর শেষভাগে বাংলায় কচুরিপানা নিয়ে আসেন। একসময় বাংলার প্রায় প্রতিটি জলাশয় কচুরিপানায় ভরে যায়।