Tag Archives: Elephant Attack

Elephant Corridor: লাইন বাঁচাতে হাতি চলাচলের রাস্তায় বোল্ডারের স্তূপ রেলের! লোকালয়ে হামলার আশঙ্কা

জলপাইগুড়ি: হাতির দলের রাস্তা পেরোনোর জন্য রেললাইনের রেকের ধারে সাধারণত করিডোর থাকে। কিন্তু সেই করিডোরেই রয়েছে উঁচু বোল্ডারের স্তূপ। এভাবে উঁচু বোল্ডার জমে থাকায় যাতায়াতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে হাতির দলকে। ফলে ঠিক করে তারা রাস্তা পারাপার করতে পারছে না। এই অবস্থায় হাতির দল ক্ষেপে গিয়ে লোকালয়ে হানা দিতে পারে বলে পরিবেশবিদদের আশঙ্কা।

হাতিদের চলাচলের করিডোরে ব্যাঘাত ঘটার জন্য রেলের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। রেললাইন রক্ষা করতে ডুয়ার্সের মোরাঘাট এলাকায় হাতিদের হাই সেনসেটিভ করিডর আটকে বোল্ডার দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বাঁধ। গোটা ঘটনায় রীতিমত ক্ষুব্ধ পরিবেশপ্রেমীরা। চিন্তায় পড়েছে বন দফতর‌ও। হাতিদের করিডোর বাঁচাতে ইতিমধ্যেই বন দফতর ও পরিবেশপ্রেমীদের তরফে রেলকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। রেললাইন সংলগ্ন বন্যপ্রাণীদের যাতায়াতের রাস্তায় বাধা পেলে লোকালয়ে বন্যপ্রাণীর হানা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা কথা জানিয়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: অক্ষয় তৃতীয়ায় ভোগে মাছের মাথা পেলেন তারাপীঠের মা তারা!

বর্ষাকালে ভুটান থেকে অতিরিক্ত বৃষ্টির জল হাতিনালা দিয়ে এসে রেললাইনের ক্ষতি করতে পারে, এই আশঙ্কা থেকেই জলপাইগুড়ির বানারহাট ব্লকের মরাঘাট চৌপথি থেকে হাতিনালার একপাশের পাড়ে বাঁধ দিচ্ছে রেল। বিন্নাগুড়ি এলাকায় বানারহাট হিন্দি কলেজ সংলগ্ন হাতির কয়েকটি করিডর রয়েছে। প্রায়দিন ভোরে বা রাতে রেতির জঙ্গল থেকে মরাঘাট জঙ্গল এই পথ দিয়েই গিয়ে হাতিনালা পার হয় হাতির দল। এবার এই এলাকায় হাতিনালাগুলিতে বোল্ডার দিয়ে পাড় বাঁধ দেওয়ায় শাবক নিয়ে হাতির দল ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীরা করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হবে। আর তাতেই লোকালয়ে হানাদারী বাড়বে বলেই আশঙ্কা। গোটা বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কে ভুগছেন স্থানীয়রা। এই বিষয়ে রেল আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তাঁরা কোন‌ও মন্তব্য করতে চাননি।

সুরজিৎ দে

রাতে বুনো হাতি দেখতে গিয়েই সর্বনাশ! মৃত্যু হল এক যুবকের

আলিপুরদুয়ার: হাতির হানায় মৃত্যু হল এক যুবকের। এই ঘটনায় রবিবার সকালে মাদারিহাট এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত যুবকের নাম আকাশ দাস।

এলাকার বাসিন্দারা জানান তিনটি হাতি শনিবার রাতে তান্ডব চালায় মধ্য মাদারিহাটে। হাতির আওয়াজ পেয়েই বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন আকাশ দাস।

কিন্ত তাঁর কাছেই যে দাঁতাল হাতি চলে আসবে তা তিনি ঘুণাক্ষরেও টের পাননি। মুহূর্তের মধ্যেই আকাশকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে তুলে নিয়ে যায় প্রায় এক কিলোমিটার দূরে। ছুড়ে ফেলে দেয় হাতিটি।

