শিলিগুড়ি : আন্তর্জাতিক তায়কোন্ডোতে দেশকে জোড়া সোনা উপহার দিল শিলিগুড়ির মেয়ে শ্রেয়া বসাক। গর্বিত শিলিগুড়িবাসী তথা গোটা দেশ । ছোটবেলা থেকেই খেলার প্রতি বিশেষ ঝোঁক রয়েছে শ্রেয়ার। স্কুল থেকেই তায়কোন্ডোতে মনোনিবেশ করেছিল সে। তাঁর প্রতিভা, সাহসিকতা এবং দীর্ঘ দিনের কঠিন পরিশ্রম আবারও দেশের ঝুলিতে এনে দিল সোনার পালক। কলকাতায় অনুষ্ঠিত চতুর্থ এওটি কাপ তায়কোন্ডো চ্যাম্পিয়নশিপে জোড়া সোনা ও রুপার পদক জয় করে সকলকে চমকে দিয়েছে শ্রেয়া। গ্রুপ প্যাটার্ন ও নিজস্ব স্প্যারিং বিভাগে সোনার পদক এবং নিজস্ব প্যাটার্নে রুপোর পদক জিতেছে শ্রেয়া।
প্রসঙ্গত, ভারত সহ ৯ টি দেশ এই খেলায় অংশগ্রহণ করেছিল। তাদের মধ্যে ফাইনাল রাউন্ডে নেপাল কে হারিয়ে শ্রেয়ার এই জয়। বর্তমানে সে টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। মাঝে দু বছর কোভিড এবং পড়াশোনার জন্য প্র্যাকটিস বন্ধ ছিল। তবে ছোট থেকেই খেলাধুলোর প্রতি তাঁর যে ভালোবাসা ছিল সেই টানেই একই বছরে আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের হয়ে দু’বার সোনা জিতলেন শিলিগুড়ির শ্রেয়া বসাক। এর আগে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এশিয়ান তায়কোন্ডো প্রতিযোগিতায় সোনা জেতেন শ্রেয়া।
এই প্রসঙ্গে শ্রেয়া বলেন,”তায়কোন্ডো আমার জীবনকে সম্পূর্ন করে। এই স্পোর্টস আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে । আমার পড়াশোনার পাশাপাশি আগামীদিনেও দেশের হয়ে খেলে যাবো। সোনা জেতা বা না জেতাটা বড় কথা নয়, পারফরেকশনটাই আমার কাছে ভীষণ জরুরি। প্রতিদিনই নতুন কিছু শিখছি আর নিজেকে ডেভলপ করছি। কীভাবে আরও ভাল জায়গায় নিজেকে নিয়ে যাওয়া যায় সেই চেষ্টাই করছি।” শ্রেয়া নিজের সাফল্যের জন্য কৃতিত্ব দেন তাঁর কোচকে। মেয়ের সাফল্যের সবথেকে বেশি খুশি তার বাবা-মা। মেয়ে আরও ভালো খেলুক এটাই তারা সবসময় চেয়ে এসেছে । বাংলার ক্রীড়ামহলের প্রত্যাশাও সেটাই।
কলকাতা: যত দিন এগোচ্ছে ততই জনপ্রিয়তা বাড়ছে কলকাতা ম্যারাথনের। প্রতি বছর এই প্রতিযোগিতার জৌলুস বেরেই চলেছে। এবার ‘টাটা স্টিল ২৫কিমি ম্যারাথন’ -এও থাকছে মহাচমক। এই ইভেন্টের বাণিজ্যিক দূত হলেন প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হার্ডলার কলিন জ্যাকসন। এমন মহাতারকার উপস্থিতির খবরে খুশি সকলেই।
২০১৪ সাল থেকে শুরু হয় কলকাতা ম্যারাথন। এই বছর ১৭ ডিসেম্বর রবিবার হবে জনপ্রিয় এই ইভেন্ট। ফের একবার রবির সকালে শীতের মিঠে রোদ গায়ে মেখে দৌড়বে গোটা শহর। আর কলিন জ্যাকসনের মত একজন বিশ্ব রেকর্ডধরী তারকার উপস্থিতিতে এবারের কলকাতা ম্যারাথন ‘আমার কলকাতা, আমার রান’ অন্য মাত্রা পাবে তা বলাই যায়।
মাঝে করোনার কারণে এই জৌলুস কিছুটা কমলেও গত বছর থেকে তা পুরনো ছন্দে ফেরে। এবার তা আরও বড় আকারে হতে চলেছে। বিশ্বজয়ী দৌড়বিদের সঙ্গে ম্যারাথনে অংশ নেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন শহর ও ভিন রাজ্য থেকে আসা অ্যাথলিট ও ক্রীড়া প্রেমীরা।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালে স্টুটগার্ডে ১১০ মিটার হার্ডলসে নয়া রেকর্ড তৈরি করে সোনা জিতেছিলেন কলিন জ্যাকসন। ১৯৮৬, ১৯৯০, ১৯৯৪ সালে কমনওয়েলথ গেমস, ১৯৯৯ বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়শিপেও সোনা জিতেছিলেন তিনি। কলকাতায় আসার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন বিশ্বজয়ী অ্যাথলিট।