উত্তর ২৪ পরগনা: জীবনাবসান হল বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ হাজী নুরুল ইসলামের। জানা গিয়েছে ১.১৫ মিনিট নাগাদ দত্তপুকুর থানার বহেড়া এলাকায় নিজের বাড়িতেই মৃত্যু হয় তার। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।
দলীয় নেতা ও সাংসদের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে বসিরহাট-সহ উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায়। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই সাংসদকে শেষবারের জন্য দেখতে তার বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। সাংসদ হাজী নুরুল ইসলামের পরিবারে রয়েছেন স্ত্রী-সহ চার পুত্র সন্তান। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেই ছিল দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন। চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনেও বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী করেছিলেন তাঁকেই। সেখানে তিন লক্ষেরও বেশি ভোটে বসিরহাট লোকসভা থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন হাজী নুরুল ইসলাম।
দু’বার তিনি হাড়োয়া বিধানসভা থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৯ সালেও বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়ে তিনি জয়ী হয়ে সংসদে যান। এছাড়া হাজী নুরুল ইসলাম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য হজ কমিটির চেয়ারম্যানও ছিলেন। ১৯৯৮ সাল থেকেই তিনি তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিকিম যাওয়ার পথে বড় বিপদ! পুজোর আগে বন্ধ বাংলা-সিকিম ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক
বাম আমলে বারাসাত ১ পঞ্চায়েত সমিতি ও পরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদে তৃণমূলের নির্বাচিত প্রতিনিধি ও বিরোধী দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন এই প্রবীণ নেতা। দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়ানোর পর থেকেই তাকে অসুস্থতা জনিত কারণে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে যেতে হয়েছিল। লিভারের ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি বলেও জানা যায়। সাংসদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছেন দলের নেতারা।