আরও পড়ুন- রবিবারের দুপুরে আগুনের তাণ্ডব, চারদিকে শুধু আতঙ্কই -আতঙ্ক

রাতভর খুঁজেও ছেলের খোঁজ পাননি আকাশের বাবা অভিজিত দাস, কাকা সত্যজিত দাস। রবিবার সকালে হাত পা ভাঙা আকাশের দেহ একটি জমিতে পড়ে থাকতে দেখেন গ্রাম বাসীরা। বন দফতর ও পুলিশ দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

আরও পড়ুন- কঠিন তমলুকে ‘হেভিওয়েট’ নয়, ‘ঘরের ছেলে’ হয়েই থাকতে চান CPIM-এর সায়ন

ঘটনাস্থলে যান আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ দীপনারায়ন সিনহা। রাতে ২৮ বছরের এই যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এলাকার জনগণ।

Annanya Dey

Elephant Attack: এখনও পাকেনি ধান! তবু রাত নামলেই দল বেঁধে হামলা চালাচ্ছে হাতির দল, দেখুন ভিডিও

সবে মাত্র ছয় বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছিলেন কৃষকেরা। ধান গাছের দেখা মিলতেই ক্ষেতে হাজির হাতির দল। নষ্ট করেছে প্রচুর ধান গাছ।

Elephant Attack: হাতির মাথায় কী বুদ্ধি! গাছ ফেলে ফেন্সিং উপড়ে ঢুকছে গ্রামে

আলিপুরদুয়ার: হাতির উপদ্রব অব্যাহত জলদাপাড়া জঙ্গল সংলগ্ন বন বস্তিতে। জঙ্গল থেকে বেরিয়ে গ্রামে হামলা করে ক্ষেতের ফসল লন্ডভন্ড করে দেওয়ায় চাষ করতে পারছেন না বাসিন্দারা। এদিকে বেপরোয়া বুনো হাতির হানা ঠেকাতে গিয়ে মহাচিন্তিত বন দফতরের আধিকারিকরাও।

হাতির তাণ্ডবে অতিষ্ট জলদাপাড়া জঙ্গল সংলগ্ন গ্রামগুলির সাধারণ মানুষ। জলদাপাড়া ন্যাশনাল পার্ক থেকে বেড়িয়ে লোকালয়ে চলে হামেশাই চলে আসছে হাতির দল। কখনও দিনে কখনও রাতে এসে তাণ্ডব চালচ্ছে তারা। আলিপুরদুয়ার জেলার জলদাপাড়া, শালকুমার ব্যাঙ্ডাকি, চিলাপাতা সহ বিভিন্ন এলাকায় চলছে বুনো হাতির উপদ্রব। জঙ্গল থেকে বেড়িয়ে হাতি কোনও সময় বাড়িঘর ভাঙচুর করছে, আবার কোনও সময় সুপরি, কলাবাগান সহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট করছে। লাগাতার চাষের জমিতে হামলা করায় গ্রামের সাধারণ মানুষ খেটেখুটে চাষ করেও ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না।

আর‌ও পড়ুন: কেরি সাহেবের নীলকুঠি পর্যটনকেন্দ্র হবে? ভোটের আগে জোরালো দাবি

এখানকার গ্রামবাসীদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে হাতি। জঙ্গলের পাশে হাতি, বাইসন সহ পশুপাখিদের জন্য সিপ্টিং তার লাগানো থাকে। এই তার জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের কোনও জায়গায় রয়েছে আবার কোথাও নেই। এর ফলেই হাতি সহজে লোকালয়ে চলে আসছে গ্রামে গ্রামবাসীদের ধারণা। এদিকে অনেকের অভিযোগ, হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে নিয়মমাফিক ক্ষতিপূরণের আবেদন করলেও তা অনেকেই পাননি। এই বিষয়ে জলদাপাড়া বন বিভাগের এডিএফ‌ও নবজ্যোতি দে বলেন, ফেন্সিং তার দিয়ে হাতিকে আটকানো সম্ভব নয়। অনেক সময় হাতেই গাছ ফেলে তার ছিঁড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। আমরা চেষ্টা করছি, আমাদের কর্মীরা দেখাশোনা করছেন। এদিকে বন বিভাগের তরফে বলা হয়েছে, যাদের ক্ষতি হয়েছে তাঁরা সঠিক নিয়মে আবেদন করলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

