তামা

Darjeeling Tourism: দার্জিলিং গেলে এই বাঁশের পদের স্বাদে মজে যান! একবার খেলে মাছ মাংসের দিকে ফিরেও তাকাবেন না

সুজয় ঘোষ, দার্জিলিং :  ছুটির দিন হলেই মন চায় পাহাড় আর পাহাড়। এই পাহাড়ের টানে প্রত্যেক বছর দূরদূরান্ত থেকে উত্তরবঙ্গে ছুটে আসে প্রচুর পর্যটক। গরমের ছুটি হোক বা পুজোর ছুটি-পর্যটকদের ভিড়ে জমজমাট থাকে পাহাড়। পাহাড়ে প্রচুর পর্যটক ঘুরতে এসেই বিভিন্ন স্থানীয় নেপালি জনজাতির হাতের তৈরি খাওয়ার টেস্ট করে থাকেন। বাঙালি মানেই তো ভোজনরসিক। তাই ঘুরতে এসে খাওয়াদাওয়া হবে না, তা তো হয় না। বর্তমানে পাহাড়ে ঘুরতে আসো পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে নেপালি জনজাতির একটি জনপ্রিয় খাবার “তামা” । পাহাড়ে ঘুরতে এসে এই খাবার না খেলেই মিস!

নেপালি জনজাতির হাতের তৈরি এই খাওয়ার “তামা”, আমরা যাকে বাংলায় বলে থাকি বাঁশ । এটা শুনে আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে বাঁশ আবার খাওয়া যায় নাকি? তাহলে বলি নেপালি জনজাতির এই বিখ্যাত রেসিপি তৈরি হয় বাঁশ গাছের একদম গোড়ার অংশ দিয়ে। সাধারণত বাঁশ গাছ কেটে ফেলার পর পড়ে থাকে গোড়ার অংশটি, বাঁশ গাছের এই অংশটি একদম নরম হয়। স্থানীয় মানুষ এই অংশটিকে কেটে বাড়িতে নিয়ে এসে এটাকে ভালভাবে পরিষ্কার করে ছাল সরিয়ে তার পর রান্না করে থাকে।

আরও পড়ুন : কয়েক চুমুক জলেই মেদ গলে ছিপছিপে চেহারা! শুধু এভাবে এই পাত্র থেকে করতে হবে জলপান

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন প্রথমে টুকরো টুকরো করে কেটে হলুদ,লবণ দিয়ে এটিকে সেদ্ধ করা হয়। তারপর কড়াইতে গরম তেলে পেঁয়াজ টম্যাটো আদা রসুন জিরে দিয়ে ভালমতো কষিয়ে তৈরি হয় সুস্বাদু এই খাবার। এটিকে আপনি ভাত বা রুটি উভয়ের সঙ্গেই খেতে পারেন। অন্যদিকে বাঁশ গাছের এই অংশ দিয়ে তৈরি হয় বিভিন্ন ধরনের আচার যা পর্যটকদের কাছে পছন্দের তালিকায় শীর্ষস্থানে জায়গা করে নিয়েছে।

তাহলে আর দেরি কেন, আপনিও বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন নেপালি জনপ্রিয় খাওয়ার “তামা”। এই খাবার খেলে মাছ মাংস ভুলে যাবেন আপনি। বাজেট ফ্রেন্ডলি এই খাবার ঝালে ঝোলে রসালো এবং খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু।আপনি যদি পাহাড়ে গিয়ে এই খাবার না খেয়ে থাকেন তাহলে মিস করছেন। পাহাড়ে গেলে অবশ্যই খেয়ে দেখুন অত্যন্ত সুস্বাদু লোভনীয় এই নেপালি পদ।