হাতিরা হানায় নষ্ট হচ্ছে ফসল 

Elephant Attack: হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্ত বিশেষ প্যাকেজ,সরকারের কাছে আবেদন জঙ্গলমহলের চাষিদের

ঝাড়গ্রাম: সবে মাত্র ধানের চারা রোপন করা হয়েছে জমিতে। আর তাতেই অশনি সংকেত। রাত হলেই খাবারের সন্ধানে ধানের জমিতে হানা দিচ্ছে হাতির দল। তছনছ করে দিচ্ছে জমির ফসল। ফলে মাথায় হাত চাষিদের। খাদ্য সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জঙ্গলমহলের জন্য স্পেশাল প্যাকেজ চালু করেছে। সেই স্পেশাল প্যাকেজে হাতি কবলিত এলাকাগুলোর জন্য আরওচাল বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছে এলাকার কৃষকরা। রেশনে মাসে মাথাপিছু হাতি কবলিত এলাকার জন্য ১৪ কিলো চাল বৃদ্ধি করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি কৃষকদের।

আরও পড়ুন: পুজোর আগেই মন খারাপ ঢাকি বাদকদের, দেখুন

ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা খড়গপুর বন বিভাগের অন্তর্গত। খড়গপুর বন বিভাগের কলাইকুন্ডা রেঞ্জের বারডাঙ্গা বিটের জঙ্গলে আস্তানা গেড়েছে দলমার হাতির দল। প্রতিদিন রাত হলেই খাবারের সন্ধানে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে। এই ভাবেই প্রতিদিন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বিচরণ করছে হাতিগুলি। কিন্তু কখনওযদি হাতি শাবক প্রসব করে বা দলে শাবক থাকে তাহলে বেশ কিছুদিন হাতি একটি জায়গায় থেকে যায়। আঙ্গারনালী গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলে দলহাতির সঙ্গে হস্তি শাবক থাকায় এলাকা ছাড়তে চাইছে না হাতির দলটি। ফলে সন্ধ্যা হলেই জঙ্গল ছেড়ে খাবারের সন্ধানে হানা দিচ্ছে কৃষি জমিতে। ফলে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে জঙ্গলমহলের প্রান্তিক চাষিদের।

আঙ্গারনালী গ্রামের বাসিন্দা সুশীল কুমার মাহাতো বলেন,\”প্রতিদিন রাত হলেই খাবারের সন্ধানে জঙ্গল ছেড়ে জমিতে নেমে পড়ছে হাতি। কিছুদিন আগে সদ্য চারা ধান রোপন করা হয়েছে। ধানগুলি এখনওবড় হয়ে উঠেনি। হাতির দল অল্প কিছু খাচ্ছে এবং সারা জমি পায়ে মাড়িয়ে শেষ করে দিচ্ছে। হাতির উপদ্রব এর কারণে আমরা বহু জায়গা পতিত রেখেছি চাষ পর্যন্ত করিনি। আজ যেটুকু চাষ করেছি তাও আজ শেষ হতে চলেছে হাতির কারণে। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করতে চাই হাতি কবলিত এলাকার জন্য স্পেশাল প্যাকেজ ঘোষণা করার জন্য। রেশনে প্রতি মাসে মাথাপিছু আরও১৪ কিলো চাল বৃদ্ধি করা হোক\”।

হাতির হানায় জঙ্গল লাগোয়া একাধিক গ্রামের চাষাবাদ দিনের পর দিন কমতে বসেছে। ফলে কৃষিজীবী মানুষ কৃষিকাজ ছেড়ে বাধ্য হচ্ছে দিনমজুরের কাজ খুঁজতে। আর এর মধ্যেই ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর খাদ্য সাথী প্রকল্পের রেশনের চাল। সেই চাল আরওবৃদ্ধি করার দাবি জানাচ্ছে প্রান্তিক চাষিরা।

বুদ্ধদেব বেরা