অনন্যা দে

Elephant: ভোটের মরশুমে ‘ওরা’ ফের দলবেঁধে জঙ্গলমহলের গ্রামে

ঝাড়গ্রাম: দল বেঁধে ‘ওরা’ এসেছে গ্রামে। দেখে হয়ত মনে হতেই পারে ভোট প্রচারে এসেছে। কিন্তু না, সামনের লোকসভা নির্বাচনে এদের কোনও প্রার্থী নেই। কোনও রাজনৈতিক দলের নেতাও নয়। ওরা জঙ্গলের নেতা। জঙ্গলেই থাকে। কিন্তু আচমকাই এসে পৌঁছেছে লোকালয়ে। যদিও কেন তাদের লোকালয়ে আসা তা নিয়ে কিছুই জানায়নি।

এই ‘ওরা’-টা হল জঙ্গলের দলমা দাঁতাল। সকাল সকাল জঙ্গলমহলের একটি গ্রামে ঢুকে পড়ে তারা। তাতে বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষ। ওদের জন্য সাতসকালে ভয়ে ভয়ে ঘুম থেকে ওঠে গ্রামের মানুষ। চোখ খুলতেই হাতির দলকে দেখে ভয়ে তটস্থ সবাই। ঝাড়গ্রামের জামবনি ব্লকের চিচিড়া এলাকায় সকাল সকাল ঢুকে পড়ে একদল দাঁতাল। স্বাভাবিকভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। খাবারে খোঁজেই লোকালয়ে এই হাতির পাল চলে এসেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

আর‌ও পড়ুন: সাইকেল চালিয়ে হঠাৎই সীমান্তের গ্রামে জেলাশাসক

প্রসঙ্গত, জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে বিভিন্ন সময়ে প্রবেশ করে হাতির দল। ভেঙে ফেলে মাটির বাড়ি, ক্ষয়ক্ষতি করে ফসলেরও। এদিনের হাতির দলটিতে বেশ কয়েকটি বাচ্চা হাতিও ছিল।বন দফতর সূত্রে খবর, জঙ্গল ধ্বংস করা, জঙ্গলে আগুন লাগানো এবং অযাচিতভাবে বন্যপ্রাণকে উত্তক্ত করার জন্যই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে ক্রমশ লোকালয়ে হানা দিচ্ছে হাতি। এছাড়াও বেশ কিছু সময়ে খাবারের সন্ধানেও তারা লোকালয়ে আসে।

রঞ্জন চন্দ

Lok Sabha Election 2024: ভোট দিতে যাওয়ার সময় বিপদ হবে না তো! জঙ্গল পথ নিয়ে আতঙ্কে বন বস্তিবাসীরা

জলপাইগুড়ি: বন্যপ্রাণের আতঙ্ক নিয়েই ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছবেন বন বস্তিবাসীরা। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত গরুমারা জাতীয় উদ্যানের বিছাভাঙা বুথ। ভোটার রয়েছেন প্রায় পাঁচশো। এঁরা সবাই সুরসুতি, বামনি, বিছাভাঙা বনবস্তিবাসীগুলোর বাসিন্দা। এদিকে ভোট দিতে যাওয়া নিয়ে বেশ ভয় আছে ভোটারদের মধ্যে।

বাসিন্দাদের কথায়, জঙ্গল পথে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে যেতে হয়। আগে জংলী প্রাণী বিশেষত হাতি সামনে থাকলেও কিছুই করত না। ছুটে আসত না বুনো মোষ বা বাইসন৷ এখন সময় বদলেছে। গাছগাছালি ক্রমেই কমে যাওয়ায় বেড়েছে বন্যপ্রাণীদের খাদ্যের অভাব। মেজাজও বদলেছে তাদের। এখন মানুষ দেখলেই আক্রমণ করার প্রবণতা দেখা যায় জঙ্গলের হাতি, বাইসন, মোষদের মধ্যে। ফলে ভোট দিতে যাওয়ার সময় বিপদ না ঘটে, সেই আশঙ্কা কিছুটা হলেও দেখা যাচ্ছে এখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে।

