রাজবাড়ীতে চোর কদমে চলছে উমার আগমনের প্রস্তুতি

Durga Puja 2024: ৫০০ বছরের প্রাচীন পুজো, পড়শি রাজ্য থেকে আসে মা দুর্গার সাজসজ্জা!

জলপাইগুড়ি: তিস্তার চড়ে কাশের বন আভাস দেয় পুজো আসছে! হাতে আর মাত্র ক’টা দিন বাকি উমার আগমনের। পুজো মন্ডপগুলিতে চলছে জোর প্রস্তুতি। জলপাইগুড়ির পুজোগুলোর মধ্যে প্রাচীন, ঐতিহ্যবাহী পুজো জলপাইগুড়ির রাজবাড়ির পুজো।

সময় বদলালেও এখনও ইতিহাস এবং নীতি-নিয়ম বদলে যায়নি রাজবাড়ির। কেন এই পুজো আর পাঁচটা দুর্গাপুজো থেকে আলাদা? কী নিয়মই বা রয়েছে পুজোর? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

আরও পড়ুন: শ্যাওলা, কীটপতঙ্গের যম, ১০০ বছরেও নষ্ট হবে না ট্যাঙ্কের জল, এই মহৌষধ রাখলেই ঝামেলা থেকে মুক্তি

এ বছর ৫১৫ তম বর্ষে পদার্পণ করছে জলপাইগুড়ি রাজবাড়ির এই ঐতিহ্যবাহী পুজো। প্রত্যেকবছর জলপাইগুড়িবাসী মুখিয়ে থাকে রাজবাড়ী পুজোর সাক্ষী হতে। পুজোর প্রস্তুতি এখন চলছে জোর কদমে।

আরও পড়ুন: ইঁদুরের যম, মাত্র ১০ টাকা খরচ করলেই ঘরের ত্রি সীমানায় থাকবে না, রইল বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

দেবী মূর্তি বানানোর সম্পন্ন হয়েছে। রং এবং চক্ষুদান সবকিছুই হবে সময় মত। এদিকে রাজবাড়ির পূজো প্রস্তুতি কেমন চলছে তা দেখতে এখন থেকেই সাধারণ মানুষের আনাগোনা চোখে পড়ছে রাজবাড়ী এলাকা জুড়ে।

এখানকার দেবী মূর্তি থেকে শুরু করে পুজোর আচার অনুষ্ঠান এমনকি ভোগেও রয়েছে অভিনব বিশেষত্বের ছোঁয়া। মায়ের মূর্তির রং হয় তপ্ত কাঞ্চনবর্ণের।

কার্তিক এবং গণেশের পোশাক আসে সুদূর আসাম থেকে এবং দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মীর বেনারসি শাড়ি আসে কলকাতা থেকে। উমার মাথার উপরে যে চাঁদোয়া থাকে সেসব যাবতীয় সরঞ্জাম আসে ওপার বাংলা থেকে। এমন রীতি নিয়ম মেনে এখনও পুজো হয়ে চলছে জলপাইগুড়ি রাজবাড়িতে।

ভোগ হিসেবে মা’কে দেওয়া হয় নানান রকমের আমিষ পদ। চালের গুঁড়ো দিয়ে প্রতীকী বানিয়ে বলি দেওয়া হয়। বংশপরম্পরায় প্রত্যেক বছর এমনই ঐতিহ্যবাহী নিয়ম সুষ্ঠভাবে মেনে মা দুর্গা পূজিতা হন জলপাইগুড়ির রাজবাড়িতে।

মহালয়া ভোরে হয় দেবী দুর্গার চক্ষুদান। তাই দুর্গাপুজোর প্রাক মুহূর্তে জোর কদমে চলছে পুজো প্রস্তুতি জলপাইগুড়ি রাজবাড়িতে। সাজিয়ে তোলা হচ্ছে রাজবাড়িকে।

পুজোর চারটে দিনের জন্য শহর জলপাইগুড়ির মানুষ অপেক্ষায় থাকে সারাটা বছর। এই রাজবাড়ির পুজোয় দশমীর দিন পালনও শহরবাসীর কাছে নস্টালজিয়া।

কোনও মিউজিক সিস্টেমের গানে নয় মা’কে বিদায় জানানো হয় ঢাকের তালে। চোখের কোণে জল আর সেই এক বছরের দিন গণনা! সব মিলে রাজবাড়ির দুর্গাপুজো জলপাইগুড়িরবাসীর কাছে একটা আবেগ।

সুরজিৎ দে