গ্রীনল্যান্ডে ভয়ঙ্কর ভূমিধস

Greenland Tsunami : বিশাল ভূমিধসের কারণে ৬৫০ ফুটের মেগা সুনামি, ভয়ঙ্কর কম্পন চলে টানা ৯ দিন

ন্যুক :  গ্রিনল্যান্ডে বিশাল ভূমিধস। পাহাড় ভেঙে পড়া একটি মেগা-সুনামি সৃষ্টি হয়েছিল৷ ভূমিকম্পের জের চলেছিল প্রায় নয় দিন। ব্যাপারটা বিজ্ঞানিদের চিন্তিত করে তুলেছে৷ তাদের মতে, আর্কটিক অঞ্চলে জলবায়ুর পরিবর্তনই এর প্রধান কারণ।

অদ্ভুত ঘটনাটি একটি বিশাল হিমবাহ গলে যাওয়ার সঙ্গে শুরু হয়েছিল৷  ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩-এ একটি বিশাল ভূমিধস হয়৷ যে কারণে ৬৫০ ফুটের মেগা-সুনামি সৃষ্টি হয়েছিল।

আরও খবর : একই দিনে ২৩টি দাঁত তোলা এবং ১২টি ইমপ্ল্যান্ট, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তি

সিসমোলজিস্টরা প্রাথমিকভাবে অন্য কিছু ভেবেছিলেন৷ তারা মনে করেছিলেন, যন্ত্রগুলির অস্বাভাবিক কম্পন ত্রুটি ছাড়া কিছু নয়। কারণ, সাধারণ ভূমিকম্প হলে, যন্ত্রগুলি মিনিট খানেকের মধ্যে সঙ্কেত দিয়ে থাকে৷ কিন্তু এই ক্ষেত্র ব্যাপারটি আলাদা ছিল৷ রিপোর্ট অনুযায়ী, যন্ত্রগুলি প্রায় নয় দিন ধরে ভূকম্পের সঙ্কেত দিয়েছে৷ এতটাই ছিল তীব্রতা৷

ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের একজন সিসমোলজিস্ট এবং পিয়ার-রিভিউড জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার সহ-লেখক স্টিফেন হিকস এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন৷ তিনি ভূমিকম্পের সঙ্কেতটি একঘেয়ে গুঞ্জন হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কম্পনের উৎস কোথায় তা নির্ধারণের জন্য ১৫টি দেশের ৬৮ জন বিজ্ঞানী কাজ করছিলেন। তারা পূর্ব গ্রিনল্যান্ডে, বিশেষ করে সুনামি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাতে সঙ্কেতটি চিহ্নিত করেছে।

জলবায়ু পরিবর্তন হঠাৎ এমন ঘটনার কারণ? বিজ্ঞানীরা ব্যাপারটির জন্য বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করেছেন৷ উষ্ণায়নের প্রভাবে হিমবাহটি বছরের পর বছর ধরে গলেছে৷ এবং সেটাই একটা সময় আছড়ে পড়েছে৷ ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি প্রমাণ করে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আর্কটিক অঞ্চলের পরিবেশ পরিস্থিতি কতটা অস্থির হয়ে উঠেছে। গবেষণার লেখকরা সতর্ক করেছেন যে আর্কটিক অঞ্চল এভাবে উষ্ণ হতে থাকলে পরবর্তীকালে মেগা সুনামি আরও ঘন ঘন হতে পারে৷

আরও খবর : অ্যাম্বুল্যান্সের পিছনে পাগলের মতো ছুটছে একটি কুকুর, ভাইরাল ভিডিও! মন ছুঁয়ে যাবে শেষ দৃশ্য

যদিও ভয়ঙ্কর এই সুনামিতে কোনও প্রাণহানির খবর নেই৷ তবে এটি একটি ঐতিহ্যশালী সামরিক ঘাঁটির ভালোই ক্ষতি করেছে। বিজ্ঞানীদের বলেছেন, যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে, সেই রুটে যাত্রীবাহি ক্রুজ চলাচল করে থাকে৷ ভাগ্য ভালো, সেদিন কোন ক্রুজ এই বিশাল ঢেউয়ের সামনে পরেনি৷ না হলে আরও ভয়ঙ্কর কিছু ঘটতে পারত৷

বিশ্ব জুড়ে ক্রমবর্ধমান উষ্ণায়ন আর নতুন কোনও খবর নয়৷ এই উষ্ণায়নের ফলে আর্কটিক অঞ্চলের জলবায়ুতে খুব দ্রুত গতিতে বদলে যাচ্ছে৷ এমন চললে ভবিষ্যতে যে আরও ভয়ঙ্কর কিছু অপেক্ষা করছে সে কথা মেনে নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