আর‌ও পড়ুন: রামপুরহাট স্টেশনের যাত্রী প্রতীক্ষালয় থেকে উদ্ধার অজ্ঞাত পরিচয়ের দেহ, পরনে শুধু প্যান্ট

এই প্রসঙ্গে লাটাগুড়ি বনাঞ্চলের ভূমিপুত্র তথা পরিবেশ কর্মী অনির্বাণ মজুমদার বনবস্তির বাসিন্দাদের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন। মানব সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গিয়ে বন্যপ্রাণীদের খাবার, পানীয় জল, বাসস্থানের উপর দখলদারি শুরু করায় এই বিপদ দেখা দিয়েছে বলে তাঁর অভিমত। তবে বর্তমানে বনবস্তির ভোটদাতাদের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গাড়ি, টোটোর ব্যবস্থা করে। বিছাডাঙা প্রাথমিক স্কুলের বুথে মূলত ভোট দেন এই বন বস্তিবাসীরা। সরকারিভাবে ব্যবস্থা করা হয়েছে বুথ সুরক্ষিত রাখার। ভোটকর্মীদের দেওয়া হবে চকলেট বোম ও টর্চ। সঙ্গে থাকছেন বনকর্মীরাও। এই এলাকায় ভোট সন্ত্রাস নয়, বন্যপ্রাণের ভয়ে ভোট দিতে‌ যান ভোটাররা।

সুরজিৎ দে

Elephant Attack: বাইকের পিছন থেকে শুঁড় দিয়ে টেনে নামিয়ে আনল! হাতির হানায় ফের মৃত্যু

আলিপুরদুয়ার: হাতি ও বাইসনের জোড়া হামলা ডুয়ার্সের জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায়। সকালে বাইসনের পর রাতে বুনো হাতির হানা কালচিনিতে। আর তাতেই মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।

আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি ব্লকের বাঙ্গাবাড়ি এলাকায় হাতির হামলায় মৃত্যু হয়েছে বাবুরাম ওঁরাও নামে এক ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, দু’জন আটিয়াবাড়ি চা বাগান থেকে বাইকে করে ঘরে বাঙ্গাবাড়ি এলাকায় ফিরছিলেন। একটি বুনো হাতি সেই সময় জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে আচমকা বাইক আরোহীদের উপর আক্রমণ করে। প্রত্যক্ষদর্শিতা জানিয়েছেন, জঙ্গলের রাস্তার ঘাপটি মেরেছিল বুনো হাতিটি। রাতের অন্ধকারে বাইক আরোহীরা কেউ তাকে প্রথমে দেখতে পাননি। হাতিটি বাইকের পিছনে বসে থাকা বাবুরাম ওরাঁও-কে শুঁড় দিয়ে টেনে নামিয়ে আনে। তাতেই মারাত্মক জখম হন তিনি।

আর‌ও পড়ুন: নতুন ভোটারদের বুথমুখী করতে কমিশনের উদ্যোগ

হাতিটি চলে গেলে বাইক চালক বাবুরাম ওঁরাও-কে উদ্ধার করে লতাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনা জানাজানি হতেই বনকর্মীরা হাসপাতালে আসেন। এদিকে আচমকা এমন বিপর্যয় ভেঙে পড়েছেন মৃতের আত্মীয়রা।

অনন্যা দে

Iskcon: মায়াপুর ইসকন মন্দিরে ভয়ঙ্কর কাণ্ড! পোষা হাতির আক্রমণে মৃত্যু মাহুতের

মায়াপুর: ইসকন মায়াপুর মন্দিরে পোষা হাতির আক্রমণে অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হল এক মাহুতের। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন অপর এক মাহুত। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় নদিয়ার ইসকন মায়াপুরে। মৃত মাহুতের নাম সমুদ্র রাভা (২৭)। বাড়ি অসমের কামরূপে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় মায়াপুর মন্দির প্রাঙ্গনে। এ প্রসঙ্গে মায়াপুর ইসকন মন্দিরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস মহারাজ জানান, সরকারি সব নিয়মকানুন মেনে প্রায় ২০ বছর ধরে লক্ষ্মীপ্রিয়া ও বিষ্ণুপ্রিয়া নামের দুটি হাতিকে মায়াপুর ইসকন মন্দিরে পোষা হচ্ছে। এদের মধ্যে একটি হাতির বয়স আনুমানিক ২৭ ও অপরটির ৩০ বছর।

আরও পড়ুন: ট্রেনে চাদর দেওয়া নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত, রেলের সিদ্ধান্তে লাখো যাত্রীর চিন্তা কমতে চলেছে এবার!

