ভোগান্তি থেকে মুক্তির পেতে পাকা তারাফেনী নদীর উপর সেতুর দাবি গ্রামবাসীদের

Bangla Video: নদী পারাপার করতে গিয়ে হড়পা বানে মৃত্যু! বন্ধ পঠন-পাঠনও, দেখুন

ঝাড়গ্রাম : নদীতে সারা বছর থাকে গোড়ালি সমান জল। তাই নদীর ওপর দিয়েই দিব্যি হাঁটাচলা করে গ্রামের বহু মানুষ। কিন্তু বর্ষার সময়টাই কাল হয়ে দাঁড়ায় তাদের আছে। সাত-আটটি গ্রামের মানুষজনের হাতের সামনে বাজার স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলেও যেতে পারে না তারা। খুব প্রয়োজন হলে দীর্ঘ ঘুরপথে তাদের পৌঁছতে হয় বাজার, স্কুল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। বর্ষার মরশুমে সময় বাঁচানোর জন্য নদী পার হতে গিয়ে হড়পা বানে প্রাণও হারিয়েছেন গ্রামের বেশ কয়েকজন বাসিন্দার। তাই তারা বর্ষার এই চারটি মাস চরম ভোগান্তির শিকার হন। এবার তারা নদীর উপর স্থায়ী সেতুর দাবি জানাচ্ছেন।

ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর দু’নম্বর ব্লকের বাঁকুড়া জেলা সীমানাবর্তী হাড়দা গ্রাম পঞ্চায়েতের বুক চিরে চলে গেছে তারাফেনী নদী। নদীর এক প্রান্তে রয়েছে হাড়দা বাজার সহ স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ঝাড়গ্রাম জেলা সদর। নদীর অপর প্রান্তে রয়েছে বিন্দাধরা, করসাই, বাঁশজুরি, বড়ডাঙ্গা সহ প্রায় সাত থেকে আটটি গ্রাম। পাহাড়ি এলাকার খরস্রোতা নদী হওয়ায় হঠাৎ হড়পা বান চলে আসে নদীতে। হড়পা বানের জলে ভেসে চলতি বর্ষার মরশুমে দু’জন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি গ্রামবাসীদের। ভরপুর বর্ষার মরশুমে প্রায় দু’মাসের বেশি সময় ধরে এই সমস্ত গ্রামের ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে পারে না। বন্ধ থাকে তাদের স্কুলের পঠন-পাঠন। কোনও গর্ভবতী মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে গেলে অ্যাম্বুলেন্সও আসতে চায়না গ্রামে। গ্রামবাসীদের দাবি কখনওকখনওতাদের গর্ভবতী মহিলাকে খাটে চাপিয়ে বইয়ে নিয়ে যেতে হয় বড় রাস্তা পর্যন্ত।

আরও পড়ুন: রাজ আমলের দিঘি আজ বেহাল দশায়, ক্ষোভ স্থানীয়দের

বিন্দাধরা গ্রামের গ্রামবাসী সাধন সর্দার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমস্ত প্রয়োজনে ছুটে যেতে হয় তারাফেনী নদীর ওই প্রান্তে হাড়দাতে। হাড়দাতে রয়েছে বাসস্ট্যান্ড ,স্কুল, বাজার, স্বাস্থ্য কেন্দ্র। সারা বছর তারাফেনী নদীতে জল কম থাকলেও বর্ষার সময় জল বেড়ে যায় ফলে আমরা আর যাতায়াত করতে পারি না। আর সেই সময় হঠাৎ হড়পা বান চলে আসলেই আমাদের ভাসিয়ে নিয়ে যায়।

দীর্ঘদিনের এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে চাইছে বিন্দাধরা, করসাই, বাঁশজুরি, বড়ডাঙ্গা সহ সাত থেকে আটটি গ্রামের মানুষজন। সেখানকার ছোট ছোট কচিকাঁচারাও প্রতিদিন যেতে চাইছে স্কুলে। হড়পা বানে কারো মৃত্যুর সংবাদ শুনতে চাইছে না গ্রামবাসীরা। তাই তারা এবার পাকা সেতুর দাবিতে অনড়।

বুদ্ধদেব বেরা