পশ্চিম বর্ধমান: সপ্তাহ ঘুরলেই বিশ্বকর্মা পুজো। তারপর আরও জমজমাট হয়ে উঠবে বাঙালির পুজো পুজো ভাব। কিন্তু উৎসবের মরশুমের আগেই খারাপ খবর। পুজোর ফুলে কি টান পড়বে? বাজারে ফুলের দাম অন্তত তেমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে। ফুল কিনতে গিয়ে হাত পুড়ছে সাধারণ মানুষের। পুজোর স্বার্থে যেটুকু ফুল না হলেই নয়, সেটুকু কিনছেন সবাই।
বিশেষ করে বাজারে গাঁদা ফুলের দাম এবং রজনীগন্ধার দাম আকাশ ছোঁয়া। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে এই ফুল দুটি বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। যার প্রভাব সরাসরি পড়ছে খোলা বাজারে। এক একটি গাঁদা ফুলের চেনের দাম যেখানে অন্যান্য সময় ১০ টাকা ১৫ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, এখন সেটি ৩০-৪০ টাকাতে পৌঁছে যাচ্ছে। গত অগাস্ট মাসে সেই দাম আরও বেশি ছিল বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। একই অবস্থা রজনীগন্ধার ক্ষেত্রেও।
কিন্তু হঠাৎ এমন অবস্থা হল কেন? ফুল ব্যবসায়ীরা বলছেন, চলতি বছরের রজনীগন্ধার ফলন কম রয়েছে। যে কারণে চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে রজনীগন্ধার দাম কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু গাঁদার ফলন ভাল রয়েছে বলেই জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সেক্ষেত্রে তাদের অভিযোগ, কৃষকরা বেশি দামে পাইকারি বাজারের গাঁদা বিক্রি করছেন। ফলে ছোট ব্যবসায়ীদের সেই ফুল আরও বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। ক্রেতাদের হাতে পৌঁছতে পৌঁছতে দাম আরও খানিকটা বাড়ছে।
আরও পড়ুন- বিরাট ক্ষতিকর…! ‘তেলাপিয়া’ মাছ-ই ডেকে আনছে ভয়ঙ্কর বিপদ, যা বলছেন গবেষকরা, শুনলে আঁতকে উঠবেন
এমন অবস্থায় বাড়ছে আশঙ্কা। উৎসবের মরশুমে ফুলে টান পড়তে পারে, সেই আশঙ্কাও বাড়ছে। কারণ অত্যাধিক দামের কারণে শুধুমাত্র প্রয়োজনের ফুলটুকু কিনছেন ক্রেতারা। বেশি দামের জন্য গাঁদা এবং রজনীগন্ধার বিক্রিও কমেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত গোলাপ, পদ্ম ফুলের দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে। কিন্তু এখন যে দামে ফুল বিক্রি হচ্ছে, সেই দাম পুজোর আগে কমার আশা দেখছেন না ব্যবসায়ীরা। সবমিলিয়ে পুজোর সময় ফুল কিনতে গিয়ে যে কিছুটা নাকাল হতে হবে, সেই বিষয়ে কার্যত নিশ্চিত ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ই।
নয়ন ঘোষ