প্রতিবছর নিয়ম মেনে রাস পূর্ণিমা থেকে দোল পূর্ণিমা পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেলে মন্দির প্রাঙ্গনে বিগ্রহ নিয়ে হাতির পরিক্রমা করা হয়। যা দেখতে দেশ বিদেশ থেকে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দদের সমাগম ঘটে ইসকন মন্দির প্রাঙ্গনে। এ ছাড়াও প্রতিদিন দুবেলা মাহুতরা হাতিদের মন্দির চত্বর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাতে নিয়ে যায়। অসম থেকে এসে মাহুতদের চারটি পরিবার দীর্ঘদিন ধরে এখানে থেকে পালা করে হাতি গুলির দেখভাল করে। এর আগে মন্দিরে গোলাপ কলি নামের একটি পূর্ণবয়স্ক হাতি ছিল। ২০০০ সালের বন্যার সময় বয়সজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে সেটি মারা যায়। পরে অসম থেকে এই হাতি দুটিকে ইসকন মন্দিরে নিয়ে আসা হয়েছিল।

এছাড়াও তিনি বলেন, এদিন সন্ধ্যাতেও একই ভাবে হাতিশালা থেকে মাহুতরা হাতি দুটিকে ঘোরাতে নিয়ে গিয়েছিল। পরে হাতিশালায় ফিরে গিয়ে ছোট হাতিটি অজ্ঞাত কারণবশত হঠাৎ করে সমুদ্র রাভা নামের ওই মাহুতকে আক্রমণ করে বসে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন অপর একজন মাহুত। তৎক্ষণাৎ তাদেরকে উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে চিকিৎসার জন্য মায়াপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সমুদ্র রাভাকে ডাক্তাররা মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাতিশালাটি সংরক্ষিত হওয়ার কারণে মূল মন্দির থেকে বেশ কিছুটা দূরে ও লোকালয়ের বাইরে অবস্থিত। যার কারণে দুর্ঘটনার কথা প্রথমে আমরা কেউই জানতে পারিনি। পরে ঘটনাটি জানতে পেরে মন্দিরের পক্ষ থেকে সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

জখম মাহুতকে চিকিৎসার জন্য কল্যাণী এমস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর আঘাত গুরুতর না হলেও বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অপরদিকে রবিবার সকালে মৃত মাহুদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে কিভাবে মৃত্যু হল ওই মাহুতের তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।

—– Mainak Debnath

Elephant Attack: বৃষ্টির রাতে গোটা গ্রাম তছনছ করে দিল বুনো হাতি

আলিপুরদুয়ার: বৃষ্টি ভেজা রাতেও রেহাই পেল না মানুষগুলো। গ্রামে ঢুকে তাণ্ডব চালাল বুনো হাতি। আবারও হাতির আতঙ্ক মাদারিহাটে। বুনো হাতির তাণ্ডবে ক্ষতি হয়েছে ঘরবাড়ির। পাঁচটি ঘর ভেঙে গিয়েছে।

বৃষ্টি ভেজা নিঝুম রাতে বুনো হাতির ভয়াবহ তাণ্ডবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে মাদারিহাট এলাকায়। জানা গিয়েছে, জলদাপাড়ার জঙ্গল থেকে একদল হাতি হানা দিয়ে ব‍্যাপক তাণ্ডব চালায় মাদারিহাটের মেঘনাদ সাহা নগর এলাকায়। দু’মাস পর আর‌ও এই এলাকায় হাতির হানা ঘটনা ঘটল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাঁচটি ঘর ও একটি চায়ের দোকান। আতঙ্কে এলাকার বাসিন্দারা। গভীর রাতে জলদাপাড়া জাতীয় উদ‍্যানের জঙ্গল থেকে বুনো হাতির দলটি মেঘনাদ সাহা নগর এলাকায় প্রবেশ করে।

