উত্তর ২৪ পরগনা: হাবড়ায় প্রায় ১৪০ প্রজাতির বিদেশি আম ফলিয়ে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এক নার্সারি মালিক। বর্তমানে আম গাছ গুলিতে কোনটায় এসেছে মুকুল, আর বেশ কিছু গাছে ধরেছে নানা আকারের ও বিভিন্ন রঙের বিদেশি আম। যার এক একটির স্বাদ, একএক রকমের বলেই দাবি নার্সারি মালিকের। তার এই বিদেশী আমের গাছ দেখতে এখন রীতিমতো ভিড় জমছে নার্সারিতে। আর তাতেই যেন বেজায় উৎসাহী নার্সারি মালিক মফিজুল রহমান।
আরও পড়ুন: সেলাই প্রশিক্ষণেই কর্মসংস্থানের দিশা দেখছেন সুন্দরবনের মেয়েরা
বর্তমানে তার নার্সারিতে রয়েছে চীন, জাপান, থাইল্যান্ড, ইসরাইল ও আমেরিকার ১৪০ প্রজাতির বাহারি আম। কথা বলে জানা যায়, বিদেশি আম দেখা যাচ্ছে বছরে তিন চারবার ফলন ধরে। আর সেটা হচ্ছে বাংলার মাটিতেই। বিদেশের আবহাওয়ার সঙ্গে বঙ্গের আবহাওয়ার মিল না থাকলেও, ফলন ধরছে ওই গাছগুলিতে। সাধারণত হিমসাগর, গোলাপ খাস, ল্যাংড়া এই ধরনের আম দু বছরে একবার ফলন হয়। অর্থাৎ এক বছর ফলন হলে পরের বছর সেভাবে ফলন দেখা যায় না গাছগুলিতে বলেই জানান নার্সারি মালিক। আর সেখানেবিদেশী এই প্রজাতির আম গুলি এক বছরে তিন থেকে চারবার করে ফলন দেয়, যা শুনেই আগ্রহ জন্মায় তার। ৬৫ রকমের প্রজাতির আম গাছের চারাও তৈরি করেছেন বলে জানান। নার্সারি মালিক মফিজুল এর ইচ্ছে রয়েছে, আগামী দিনে যদি কোন সরকারি সাহায্য বা লোন পান, তবে প্রায় ২০ থেকে ৩০ বিঘা জমি নিয়ে এই বিদেশী আমের বাগান তৈরির। তার এই নার্সারিতে এখন রয়েছে মিয়াজাকি, কিউ জাই, কাটিমন, ডকমাই, চিয়াংমাই, পালমার, আলফানসো সহ আরও নানা প্রজাতির আম।
জানা যায়, বিদেশি জাতের এই আম মিষ্টি, সুস্বাদু ও রাসালো। আমের আটিও হয় পাতলা। জাত ভেদে কাঁচাপাকায় আমের উপরের ও ভিতরের রংও আলাদা হয়। তাই বাহারি বিদেশি আমের এই গাছের চারা আপনার বাড়িতেও লাগাতে পারবেন চাইলেই। আর তা থেকেই মিলবে ১২ মাস আমের স্বাদ। ইতিমধ্যেই নার্সারী মালিকের এমন উদ্যোগের কথা জেনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে স্থানীয় প্রশাসন সহ কৃষি দফতরও। ভবিষ্যতে এ ধরনের গাছের চাষ অন্যান্য চাষীদেরও উৎসাহ যোগাবে বলেই জানান হাবরা ওয়ান এর বিডিও সুবীর কুমার দণ্ডপাত। তবে এখন হাবরার এই বিদেশী আমের বাগান দেখতে রীতিমতো ভিড় জমছে উৎসাহী মানুষের।