হুগলি: দামোদর বা মুণ্ডেশ্বরী নদীর জলে ভাসছে আরামবাগ, আর গঙ্গার জল বেড়ে যাওয়ায় বিপত্তিতে পড়েছে হুগলির শহরতলীর শিল্পাঞ্চলে বাসিন্দারা। চুঁচুড়া পুরসভার ৬ ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁধপাড়া এলাকায় গঙ্গার জলে ঢুকে গেছে। এলাকার এমনই অবস্থা যে পাকা রাস্তা দিয়ে চলছে নৌকা।
এদিন ডিভিসির জল ছাড়ার ফলে জলের চাপ তৈরি হয়েছে গঙ্গাতেও। নদীতে জোয়ার আসলেই ডুবে যাচ্ছে শহরতলি এই এলাকা। গঙ্গার জল স্তর প্রায় কানায় কানায় ভর্তি। চুঁচুড়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বেশকিছু বাড়ি সম্পূর্ণ জলমগ্ন হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেই সমস্ত পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয় দিতে নিয়ে যাওয়া হয় এলাকার সংলগ্ন কমিউনিটি হলে।
আরও পড়ুন: পুজোয় এখন ডিজিটাল আলোই ট্রেন্ডিং, আলোর বোর্ড তৈরিতে ব্যস্ত আলোক শিল্পীরা
তবে এই জোয়ারের জলে বিরাট ক্ষতি হয়েছে পনটুন, ফেরি পরিষেবায় এবং বন্ধ চুঁচুড়া তামলিপাড়া ঘাট। তামলিপাড়া পনটুন জেটি জলের তলায় চলে যাওয়ায় ফেরি পরিষেবায় প্রভাব পরে। চুঁচুড়া তামলিপাড়ার বিপরীতে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার গরিফা রামঘাট। ফেরি বন্ধ হওয়ায় সমস্যায় পরেন দুই পারের যাত্রীরা।
তামলিপাড়া ঘাটের ঠিকাদার বিজয় কাহার জানান, পুরসভা টেন্ডার করার সময় যা বলেছিল তা করেনি।ভাসমান জেটি দেওয়ার কথা থাকলেও সেটা দেওয়া হয়নি। একটি ছোটো লঞ্চ চালানো হচ্ছে যাত্রীদের সুবিধার্থে। তবে গঙ্গায় জল বেরে যাওয়ায় লঞ্চে ওঠানামা করতে সমস্যা হচ্ছে।যখন জেয়ার আসছে চার ঘন্টা পরিষেবা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। স্কুল অফিসে যাওয়া যাত্রীদের অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে।
একই পরিস্থিতি সবর্ত্র জেলা জুড়ে। উত্তরপাড়া, কোন্নগর শ্রীরামপুর, চুঁচুড়া বলাগর, জিরাট সব জায়গাতেই গঙ্গায় জোয়ার আসলেই জলমগ্ন হয়ে পড়ছে নদী তীরবর্তী বেশ কিছু এলাকা। উত্তরপাড়া পুরসভার ১৩,১৪ এবং ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে গঙ্গার জল ঢুকে পড়ছে। কোন্নগর পুরসভার এক নম্বর ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ড জোয়ারের জলে জলমগ্ন হয়ে পড়ছে। বাঁশবেড়িয়া পুরসভার ১১ ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে সরস্বতী নদীর জল ডুকছে। জেলা জুড়ে সর্বত্রই নদীর জলস্তর বৃদ্ধির ফলে সমস্যায় পড়েছেন আমজনতা।
রাহী হালদার