আর‌ও পড়ুন: এক গাড়ি আলু লাখ টাকায় বিকোচ্ছে! খুশি আর ধরছে না কৃষকের

হাতির দলটি স্থানীয় স্বপন দাস, চন্দন দাস, গুরুপদ দাস, রবি দাসের পাকা বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। গণেশ শর্মার চা দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা গুরুপদ দাস জানান, এলাকায় হাতি এলেই আমাদের আতঙ্ক শুরু হয়। অনেকদিন পর এল হাতির দল। ঘরবাড়ি ভেঙেছে, সেই দৃশ্য ভুলতে পারছিনা। ঘটনার খবর শুনে আসেন জলদাপাড়া বনবিভাগের কর্মীরা। বাসিন্দাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

অনন্যা দে

Elephant Attack: নিয়ম-টিয়ম আবার কী! শাটার ভেঙে হপ্তা তুলল ‘ডন’ রামলাল

পশ্চিম মেদিনীপুর: রামলাল দ্য বস। দুলকি চালে চলেছে সে। পিছনে-সামনে শুধুই তখন চিৎকার। কিন্তু তাতে এতটুকু ভ্রুক্ষেপ নেই। তার লক্ষ্য তখন একটাই, দ্রুত পৌঁছতে হবে এফসিআই গোডাউনে। হেলে দুলে সে পৌঁছেও গেল সেখানে। এরপর তৃপ্তি করে চাল খেয়ে পেট মোটা করে চলে গেল জঙ্গলমহলের প্রিয় রামলাল। ঠিক যেন ডন!

আর‌ও পড়ুন: বনবিবির পুজো করে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে মধু সংগ্রহে বের হলেন মৌলেরা

শুক্রবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির পিড়াকাটা সংলগ্ন কলসিভাঙার শাটার ভেঙে চাল খেল রামলাল নামে হাতিটি। এফসিআই-এর গোডাউনের শাটার ভেঙে চালের বস্তা বের করে মহানন্দে চাল খায় দলছুট দাঁতাল রামলাল। সেই দৃশ্য তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করল কয়েকশো উৎসাহী জনতা। আপনাদের জন্য‌ও রইল সেই ভিডিও।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

উল্লেখ্য যে, একটা সময় পর্যন্ত ঝাড়গ্রাম-পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় দাপিয়ে বেড়িয়েছে রামলাল। খাবারের সন্ধানে বেশিরভাগ সময় সরাসরি লোকালয়ে পৌঁছে গেলেও, রামলাল সাধারণ মানুষ বা গবাদি পশুর উপর তেমন একটা হামলা করেনি। বিশেষ উত্যক্ত না করলে শান্ত প্রকৃতির এই হাতিটি মানুষের দিকে তেড়েও যায় না। তাই জঙ্গলমহলবাসীর কাছে সে বড় প্রিয়। গত কয়েক মাস আগে অবশ্য রামলাল বাঁকুড়ায় পৌঁছে গিয়ে ‘দলছুট’ থেকে ‘দলনেতা’য় পরিণত হয়েছিল। তবে, বেশিদিন অবশ্য দলনেতা হয়ে থাকতে পারেনি পূর্ণবয়স্ক এই দাঁতালটি। ফের ফিরে এসেছে পশ্চিম মেদিনীপুর-ঝাড়গ্রামের জঙ্গলে। ঘুরতে ঘুরতে পৌঁছে যাচ্ছে লোকালয়ে। শুক্রবার সকাল ৮ টা-৯ টা নাগাদ চালের গন্ধ পেয়ে সরাসরি পৌঁছে গিয়েছিল সরকারি চালের গোডাউনে। তারপর সেই পুরানো মেজাজে গোডাউনের লোহার শাটার বা দরজা ভেঙে বস্তা বের করে চাল খায় রাজকীয় ভঙ্গিতে!

রঞ্জন চন্দ